রেফ্রিজারেটরের শীতলতম চেম্বারে জমা রেখে মনটা
বেরুলাম কাজে
যে কাজে যাব তাতে মন জিনিসটা- বলতে গেলে নিতান্তই বাজে!
পুলিস সানগ্লাসে আকাশে তাকাই
রাতদিনের রাষ্ট্রে এখন আর সমাজতন্ত্র নেই...
বুর্জোয়া রাতের খপ্পরে চলে যাচ্ছে মুহূর্ত, ক্ষণ, প্রহরগুলো
সূর্যটাও মানে মানে কেটে পড়ছে
রাত- “দ্য নাইট” আসার আগেই।
বড্ড বিশ্রী লাগে আলোর এই পরাজয় দেখতে!
আরো অস্থির হয়ে উঠি যখন দেখি
আমার প্রেয়সী চুমকিওয়ালি- ঝলমলে ওড়নাওয়ালি
নখরাওয়ালি উচ্ছ্বল মেয়ে- আদরের নাম নিশি,
ইদানীং কালো বোরখায় জগত ঢেকে আসে শবের বার্তা নিয়ে।
মৃতদেহের মতই ঠাণ্ডা তার স্পর্শ...
মাঝে মাঝে শো শো শব্দ শুনি
শীতল, অসচরাচর- শবের সতর্ক শ্বাসবায়ু!
ভাবতে গিয়েই সজাগ হলাম আমি-
ফ্রিজে রাখা মনটা নড়েচড়ে উঠছে না কি?
হিমাগারে রেখেও স্থবির হলনা সে !
মস্তিষ্ক- “দ্য বস” এসে শাসিয়ে গেল হিসহিসিয়ে...
মন আর মগজেরও নেই সাম্য, অথবা সমতা
শুধু সবলের পাওয়ার- "দ্য ক্ষমতা!"
ফ্রিজের তাপমাত্রা আরো কমিয়ে,
মনটাকে পুরোপুরি জমিয়ে
বেরুলাম কাজে।
কাজঃ
কিছুক্ষণ ধাওয়া দেওয়ার মজার খেলা...
তারপর আগুন আর শব্দের যুগপৎ প্রদর্শনী...
ইচ্ছেমত কাঁচ ভেঙ্গে চুরচুর...
কয়েকটা হোমো সেপিয়েন্সের হাস্যকর মৃত্যু
বোনাস হিসেবে একটা কুত্তা
পাশাপাশি শুয়ে থাকে দলা পাকিয়ে
পুলিস সানগ্লাসে একবার নির্লিপ্ত তাকাই, ভাবি-
এই তো, কিছু পরে ওরাও পৌঁছে যাবে কোনো এক হিমাগারে
মনটাকে ফ্রজেন রেখে আজ সাকসেসফুলি
মর্গের ফ্রিজারে পাঠাই গোটা কতক হোমো সেপিয়েন্সকে...
যেখানে রাত আর দিনের মাঝে চলে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব
সেখানে আমিই বা নয় কেন?!
তবু হঠাৎ হঠাৎ...
মনটা হিম শীতল ঘুম থেকে জেগে উঠতে চায়
হিমাগারে লাশেরা নড়েচড়ে
তখনি মগজ- “দ্য বস” বলে-
ক্ষমতা- “দ্য পাওয়ার!”