অনেকেই জিজ্ঞেস করেন যে নির্বাচিত আর অনির্বাচিত সরকারের মধ্যে পার্থক্য কি?
একটি নির্বাচিত সরকার জনগণের মতের মূল্যায়ন করেন, সম্মান করেন এবং সেইভাবেই কাজ করার চেষ্টা করে। আর একটি অনির্বাচিত, অগণতান্ত্রিক সরকার জনগণের মতামতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায়, চার পয়সার দামও দেয় না। তারা সব কিছুকে পেশি শক্তি দিয়ে নিয়ন্তন করতে চায়। একটি অনির্বাচিত সরকারের পেশি শক্তি সব সময় বেশি থাকে।
জনগণের ভোটে নির্বাচিত একজন সরকার প্রধান হয়ত বলতে পারতেন, "আমরা ছাত্রদের দাবির প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আমরা এই বিষয়ে অবশ্যই কাজ করব। আমরা আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের সাথে বসতে চাই, তাদের সাথে আলোচনা করে, আগামী সংসদ অধিবেশনে আমরা এই সংক্রান্ত বিষয়ে পরিপত্র জারি করব। অনুগ্রহ করে আপনারা সবাই শান্ত হোন, ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যান এবং শান্তিপূর্ণ অবস্থান করুন"
একটি অনির্বাচিত, ফ্যাসিস্ট সরকার যতই আদর্শের কথা বলুক - সেটা মিথ্যে, দম্ভ আর ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্যই বলে। একটি অনির্বাচিত সরকারের কাছে জনগনের মৃত্যূর কোন মুল্য নেই। তারা পেশি শক্তি দিয়ে সব কিছু দমন করতে চায়। গণ মানুষের অন্তরে লালন করা আদর্শকে মিথ্যে ধারন নিজেদের কার্যসিদ্ধি করে। এর প্রমাণ, এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করেই দেশের হাজার হাজার টাকা দুর্নীতি করে পাচার করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে, বেনজির আর পিয়নটা টাকা পাচার করে বিদেশে পালিয়ে যায়। তাদের খালি ব্যাংক একাউন্ট আর সোনার মোহরের খালি কলসি উদ্ধার করে সেটাকে প্রবল বেগে বাজানো হয়। কিন্তু তারা থাকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
আমি এখনও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই কোটা আন্দোলন এমন কোন দাবি ছিলো না যার জন্য এত রক্ত ঝরাতে হবে, এত মায়ের বুক খালি হবে। কিন্তু রক্ত যখন দিয়েছেন, আমাদের মায়েদের বুক যখন খালি হয়েছেই তখন সেটা আরো গুরুত্বপূর্ণ দাবির জন্যই হওয়া উচিত। সময় এসেছে একটি নির্বাচিত সরকারের জন্য দাবি জানানোর। যে সরকার দেশকে রক্ষ করবে, দেশের মানুষকে মূল্যায়ন করবে এবং তাদের রক্ত-তৃষা নেই।
মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের দেশকে রক্ষা করুক।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:১৭