সম্প্রতি জামাত শিবিরের একটি প্রকাশনায় উল্লেখ করা হয়েছে— "মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ছিলো কিছু মুসলমানের ভুল ও অদূরদর্শিতা।" এই বক্তব্য মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্পর্কে তাদের সুস্পষ্ট মনোভাব এবং দলীয় আদর্শ যা তারা বরাবরই লালন করে আসছে।
বর্তমানে অনেকে জামাতের তথাকথিত "সুশীল রূপ" দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন, কিন্তু জামাতের সুশীল রুপের আড়ালে যে গিরগিটি থাকে সেটা আবারও প্রমানিত। তারা খুব কৌশলে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ধর্মকে দাঁড় করাবার চেষ্টা করে দেখল যে জনগন কিভাবে রিএ্যাক্ট করে। অনেকটা রাজাকার শব্দের পেছনে ব্র্যাকেটে 'রাজাকার' অর্থ যে 'স্বেচ্ছাসেবক' তা বুঝানোর জন্য। কিন্তু যখন দেখল দেশের অধিকাংশ মানুষ এই কুট কৌশল ধরে ফেলেছে তখন তাহারা উক্ত লেখককে বলির পাঠা বানিয়ে ব্যাখ্যা দিলো - "প্রতিটি লেখকের স্বাধীন মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে, সেই হিসাবে ইহা প্রকাশ করা।"
এই প্রসঙ্গে ব্লগের একটা ঘটনা মনে পড়ল। কিছুদিন আগে একজন ব্লগারের পোস্টে আমি রাজাকারদের ‘মাদারচোদ’ বলেছিলাম। শব্দটা মূলত হবে – মাদারচোদ এবং মোনাফেক। যাইহোক আমার এহেন মন্তব্যে ব্লগের বিশিষ্ট কুলীন সমাজে বিশাল হাউ কাউ আর হুক্কাহুয়া! ব্লগে প্রকাশ্যে এই শব্দটির ব্যবহার দেখে অনেকেই বিস্মিত। এর মধ্যে আমাদের এক ব্লগার ভাই জানালেন - আমি নাকি রাজাকারদের মাদারচোদ বলার মাধ্যমে উক্ত ব্লগারকেই রাজাকার বলেছি। হলি গোট! মাদারে ছাগু!
কতক্ষণ প্রাণ ভরে হাসার পর একটা বাংলা প্রবাদ মনে পড়ল। হাসতে হাসতে পাশের খোলা জানালা দিয়ে থুতু ফেললাম। ভাগ্যিস জানালা খোলা ছিলো। ( যে দিকে থুতু ফেলেছি সেদিকে কোন চলাচল নেই। এই ব্যাখ্যা দিলাম নচেৎ ভাষাবিদ, ব্যাকরণবিদ এর পাশাপাশি নতুন নতুন পরিবেশবিদের প্রাদুর্ভাব ঘটবে) )
পাশাপাশি আরো শুনলাম আমি নাকি ফ্যাসিস্টদের সহযোগী, সহমর্মী, দোসর,আফসোস লীগকে ব্লগ লিজ দেয়ার অন্যতম হোতা। আরো জানলাম, মত প্রকাশের একটা সীমা থাকা উচিত এবং ব্যক্তিগত লেখা বা মত প্রকাশের দায়ও প্রতিষ্ঠানের। এই দিকে শিবির তাদের ব্যাখ্যায় জানিয়েছে - প্রতিটি লেখকের স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগ আছে। কারো ব্যক্তিগত মত প্রকাশের দায় প্রতিষ্ঠান বা প্রকাশকের নয়। এখন হাসতে হাসতে আবার দেখি – ঠাকুর ঘরে কে রে!! আমি তো কলা খাই না।
যাইহোক, জামাত-শিবিরের এসব নাটক নতুন কিছু নয়। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সামান্য কথা বললেই ওদের মুখোশ খুলে যায়। জামাত ইসলামের নামে রাজনীতি করে, কিন্তু আসলে এরা একদল মোনাফেক, যারা ধর্মকে ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে। দলটির আজকের এই উত্থানের দায় ভার নিতে হবে ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে ফ্যাসিস্টে পরিণত হওয়া আওয়ামী লীগের! নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে স্বস্তা আর হাস্যকর বানিয়েছে যা স্বাধীনতা বিরোধীরা অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে।
পাশাপাশি কেউ ধার্মিক হলেই সে ছাগু হবে বা জামাত শিবির সমর্থক হবে এমনটা ভাবার কোন যৌক্তিকতা নেই। কিন্তু একটা সময় ছুপা জামাতিরা আওয়ামী বেশভুষা ধারন করে সাধারন ধর্মপ্রান মানুষকে জামাত শিবির ট্যাগ দিতো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতার লোভে এই বিষয়গুলোতে পাত্তাই দেয় নাই। তারা দেখেছে বাহ! রাস্তার কুত্তাটাও তো আওয়ামী লীগ করে, ঘেউ ঘেউ করে বলে জয় বাংলা। এটাই তাদের স্বমেহনের তৃপ্তি দিতো।
তবে ছুপা ছাগু এবং জামাত মেন্টালিটির লোক আছে যারা ভাবে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি ভালোবাসা আর সম্মান মানেই বুঝি লীগ সমর্থক। এরা হলো কৃমি টাইপ মানুষ আর কৃমির কাছে পেটটাই দুনিয়া। না ভুল বললাম, কৃমি না, উনারা চিংড়ি সমতুল্য মানুষ। কেননা চিংড়ির মাথা ভর্তি হাগু, উনাদেরও তাই। ফলে এই সব লোকজন নিজেদের চিন্তাধারার বাইরে যেতে পারে না যতই পড়াশোনা, বয়স, অভিজ্ঞতা কিংবা ভদ্র ও উন্নত পরিবেশে থাকার সুযোগ হোক না কেন।
আমি একজন সচেতন মানুষ হিসাবে শুধু বাংলাদেশপন্থি। এই দেশের স্বাধীনতার পক্ষে আমার অবস্থান। আর তাই সকল শ্রেনীর ছাগুদের বিরুদ্ধে মেশিন চলবে। এটা শুনে কারো অনুভূতি আহত হলে, আই ডোন্ট গিভ এ ড্যাম! ও আর একটা বিষয় - ছাগুদের উপযুক্ত প্যাদানি এবং ঘাপানি দেয়াকে আমি নৈতিক দায়িত্ব বলেই মনে করি সেটা হোক ব্লগ কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩