জাহাঙ্গীর বাবু
হিপটোনাইজ করে নিজের স্বার্থ
কিংবা নেতার স্বার্থ হাসিলের নাম রাজনীতি।
লড়াইটা রাজনীতির সাথে কুট-নীতির,
দুষ্ট নীতির।ক্ষমতায় যাবার,ক্ষমতায়
থাকার নিরংকুশ ইচ্ছা।
এখন মানবসেবা,জনসেবা,দেশপ্রেম,ভাষা,
স্বাধীনতা,মুক্তিযুদ্ধ আর ধর্মীয় চেতনা
রাজনীতির উপকরণ মাত্র। মুখোশে থাকার
নিয়ামক,স্বার্থ হাসিলে দলিল,স্ট্যাম্প, অস্ত্র।
ক্ষমতা নেই, আপনি শুন্য,শুন্যতায় আপনার
প্রতিটি কর্ম।ক্ষমতা ছাড়া অবশ্যই দলীয়,
সরকারী ক্ষমতা।তাইতো ক্ষমতায় যাবার ঢংকা
বাজিজে জোরেশোরে।তাইতো নিয়ম নীতির
বিসর্জন। ঘরে দুর্নীতি আদরে আপ্যায়নে,
বাহিরে বন্ধুর সাথে বন্ধুর। রাজনীতি,
বেশ্যা বাজারের দালালী।বুদ্ধি বেশ্যাদের
দালালীর শেয়ার বাজার।
তবু এ বাজারেই খদ্দের বেশী। ঘর,দেশ,পৃথিবী,
ধর্ম সব খানে বাহুবল প্রদর্শনের প্রদর্শনী।
মানবতা,বিবেকের কুলখানি!
বৃত্তের মাঝে রাজিনীতি, দুর্গন্ধময় কিন্তু
লোভনীয় মাংসল বস্তু।চারপাশ থেকে লোলুপ
দৃষ্টি,পল্টিবাজি,রথী,মহারথী আর চিরচেনা,
চিরজানা ঘেউ ঘেউ শব্দ!
আহা! কি মিষ্টি,রাজিনীতি! রাজিনীতি একাল
সেকালে রাজতন্ত্র,পরিবারতন্ত্র,স্বৈরতন্ত্র, এ
জন্য ক্ষমতার শিখরে থাকা কেউ দায়ী নয়।
দায়ী অভাব,দারিদ্রতা,বেঁচে থাকার লিপ্সা,
টিকে থাকার ইচ্ছা।জন্ম থেকেই মোসাহেবীর দীক্ষা
এক শ্রেনী স্লোগান নেবে,
আরেক শ্রেনী স্লোগান দেবে।নিজের রক্তের
বিনিময়ে অন্যকে চেয়ারে বসিয়ে মোসাহেবী করবে।
টাকার কাছে বিক্রি হবে।
গনতন্ত্র আংশিক রঙ্গীন ছবির মতো।
জনগন সাদা কালোর কষ্টের ফিতায়।
রঙ্গীন অংশে রাজিনীতির নেতাদের বেলাল্লাপনা,মিথ্যাচার,প্রতিশ্রুতি,
মুলা ঝুলানো চেতনার ধুম মাচালের চিত্রায়ণ।
দেশ, বিদেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষেকে কাজ দেয়ার নামে,
কিছু নগদ দিয়ে, হিপটোনাইজ করে নিজের স্বার্থ
কিংবা নেতার স্বার্থ হাসিলের নাম রাজনীতি।
ইটস কল হিপটোনাইজ রাজনীতি।
নইলে আমার পেটে খাবার নেই,
আমার মৌলিক অধিকার নেই,আমার কর্ম নেই,
যোগ্যতা অনুসারে কাজ নেই,
তবু আমি কারোনা কারো তাবেদারী করি।
নিজের বাবার ভিটে বাড়ি বিক্রি করি,সুদে টাকা নেই,
নিজে নিজের কর্মস্থান খুজে নেই,
অথচ নিজে যেচে ক্রেডিট দেই অন্য কাউকে,
নিজ দলের নেতাকে ফুলের সংবর্ধনা জানাই!
তার গুনকীর্তন করি। আফসোস নেই!
হঠাৎ উড়ে আসা জুড়ে বসা মানুষেকে নেতা মানি।
নিজ দলের নিজ নেতার অন্যায় জুলুম,
অবিচার, জেনেও দলের গুনগান করি।
নিজ দলের প্রিয় ব্যাক্তির অন্যায় আড়াল করি।
নিজের স্বার্থে আইওন কানুন বদলে ফেলি।
নিজের বেলায় সব সিদ্ধ,শুদ্ধ,পরের বেলায় একই কানুন নিষিদ্ধ।
নেতার কথায় হ্যা,জি,হ্যা জি।
এর মানেই হিপোটোনাইজড রাজনীতি। ঠিক নাকি ঠিক।
১২-১১-২০১৮
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯