আজকেই সম্পাদক বলেছিল লেখাটির ব্যাপারে ৷ যদিও কিছুই গোছানো হয়নি তবু বলতে হল আগামী মাসের কথা ৷ আজকাল কিছুতেই মন বসছে না কেন যেন নীবিরের বাংলোর কথা মনে পরে যায় বারবার ৷ গত সপ্তাহে কাটিয়ে আসলাম ওর ওখান থেকে দিন পাঁচেক ৷ ড্রাইভারকে পাঠিয়েছি হোটেল রোমান্সের বারে ৷ হঠাৎ করেই আমার স্টক শেষ হয়ে গেল আর তৃষ্ণাও পেল এত রাত করে ৷ মার্বেলের বেলকনিতে হাঁটছি আর লেখার প্লটটা খুঁজছি পাইপের ধোঁয়ার কুণ্ডলীর মুহূর্তে ৷ আসছে না কিছুতেই ৷ বাইরে মেঘের নিনাদের মৃদু আস্ফালন নামবে বোধহয় যে কোন সময় ৷ দূর থেকে দেখা যায় দারোয়ান গেইট খুলে দিল আর আমার পাজেরো গাড়িটার মোহনীয় প্রবেশ ৷ আজকাল গাড়িতে উঠতে খুব ভাল লাগে না ৷ তবু একা এ বাগানবাড়িতে আসার জন্য দীর্ঘ পথের একমাত্র সাথীতো ও-ই ৷ কেয়ারটেকারকে বলতে হবে গাড়ীর পিছনের সিটের নিচের লকারে টাকাগুলোর কথা ৷ কাল যেন ব্যাংকে জমা করে আসে ৷ সামনের ঈদ-সংখ্যার জন্য চার পত্রিকার অগ্রিম বাবদ প্রাপ্য ৷ শেফ’টাও যে কোথায় গেল ? কখন বলেছি বরফ আর রোস্টের কথা ! আই-ফোনটা যে কোথায় রাখলাম ? কার কাছে যেন ফোন করার কথা মনে পড়ছেনা ৷
কবিতার লেখার জন্য দরকার কল্পনা, কলম আর কাগজ ৷ তবেই না লেখা হবে কবির ভাবনা বলেছিল প্রফুল্ল ৷ ওদের দিদির বাড়ীতে যেতামই জামাইবাবুর টাইপ রাইটারের লোভে ৷ আমি আর প্রফুল্ল কত দিন কঁড়ি জমিয়েছি একটা নিজেদের কাগজ বের করব বলে ৷ কলেজের সবাই হাসতো আর আড়ালে পাগল ডাকত ৷ আসলেই তো কবিতার পাগল ছিলাম তখন ৷
*************************************
==================================
কবিতার ছবিঃ বিশ্বজিৎ গাঙ্গুলি