বেশ আগের কথা।
ছেলেটার নাম মনু [মনে করি]। তা মনু'র মোবাইলের বেশ শখ। প্রায় ই মোবাইল সেট বদলায়। কিন্তু তার মনের দুঃখ, সে নোকিয়ার হাই এন্ড সেট কিনতে পারে না [বোধ হয় আব্বু দেয় না] তাই সে অনেক কষ্ট করে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ম্যানেজ করে একটা N-৯৬ কিনলো।
তারপর শুরু হইলো তার ভাব। দিনের পর দিন নসুর সবার সামনে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। একটা শেকল পড়ানো হইলো মহার্ঘ সেট'টির ঘাড়ে। "আহ, কে যে এত্ত মিসকল দ্যায়!" আর "ক'টা বাজে এখন" এই রকম অজুহাতে শুরু হতো তার গর্বিত মালিকানার প্রদর্শনী। সেই রকম সময়ে যখন সাধারন কালার ডিসপে মোবাইলের মালিকানাই হাই প্রেস্টিজ, মনুর অবস্থা যে শনৈ শনৈ তা বোঝা দুষ্কর নয়।
স্বভাব হয়তো চিরস্থায়ী কিন্তু ভাব অস্থায়ী। মনু বেচারাও বিপরীত কিছু দেখাতে পারল না। তাই একদিন তার ভাবের, শখের N-৯৬ টা কমোডে পড়ল [আক্ষরিক অর্থে, কোনো ড্রেনেও না]। কথিত আছে, কোনো এক নারীর সাথে কথা বলার প্রাইভেসি খুজতেই তার টয়লেট গমন এবং সেখানে কিছুটা প্রাকৃতিক কর্ম ও সম্পাদিত হয়েছিল বটে! ব্যস, কি আর করা! তোলার জন্য বেচারা মনু নাক চেপে হাত দিল কমোডে।
হায়! এখানেও বিধাতা মুচকি হাসল। [বিধাতাও ব্যাটা যেখানে-সেখানে হাসে, কাউকে প্রাইভেসি দ্যায় না!] সেট টা কমোডের মধ্যে ফ্ল্যাট, তাই তোলা যায় না। মনুও বদ্ধপরিকর। তুলবেই তার ভাব, না হয় পঙ্কিল হলো হাত। অনেকক্ষন গুতোগুতি, কুনো লাভ নাই। বাট এন আইডিয়া চেনজড্ দ্যা সিনারিও। জানালা খুলে শেডে উঠে মলদ্বার [পাইপ] খুল্ল সে। কিন্তু বের হবে কিভাবে সেই মোবাইল? আবার উঠলো বাথরুমে। ফ্ল্যাশের আঙটায় দড়ি বেধে নামলো শেডে। দড়ি ধরে মারলো টান, মল-মূত্র-পানি পরম বেগে গাইলো গান। তথাপিও মনু খুশি, কারন তার ভাবের N-৯৭ তার হাতে! মিশন সাকসেসফুল।
.................................পরিশিষ্টঃ........................................
মনু ইষ্টার্ন প্লাজায় গিয়েছিল তার মোবাইলের চিকিৎসার্থে। লাভ হয় নি, মেকানিকের সাফ কথা, ঠিক হবে না।
- জিনিস শ্যাষ। এটারে সাইজ করা সম্ভব না। তয় এক কাম কর্বার পারেন, কেচিংটা রাইক্কা দেই, কিচু টিঞা পাইবেন।
- এ্যাত্তো দামি মোবাইল, শখের ও ছিল ........ থাক!
- বেশ, আপনের যা ইচ্ছা! কিন্তুক ভাই সেট দেইখা তো পানিতে পড়া লাগে না। আসলে কি হইছে খুইলা কন তো?
- ইয়ে, এই পানিতে ........
- আমার জিবনে পুষ্কুনিত ডুইব্বা যাওয়া ফুনরেও ঠিক কইরালাইসি। কিনতুক এইডার ঘটনাতো ভিন্ন বলেই মালুম হয়!
কেউ কি তা আর বলে? কিন্তু মনু বলে দিলো ঈষৎ সংক্ষেপে। মেকানিকের হাত থেকে টুশ করে পড়ে গেল সেট, ক্ষুদ্ধ চোখে বল্লঃ আপনের সাহস হইলো কেমনে এই সেট আমার হাতে দেওয়ার?
*****************************************************************
অনেককককক দিন পর ফিরলাম এই ডেরায়। আগের মত রাতের পর রাত জাগা হয় না, দিনের ব্যস্ত সময় নিজের জন্য সময় রাখে খুব-ই কম! তারপরেও, কিছু সময় বের করে চেষ্টা থাকবে সবার সাথে থাকার। সবার সুন্দর সুন্দর লেখা পড়ার প্রত্যাশায় রইলাম।
উপরের লেখাটা সামহয়্যারেই ছিল, কিন্তু খুঁজে পেলাম না অনেক খুঁজেও। ড্রাফট ও ছিলো না, তাই নতুন করে আবার লিখলাম। বেশীরভাগের-ই ভাল না ও লাগতে পারে। ২/১ জনের ও লাগলে লেখাটা স্বার্থক।
ধন্যবাদ।