বিখ্যাত স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান Mark Gungor এর "Tale of two brains" নামের একটা পছন্দ হওয়া পার্ফরম্যান্সের কিছু অংশ অনুবাদের ব্যর্থ চেস্টা। এই অংশে উনি মজা করে ছেলে আর মেয়েদের চিন্তা-ভাবনার পার্থক্যগুলো দেখাতে চেয়েছেনঃ
"প্রথমে ছেলেদের ব্রেন নিয়ে কথা বলা যাক। ছেলেদের ব্রেন খুব ইউনিক। এটা অনেকগুলো ছোট ছোট বাক্স নিয়ে গঠিত। আমাদের ছেলেদের সবকিছুর জন্য আলাদা বাক্স আছে। একটা বাক্স আছে গাড়ির জন্যে, একটা বাড়ির জন্যে, একটা চাকরীর জন্য, একটা টাকার জন্যে, একটা স্ত্রীর জন্যে, একটা ছেলেমেয়েদের জন্যে এবং একদম নিজের দিকে কোন কর্নারে মায়ের জন্যেও ছোটোখাটো একটা আছে। এবং আমাদের প্রধান নিয়ম হচ্ছে কোনমতেই একটা বাক্স আরেকটাকে স্পর্শ করে না।
যখন কোন ছেলে কোন নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে চিন্তা বা আলোচনা করে তখন সে সেই নির্দিষ্ট বাক্সের কাছে যায়, খুব সাবধানে বাক্সটি হাতে তুলে ন্যায়, তারপর আসতে করে খুলে শুধুমাত্র সেই বাক্সের মধ্যে যা থাকে তাই নিয়েই আলোচনায় বা চিন্তায় মন দেয়। তারপরে কাজ শেষে খুব খুব সাবধানে বাক্সটি ঠিক আগের জায়গায় এমনভাবে রেখে দেয় যেন কোনভাবেই অন্য কোন বাক্সকে সেটা স্পর্স না করে।
অন্যদিকে মেয়েদের ব্রেন ছেলেদের চেয়ে একদমই আলাদা। এটা অনেকটা বিশাল এক তারের কুণ্ডলী নিয়ে গঠিত এবং এমনভাবে গঠিত যে সবকিছুর সাথেই সবকিছুর যোগাযোগ রয়েছে। টাকার সাথে গাড়ি কানেক্টেড, গাড়ির সাথে তার চাকরী, চাকরীর সাথে ছেলেমেয়ে, ছেলেমেয়ের সাথে মা, বাবা, স্বামী; মোট কথা সবকিছুর সাথেই সবকিছু জটলা পাকানো। এটা অনেকটা ইন্টারনেট সুপার-হাইওয়ের মতো। এবং এটা পরিচালিত হয় একটা বিশেষ শক্তির সাহায্যে যাকে আমরা বলি "ইমোসন"। মেয়েরা কেন কোনকিছুই ভুলে যায়না এটাই তার কারণ। যদি জীবনের কোন একটা ঘটনাকে এই ইমোসনের সাথে সংযুক্ত করা হয় তাহলে সেটা মস্তিষ্কের মেমরিতে বার্ন হয়ে স্থায়ী জায়গা করে নেয় যেটা আর ভোলা সম্ভব হয়না।
ছেলেদের ব্রেনে একটা বিশেষ বক্স আছে যেটা সম্পর্কে মেয়েরা জানেনা। সেই বাক্সটা সম্পুর্ন খালি, ভেতরে একদম কিচ্ছু নেই। আমাদের ব্রেনে যতগুলো বাক্স আছে সবগুলোর মধ্যে এই খালি বাক্সটাই আমাদের প্রিয় বাক্স। ছেলেরা সময় পেলেই এই খালি বাক্সর মধ্যে থেকে ঘুরে আসে। এইজন্যই ছেলেরা একদম কিচ্ছু না করেও ঘন্টার পর ঘন্টা পার করে দিতে পারে যেটা মেয়েরা পারেনা। যেমন বলা যায় বড়শি দিয়ে মাছ ধরা। বড়শি ফেলে আমরা হাঁ করে পানির দিকে তাকিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা পার করে দিতে পারি। বা বাড়িতে বসে টিভির শুধু রিমোট ঘুরিয়ে যাওয়ার মতো, আসলে কিছুই দেখছি না শুধু চ্যানেল পালটিয়ে যাচ্ছি। একটু পরেই দেখা যাবে স্ত্রী পাশে থেকে চিল্লাচ্ছে - "কি করতেছ? শুধু চ্যানেল ঘুরাচ্ছ? কিছুই তো দেখতেছ না।"
বেশ কিছুদিন আগে ইউনিভার্সিটি অব পেন্সাল্ভেনিয়া একটা রিসার্চ করে দেখতে পায় ছেলেদের মস্তিষ্ক সত্যি সত্যিই একদম কিচ্ছু চিন্তা না করেও শুধু শ্বাস-প্রশ্বাস চালিয়ে যেতে পারে। মেয়েরা এটা কিছুতেই পারেনা, তাদের মস্তিষ্ক কখনই চিন্তা করা থামাতে পারেনা। সবসময়েই কোন না কোন চিন্তা নিয়ে ব্যাস্ত থাকে।
এই কারণে ছেলেদের এই ফাকা বাক্সর কনসেপ্ট তারা কিছুতেই বুঝতে পারেনা। তারা অবাক এবং একি সাথে এই চিন্তা করে বিরক্ত হয় যে ছেলেরা কিভাবে এইরকম কিছুই না করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় পার করে?
তাদের মস্তিষ্কের এই অদ্ভুত গঠন তাদের মেন্টাল স্ট্রেস ডিল করার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও মজার প্রভাব ফেলে। যখন কোন ছেলে খুব স্ট্রেস ফিল করে তখন সে চায় যেভাবেই হোক তার সেই ফাকা বাক্সর কাছে ছুটে যেতে। এই মুহুর্তে আমরা সবথেকে বিরক্তবোধ করি কথা বলতে। আমরা চাই একদম কিছু না করে চুপচাপ একা একা কিছু সময় পার করতে। ঠিক তখনই আমাদের স্ত্রীরা আমাদের কাছে এসে কথা বলতে শুরু করে- এভাবে চুপচাপ কি ভাবছ? কি হোল? কথা বলোনা কেন? ব্লা ব্লা ........ আর জাবাবে আমরা যদি একবার বলি - "কিছুই না" তাইলেই খবর আছে। নিশ্চয়ই তুমি কিছু ভাবছ? আমার কাছে থেকে কি লুকাচ্ছ? দেখো আমার কাছ থেকে কিছু লুকায় রাখতে পারবা না ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা। তারা এই "কিছুই না ভাবার" কনসেপ্টটা ধরতেই পারে না।
আর যখন কোন মেয়ে স্ট্রেস ফিল করে তাহলে সে যেটা চায় সেটা হোল ব্যাপারটা নিয়ে কারো সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা প্যাচাল পারতে। সে এমন ফিল করে যে ব্যাপারটা নিয়ে কথা না বলতে পারলে মনেহয় তার ব্রেন যেকোনো সময় বার্স্ট করবে। এবং অবশ্যই উপরোক্ত কারণে তাদের স্বামীরা এটাকে ঘ্রিনা করে। সবথেকে মজার ব্যাপার হোল কোন মেয়ে যখন তার স্বামীর কাছে তার স্ট্রেসের কারণগুলি অভিযোগের সুরে শেয়ার করতে থাকে তখন ছেলে মনে করে হয়ত তার স্ত্রী তার কাছ থেকে কোন সল্যুশন চাচ্ছে। কারণ ছেলেরা সবসময় সেটাই করে। ছেলেরা একমাত্র তখনি তার সমস্যা অন্য কোন ছেলেকে শেয়ার করে যখন তার কাছ থেকে সে কোন সল্যুশন আশা করে। কিন্তু সাবধান, মেয়েদের ক্ষেত্রে আপনি যদি এই কাজ করতে যান তাইলে খবর আছে। আপনার স্ত্রী আপনার কাছে কোন সাহায্য চায়না, উপদেশও চায়না, শুধু চায় আপনি চুপচাপ বসে তার কথাগুলো শোনেন। এরমধ্যে আপনি একটা শব্দ উচ্চারণ করলেও "তুমি কখনই আমার কোন কথা শোনো না" ট্যাগ খাবেন নিশ্চিত থাকেন।"