আপডেট নিচে।
সারা দেশে জামায়াত শিবিরের তাণ্ডবে নিহত ৪ :
নিহতদের মধ্যে গাইবান্ধায় ২, ঝিনাইদহে ১ ও সিলেটের একজন রয়েছেন।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলায় হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় ২ জন নিহত ও ৩ জন গুলিবিদ্ধ হন।
এছাড়া এ সংঘর্ষের ঘটনায় সোহেল (২৫), সজিত (১৮) ও পাপুল মিয়া নামে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সিলেটে জামায়াত-শিবিরসহ কথিত ইসলামী দল ও পুলিশের মধ্যে সংর্ঘষে আহত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।আহতদের সবাইকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানেই একজন মারা যায়। তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে, ঝিনাইদহে জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর সহিংসতার মধ্যে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে একজন নিহত হয়েছে। এসময় তিনজন সাংবাদিককে মারধরও করা হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম আবদুস সালাম (৫৫)।
শাহবাগে ‘ফিরছেন’ আন্দোলনকারীরা
দেশের কয়েকটি স্থানে ‘শাহবাগবিরোধীদের’ হামলা-ভাঙচুরের পর গণজাগরণ মঞ্চে ফিরতে শুরু করেছেন আন্দোলনকারীরা।
অনলাইন সংবাদপত্র, টেলিভিশন চ্যানেলসহ ফেইসবুক ও ব্লগে এসব খবর পেয়ে বেলা সোয়া ৩টার দিকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে জড়ো হতে শুরু করেন যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ও জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনকারীরা।
সিলেট:
১জন নিহত।
ইসলামী দলগুলোর বের করা বিক্ষোভ মিছিল থেকে সিলেট গণজাগরণ মঞ্চে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো পর পাশেই একটি পুলিশ ভ্যানে আগুন দেওয়া হয়েছে।জুমার নামাজের পর জঙ্গি মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাংচুর ও মাতৃভাষা দিবসে দেয়া ফুলে আগুন দেয়া হয়েছে। এসময় পুলিশ শতাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এখন পর্যন্ত ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ১০ জনকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।
বিকেল ২টা ৫০ মিনিট থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলাকালে সিলেটে জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, শহীদ মিনার ও গণজাগরণ মঞ্চ এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
শাহবাগবিরোধীদের তাণ্ডব :
জুমার নামাজে পর রাজধানীর বায়তুল মোকাররম, পল্টন ও কাঁটাবন, মিরপুর, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে শাহবাগের গণজাগরণবিরোধীরা।হামলা-সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেও। ইসলামী ১২ দলের কর্মসূচিকে ব্যবহার করে জামায়াতে ইসলামী কর্মীরা এই সহিংসতা চালিয়ে থাকতে পারে বলে পুলিশের ধারণা।
ঢাকা ও চট্টগ্রামে হামলার শিকার হয়েছেন সংবাদকর্মীরাও।
প্রায় দেড় ঘণ্টার সংঘর্ষে অন্তত ২৩ জন আহত হন। ওই সময় শাহবাগ থেকে মতিঝিলমুখী রাস্তায় জান চলাচল বন্ধ থাকে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেনঃ- মাছরাঙা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার আব্দুল্লাহ তুহিন ও এটিএন বাংলার ক্যামেরাম্যান ইমরান তুহিন,একাত্তর টিভির ক্যামেরাম্যান আরিফুজ্জামান পিয়াস, গাজীটিভির মাসুদুর রহমান এবং আরিফুর রহমান হীরা, আল-আমিন ও হাসান,লালবাগ পুলিশের সহকারী কমিশনার (পেট্রোল) রেজাউল করিম।
এদের মধ্যে ৫জনকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রাজশাহীতে গণজাগরণ মঞ্চ ভাংচুর :
শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের সমর্থনে রাজশাহীর সংহতি গণমঞ্চে জামায়াত-শিবির কর্মীরা হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার জুমার নামাজের পরপরই নগরীর সোনাদীঘি মসজিদ থেকে ‘ঈমান ও আকিদা হেফাজত কমিটি’র ব্যানারে মিছিল নিয়ে এ হামলা চালানো হয়।
এর কিছু পরে বিক্ষদ্ধ জনতা আলুপট্টি মোড়ে ইসলামী ব্যাংকের রাজশাহী কর্পোরেট শাখায় ভাংচুর করে আগুন দেয়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার মনিরুজ্জাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঈমান ও আকিদা হেফাজত কমিটির ব্যানারে মূলত জামায়াত-শিবির কর্মীরা এ হামলা চালায়।”
নগরীর আলুপট্টি মোড়ের সংহতি গণমঞ্চে হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে ফেরার পথে কুমারপাড়া এলাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়েও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে মিছিলকারীরা।
কুমারপাড়া, সাহেববাজার, সোনাদীঘি মোড়, লক্ষ্মীপুর, রামুবাজারসহ কয়েকটি জায়গায় পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবির কর্মীদের সংঘর্ষ ও দাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয় বলে পুলিশ কমিশনার জানান।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের প্রতি সংহতি জানিয়ে গত দু সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গণমঞ্চ পরিচালনা করে আসছিলেন রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
গণমঞ্চ ভাংচুরের কিছুক্ষণ পর বিক্ষুদ্ধ জনতা আলুপট্টি মোড়ে ইসলামী ব্যাংকের রাজশাহী কর্পোরেট শাখায় ভাংচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়।
পরে পুলিশ জলকামান দিয়ে সেই আগুন নিভিয়ে দেয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি।
সুত্রঃ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
মিরপুর,গাজিপুরেও ছড়িয়ে পড়েছে সংঘর্ষ।
চট্টগ্রামের পর রাজশাহীতেও চলছে ব্যাপক সংঘর্ষ।
নিউজ নিচেঃ
রাজশাহী থেকে: ঢাকা চট্টগ্রামের মতো রাজশাহীতেও পুলিশের সঙ্গে সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদের ব্যানারে জামায়াত শিবির নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছে। আলুপট্টিতে স্থাপন করা গণজাগরণ মঞ্চও ভেঙে ফেলার খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর নগরীর সাহেববাজারস্থ জিরো পয়েন্ট থেকে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। আর এতই সংঘর্ষ বাধে। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। মিছিল থেকে পুলিশের প্রতি ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ছোড়ে।
সংঘর্ষ জিরো পয়েন্ট থেকে কুমারপাড়াস্থ মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়সহ সোনাদীঘীর মোড় পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, আল্লাহ, রাসুল (সা.) ও ইসলাম নিয়ে কটূক্তিকারী ব্লগারদের শাস্তি এবং ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে দেশের সাড়ে চার লাখ মসজিদ থেকে বাদ জুমা এই বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল জামায়াতসহ ইসলামী সমমনা ১২দল।
সুত্র
জুমার নামাজে পর রাজধানীর বায়তুল মোকাররম ও পল্টন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে কয়েকটি ইসলামপন্থী সংগঠনের কর্মীরা।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নামাজের জন্য পাতা গালিচায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে জামায়াত ঘেঁষা ইসলাম আশ্রয়ী দলগুলোর নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার জু’মার নামাজের পর তাদের শাহবাগ অভিমুখী জঙ্গি মিছিলে পুলিশ বাধা দিয়ে তারা বায়তুল মোকাররমের উত্তর দিকের সিঁড়ি সংলগ্ন এলাকায় পাতা নামাজের গালিচায় আগুন ধরিয়ে দেয়। লিংক
তবে মসজিদের খাদেমরা দ্রুত ছুটে এসে আগুন নেভানোর উদ্যোগ নেয়। আসে ফায়ার সার্ভিস। ফলে বড় ধরনের আগ্নিকাণ্ডের কবল থেকে রক্ষা পায় জাতীয় মসজিদ।
পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
দুপুর পৌনে ১টার উত্তর গেইটের দিকে মসজিদের ভেতর থেকে কিছু মুসুল্লি রাস্তায় অবস্থান নেয়া পুলিশের দিকে ঢিল ছুঁড়তে শুরু করে।
এ সময় মাছরাঙা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার আব্দুল্লাহ তুহিন ও এটিএন বাংলার ক্যামেরাম্যান ইমরান তুহিন ছবি তুলতে তুলতে মসজিদের দিকে এগোলে কিছু মুসুল্লি তাদের মারধর করে।
পরে জুমার নামাজ শেষে ইসলামী সংগঠনগুলোর কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের দিকে এগোনোর সময় তোপখানা রোডে ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয়ের সামনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে তৈরি তোরণ ভাঙচুর করে।
এক পর্যায়ে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালালে শুরু হয় সংঘর্ষ। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে থাকে। অন্যদিকে হামলাকারীরা বৃষ্টির মতো ঢিল ছুড়তে থাকে। এ সময় বেশ কিছু হামবোমা বিস্ফোরণেরও শব্দ পাওয়া যায়।
সর্বশেষ খবরে জানা যায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে মিরপুরেও।
চট্টগ্রামেও হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮