নাশপাতির ভিতরে কয়েকটা বীজ থাকে। বীজ গুলো নিজেদের অবস্থান সুরক্ষিত রাখার জন্যে চার পাশের আবরণ শক্ত করে রাখে। বীজ সহ খেতে বিছ্রি লাগে। তাই চাকু দিয়ে বীজ কেটে ফেলে দিয়ে খেতে হয়।
আমাদের আইন গুলো পুজিপতিদের অনূকুলে তৈরি। তারা নিজেদের কে সুরক্ষিত রাখার জন্যে আইন প্রনয়ন করে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আইন এখনো দেশে বলবত রয়েছে। ক্লাইভ বলেন আর মাউন্টব্যাটেন বলেন, শোষনের উদ্দেশ্যে চালিয়ে দেওয়া তাদের স্বার্থের অনূকুলে আইন এখনো আছে বহাল তবিয়েতে( অপরাধ সংক্রান্ত, মৎস আইন সংক্রান্ত ইত্যাদি )। আমদের দেশে কয় জন রাঘব বয়ালের বিচার হয়। আইন শুধু নিচুদের জন্যে।আমরা উন্নত দেশকে অনুসরন করে চলি, শুধু এই বিষয় ব্যতিত।
গত কয়েক বছর ধরে অর্থনৈতিক খাতে দুর্নীতি হয়েই যাচ্ছে। কে করছে দুর্নীতিবাজদের বিচার ?
হলমার্ক, শেয়ারবাজার,সোনালী ব্যাংক, পদ্মা সেতু আর কত কেলেঙ্কারি হলে তাদের বিচার হবে? সব গুলো দুর্নীতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সময় হচ্ছে। সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন বলেছেন ব্যাংকের টাকা চুরির ঘটনায় অর্থমন্ত্রী দায় এড়াতে পারবে না। যদিও চোরে চোরে মাসতুত ভাই বলে একটা কথা আছে তবুও বলতে হয় অর্থমন্ত্রীর বিচার হওয়া দরকার।
সত্য বলতে কি আমাদের দেশে অপরাধ করার পরেও অপরাধি তার অবস্থান ধরে রাখে। আইন তাদেরই যে সৃষ্টি ! কথায় আছে- সর্বাঙ্গে ব্যাথা ঔষুধ দিবো কোথা ! রাষ্ট্রের যেখানে সব স্থানেই দুর্নীতি কে দেখবে এ সব।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিঊর রহমানকে আমি মন থেকে শ্রদ্ধা করি। কারন উনি নিজের অপরাগতা/ বিচক্ষনতার অভাব কে মেনে নিয়ে পদ থেকে সরে গেছেন। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানেই কোন দুর্নীতি হলে ঐ প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন ব্যক্তিদের দায়ভার নিতেই হয় । এটাই হওয়ার কথা ছিল। সে দিক থেকে অর্থমন্ত্রীর বিচার হওয়া আবশ্যক। আমাদের সময় এসেছে চাকু দিয়ে দুর্নীতি নামক বীজ কেটে ফেলে দেওয়া।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৬