ভারতীয় উপমহাদেশে আম কয়েক হাজার বছর ধরে চাষাবাদ চলছে। বাংলাদেশ এবং ভারত এ যে প্রজাতির (species) আম চাষ হয় তার বৈজ্ঞানিক নাম Mangifera indica. এটি Anacardiaceae পরিবার এর সদস্য। তবে পৃথিবীতে প্রায় ৩৫ প্রজাতির আম আছে।
আমের বিভিন্ন জাতের মাঝে আমরা মূলত ফজলি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ক্ষিরসাপাত/হীমসাগর, আম্রপালি, মল্লিকা,আড়া জাম, কাচামিঠা, সুবর্নরেখা, মিশ্রিদানা, নিলাম্বরী, কালীভোগ, অরুনা, আলফানসো, বারোমাসি, তোতাপূরী, কারাবাউ, কেঊই সাউই, গোপাল খাস, কেন্ট, সূর্যপূরী, পাহুতান, ত্রিফলা ইত্যাদির দেখা পাই।
কিন্তু কেবল দেখা পেলে কি হবে? আজকাল সব কিছুতেই ভেজাল আর ফল/ সবজি মানেই হচ্ছে রাসায়নিক। তাহলে এখন উপায়? কি করে চিনবেন রাসায়নিক মুক্ত আম? কেনার সময় ক্রেতা যদি একটু সচেতন থাকেন, তাহলেই কিন্তু চিনে নেয়া সম্ভব রাসায়নিক মুক্ত আম। আসুন জেনে নেই।
১)প্রথমেই লক্ষ্য করুন যে আমের গায়ে মাছি বসছে কিনা। কেননা ফরমালিন যুক্ত আমে মাছি বসবে না।
২)আম গাছে থাকা অবস্থায়, বা গাছ পাকা আম হলে লক্ষ্য করে দেখবেন যে আমের শরীরে এক রকম সাদাটে ভাব থাকে। কিন্তু ফরমালিন বা অন্য রাসায়নিকে চুবানো আম হবে ঝকঝকে সুন্দর।
৩)কারবাইড বা অন্য কিছু দিয়ে পাকানো আমের শরীর হয় মোলায়েম ও দাগহীন। কেননা আম গুলো কাঁচা অবস্থাতেই পেড়ে ফেলে ওষুধ দিয়ে পাকানো হয়। গাছ পাকা আমের ত্বকে দাগ পড়বেই।
৪)গাছপাকা আমের ত্বকের রঙে ভিন্নতা থাকবে। গোঁড়ার দিকে গাঢ় রঙ হবে, সেটাই স্বাভাবিক। কারবাইড দেয়া আমের আগাগোড়া হলদেটে হয়ে যায়, কখনো কখনো বেশি দেয়া হলে সাদাটেও হয়ে যায়।
৫) হিমসাগর ছাড়াও আরও নানান জাতের আম আছে যারা পাকলেও সবুজ থাকে, কিন্তু অত্যন্ত মিষ্টি হয়। ওষুধ দিয়ে পাকানো হলে আমের শরীর হয় মসৃণ ও সুন্দর
৬) আম নাকের কাছে নিয়ে ভালো করে শুঁকে কিনুন। গাছ পাকা আম হলে অবশ্যই বোটার কাছে ঘ্রাণ থাকবে। ওষুধ দেয়া আম হলে কোনও গন্ধ থাকবে না, কিংবা বিচ্ছিরি বাজে গন্ধ থাকবে।
৭) আম মুখে দেয়ার পর যদি দেখেন যে কোনও সৌরভ নেই, কিংবা আমে টক/ মিষ্টি কোনও স্বাদই নেই, বুঝবেন যে আমে ওষুধ দেয়া।
৮) আম কেনা হলে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এমন কোথাও রাখুন যেখানে বাতাস চলাচল করে না। গাছ পাকা আম হলে গন্ধে মৌ মৌ করে চারপাশ। ওষুধ দেয়া আমে এই মিষ্টি গন্ধ হবেই না।
এই পোস্ট পূর্বে টি বিডি এগ্রো মার্কেট এ প্রকাশিত
আগামিতে আরো এড করবো
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০১৬ সকাল ৮:৪৪