বয়সের সাথে গানের রুচির পরিবর্তনগুলা খুব মজার। আমি দেখেছি সময়ের সাথে গানের রুচি বাঙ্গালী ছেলেদের অনেকটা এভাবে পরিবর্তিত হয়।
স্কুল জিবনেঃ বালাম, জুলি, হাবিব, ন্যান্সি, আরেফিন রুমি, পরশি, হৃদয় খান, ফুয়াদ, মিলা, কনা, এলিটা।
কলেজ জীবনেঃ সুমন, অঞ্জন, নচিকেতা, বাপ্পা, তপু, তাহসান, এস আই টুটুল, স্টইক ব্লিস, আইয়ুব বাচ্চু, শিরোনামহীন, লিঙ্কিন পার্ক আর প্রায় সকল হিন্দি গান।
ভার্সিটি ১ম বছরঃ আর্টসেল, শিরোনামহীন, অর্থহীন, সোলস, মাইলস, অর্নব, ওয়ারফেজ, সুমন, আনিলা, টেইলর সুইফট, এভ্রিল, ব্রিটনি, হিলারি ডাফ, বিয়ন্সে, এমিনেম, এনরিকে, গ্রিন ডে, ফর্ট মাইনর আর লেটেস্ট রিলিজ পাওয়া হিন্দি মুভির গান একটাও মিস নাই।
ভার্সিটি ২য় বছরঃ একটু ভাব, বাংলা কোন গায়ক বা ব্যান্ডরে গোনেই না প্রায়। তখন মেটালিকা, আয়রন মেইডেন, মেগাডেথ, ব্ল্যাক সাবাথ, গান্স অ্যান রোসেস, মিউস, প্যারামোর ছাড়া শোনেই না। আর বাংলা শুনলেও, আর্টসেল, মেটাল মেইজ, নেমসিস, পাওয়ারসার্জ এইগুলা। ভাবের ঠ্যালায় এই সময়ে হিন্দি গানেও একটু অরুচি ধরে।
ভার্সিটি ৩য় বছরঃ রুচিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। তখন সাহানা বাজপেই, আনুসেহ আদিল, অনুপম রয়, লালন, লোকজ গান, শাহ আব্দুল করিম, বারি সিদ্ধিকি, কৃষ্ণকলি, লালন ব্যান্ড, সঞ্জিব চৌধুরী, মৌসুমি ভৌমিক, কবির সুমন, আবারও সেই পুরনো মাইলস, সোলস, ভাইব, শূন্য, অর্নব, তপু, ক্লাসিক বাপ্পা আর প্রচুর পরিমান রবীন্দ্রসঙ্গীত। ইংলিশ আর তেমন শোনাই হয়না, হলেও বাছাই করা অল্প কিছু। হিন্দি আবার কিছুটা শুরু। এ আর রাহমান, শ্রেয়া ঘোষাল আর মেলডিয়াস হিন্দির তখন চরম ফ্যান।
ভার্সিটি ৪র্থ বছরঃ চরিত্র ও রুচিতে গাম্ভীর্য আসে। বাংলা বলতে তখন মেঘদল, ভাইব, সিলেক্টেড কিছু ওয়ারফেজ, মোহিনের ঘোড়াগুলি, আবার সুমন - অঞ্জন, মান্না দে, সচিন দেব বর্মন, আব্দুল আলিম, আব্দুল জব্বার, পুরনো দিনের গান, ক্লাসিক বাংলা, নজরুল- রবীন্দ্র ইত্যাদি ইত্যাদি। বুঝতে পারে আসলে বাংলা গানের জগত কত সমৃদ্ধ। হিন্দি শোনার আর সময়ই পায় না। শুনলেও হাতে গোনা কয়েকটা। ইংলিশ চলে; জন লেনন, ডেনভার, ব্রায়ান অ্যাডামস, বব মারলে, এলভিস, রিকি মার্টিন, জ্যাক্সন, মোজার্ট এইগুলা।
## এটা চিরসত্য কোন সমীকরণ নয়। মানুষভেদে অবশ্যই ভিন্ন হতে পারে।