কর্কট জলজ সমকাল
একটা ছায়া আমার সাথে থাকে যেন ঘুমহীন সঙ্গী; বিচ্যুত উন্মোচন
দন্তহীন ভাঙ্গা আয়নায় নিজেকে সাজাই প্রতি সকালে ক্রীতদাস সাজে,
অচূর্ণ ভয়াল ধনূকাঙ্গন ভক্ষণ করি দোলকের ইশারায়
শেষে মিশে যাই মুখোশী ছায়াবাজী অদ্ভূত খেলায়
পরে আর স্মৃতির বেচাকেনায় নিক্তির হেলনে,
পেয়েও কোথায় হারাই অসূচ নিলাম্বরী হেলায়
তবু তাপে আর প্রয়োজনে প্রিয়তে ঘটে অস্বচ্ছ সংযোগ,
রেসের খেলার টিকিটের মতন ঝরা ব্যবহার আমাদের
ঝর্ণার জলে বিস্ফোরণের অপেক্ষা আহ..অশরীরী অপেক্ষা
মিশে যাই ছন্দহীন অমিমাংসিত সেই ক্ষরণময় ক্লান্তির অসীমে ৷
ব্যবচ্ছেদ
পিঁয়াজের খোসার মতন নিজেকে উন্মুখনত করছি মহান ভূগোলকের উৎসে
তবু একটুও ছড়াচ্ছে না, মেখে দেওয়া কারও নন্দনের সূবাসবন্ধকী
চেয়ে আছি প্রতিবিম্বে উৎকর্ষের শেষ জারিত বিবস্রে
তাকিয়ে থাকি, ধ্বংস করি, আবার মুগ্ধ হই
তারপর আর হয়ে উঠে না সেই অচেনা আমা’তে ৷
দেহান্তরে
একটা ফ্রেমে বাধাঁনো প্রেম চাই আমার
মুখবুকের বিভ্রাট প্রেম নয় জান্তব দানবীয় অসূরীয় প্রেম
তাইতো পড়ে থাকি শেষ গোরের স্থানীয় বাসিন্দা হয়ে
তার বুকে আচড়হীন এপিটাফের সূউচ্চ দোলকে ৷
[][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][]][][][][][][][][]][]
(খসড়া )