somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

জাদিদ
তুমি আমার রাতবন্দিনী। ধূসর স্বপ্নের অমসৃণ সুউচ্চ দেয়াল তুলে তোমাকে আমি বন্দী করেছি আমার প্রিয় কালোর রাজত্বে। ঘুটঘুটে কালোর এই রাজত্বে কোন আলো নেই। তোমার চোখ থেকে বের হওয়া তীব্র আলো, আমার হৃদয়ে প্রতিফলিত হয়ে সৃষ্টি করে এক অপার্থিব জ্যোৎস্না।

প্রবাদঃ ঠাকুর ঘরে কে রে... আমি কলা খাই না।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সম্প্রতি জামাত শিবিরের একটি প্রকাশনায় উল্লেখ করা হয়েছে— "মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ছিলো কিছু মুসলমানের ভুল ও অদূরদর্শিতা।" এই বক্তব্য মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্পর্কে তাদের সুস্পষ্ট মনোভাব এবং দলীয় আদর্শ যা তারা বরাবরই লালন করে আসছে।

বর্তমানে অনেকে জামাতের তথাকথিত "সুশীল রূপ" দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন, কিন্তু জামাতের সুশীল রুপের আড়ালে যে গিরগিটি থাকে সেটা আবারও প্রমানিত। তারা খুব কৌশলে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ধর্মকে দাঁড় করাবার চেষ্টা করে দেখল যে জনগন কিভাবে রিএ্যাক্ট করে। অনেকটা রাজাকার শব্দের পেছনে ব্র্যাকেটে 'রাজাকার' অর্থ যে 'স্বেচ্ছাসেবক' তা বুঝানোর জন্য। কিন্তু যখন দেখল দেশের অধিকাংশ মানুষ এই কুট কৌশল ধরে ফেলেছে তখন তাহারা উক্ত লেখককে বলির পাঠা বানিয়ে ব্যাখ্যা দিলো - "প্রতিটি লেখকের স্বাধীন মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে, সেই হিসাবে ইহা প্রকাশ করা।"

এই প্রসঙ্গে ব্লগের একটা ঘটনা মনে পড়ল। কিছুদিন আগে একজন ব্লগারের পোস্টে আমি রাজাকারদের ‘মাদারচোদ’ বলেছিলাম। শব্দটা মূলত হবে – মাদারচোদ এবং মোনাফেক। যাইহোক আমার এহেন মন্তব্যে ব্লগের বিশিষ্ট কুলীন সমাজে বিশাল হাউ কাউ আর হুক্কাহুয়া! ব্লগে প্রকাশ্যে এই শব্দটির ব্যবহার দেখে অনেকেই বিস্মিত। এর মধ্যে আমাদের এক ব্লগার ভাই জানালেন - আমি নাকি রাজাকারদের মাদারচোদ বলার মাধ্যমে উক্ত ব্লগারকেই রাজাকার বলেছি। হলি গোট! মাদারে ছাগু!

কতক্ষণ প্রাণ ভরে হাসার পর একটা বাংলা প্রবাদ মনে পড়ল। হাসতে হাসতে পাশের খোলা জানালা দিয়ে থুতু ফেললাম। ভাগ্যিস জানালা খোলা ছিলো। ( যে দিকে থুতু ফেলেছি সেদিকে কোন চলাচল নেই। এই ব্যাখ্যা দিলাম নচেৎ ভাষাবিদ, ব্যাকরণবিদ এর পাশাপাশি নতুন নতুন পরিবেশবিদের প্রাদুর্ভাব ঘটবে) )

পাশাপাশি আরো শুনলাম আমি নাকি ফ্যাসিস্টদের সহযোগী, সহমর্মী, দোসর,আফসোস লীগকে ব্লগ লিজ দেয়ার অন্যতম হোতা। আরো জানলাম, মত প্রকাশের একটা সীমা থাকা উচিত এবং ব্যক্তিগত লেখা বা মত প্রকাশের দায়ও প্রতিষ্ঠানের। এই দিকে শিবির তাদের ব্যাখ্যায় জানিয়েছে - প্রতিটি লেখকের স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগ আছে। কারো ব্যক্তিগত মত প্রকাশের দায় প্রতিষ্ঠান বা প্রকাশকের নয়। এখন হাসতে হাসতে আবার দেখি – ঠাকুর ঘরে কে রে!! আমি তো কলা খাই না।

যাইহোক, জামাত-শিবিরের এসব নাটক নতুন কিছু নয়। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সামান্য কথা বললেই ওদের মুখোশ খুলে যায়। জামাত ইসলামের নামে রাজনীতি করে, কিন্তু আসলে এরা একদল মোনাফেক, যারা ধর্মকে ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে। দলটির আজকের এই উত্থানের দায় ভার নিতে হবে ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে ফ্যাসিস্টে পরিণত হওয়া আওয়ামী লীগের! নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে স্বস্তা আর হাস্যকর বানিয়েছে যা স্বাধীনতা বিরোধীরা অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে।

পাশাপাশি কেউ ধার্মিক হলেই সে ছাগু হবে বা জামাত শিবির সমর্থক হবে এমনটা ভাবার কোন যৌক্তিকতা নেই। কিন্তু একটা সময় ছুপা জামাতিরা আওয়ামী বেশভুষা ধারন করে সাধারন ধর্মপ্রান মানুষকে জামাত শিবির ট্যাগ দিতো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতার লোভে এই বিষয়গুলোতে পাত্তাই দেয় নাই। তারা দেখেছে বাহ! রাস্তার কুত্তাটাও তো আওয়ামী লীগ করে, ঘেউ ঘেউ করে বলে জয় বাংলা। এটাই তাদের স্বমেহনের তৃপ্তি দিতো।

তবে ছুপা ছাগু এবং জামাত মেন্টালিটির লোক আছে যারা ভাবে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি ভালোবাসা আর সম্মান মানেই বুঝি লীগ সমর্থক। এরা হলো কৃমি টাইপ মানুষ আর কৃমির কাছে পেটটাই দুনিয়া। না ভুল বললাম, কৃমি না, উনারা চিংড়ি সমতুল্য মানুষ। কেননা চিংড়ির মাথা ভর্তি হাগু, উনাদেরও তাই। ফলে এই সব লোকজন নিজেদের চিন্তাধারার বাইরে যেতে পারে না যতই পড়াশোনা, বয়স, অভিজ্ঞতা কিংবা ভদ্র ও উন্নত পরিবেশে থাকার সুযোগ হোক না কেন।

আমি একজন সচেতন মানুষ হিসাবে শুধু বাংলাদেশপন্থি। এই দেশের স্বাধীনতার পক্ষে আমার অবস্থান। আর তাই সকল শ্রেনীর ছাগুদের বিরুদ্ধে মেশিন চলবে। এটা শুনে কারো অনুভূতি আহত হলে, আই ডোন্ট গিভ এ ড্যাম! ও আর একটা বিষয় - ছাগুদের উপযুক্ত প্যাদানি এবং ঘাপানি দেয়াকে আমি নৈতিক দায়িত্ব বলেই মনে করি সেটা হোক ব্লগ কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩
২৮টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

"বিস্মৃতি"

লিখেছেন দি এমপেরর, ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৫


সে যে আজ কোথা হারিয়ে গিয়েছে, আঁধার ছেয়েছে ঘনঘোর কালো;
চাঁদ নেই তারকারাজিও উধাও, নেই জ্বলে কোথা টিমটিমে আলো!
সে যে জানে শত হৃদয়ের কথা, মায়াজালে ঘেরা হাজার স্মৃতি!
কত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথা হালকা পোষ্ট!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:০৭

অবিশ্বাস্য হলেও লেকটির অবস্থান খোদ ঢাকায়; কেউ কি এর লোকেশন বলতে পারেন?



কাটা তরমুজের ছবিটা দেবার বিশেষ মাজেজা আছে;
উটিউবে একজন কামেল বুজুর্গান পাকা সূমিষ্ট তরমুজ কেনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

এলার্ট : শেখ হাসিনা আজ রাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৪৭


বাংলাদেশের মানুষ কল্পনা করতে খুব ভালোবাসে। গুজব ও অপতথ্য শেয়ারে বাংলাদেশের মানুষ প্রথমদিকে থাকবে বলে অনেকের বিশ্বাস । দেশের মানুষের পাঠ্যবই ছাড়া অন্য কোনো বইয়ের প্রতি আগ্রহ নেই। আত্নউন্নয়ন মূলক... ...বাকিটুকু পড়ুন

তামিম ইকবাল কি একবার ফেসবুক লাইভে এসে শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাবেন?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৫৮



আজ দুইবার ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকের পরেও তামিম বেঁচে আছেন যে হাসপাতালের ডাক্তার-স্টাফদের কারণে, সেটি গাজীপুরের একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল, যা শেখ হাসিনার মায়ের নামে। তামিমের এতটাই খারাপ অবস্থা ছিলো যে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

=খন্ড কাব্য ১-৪=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:৫৮


১।মনের অসুখ, মন আকাশ বৃষ্টির ভারে নুয়ে পড়েছে
চোখে বৃষ্টি নামার আগেই তুমি, বলো ভালোবাসি
অথবা চোখে তাকিয়ে বলো এ কাজল চোখে মানায় না বৃষ্টি
বলো, তুমি হাসো মন খুলে
ব্যস! চাই না কিছু... ...বাকিটুকু পড়ুন

×