রাত প্রায় দু'টো। গান বাজনা একটু থেমেছে। আবার শুরু হবে একটু পরেই। একটা মদিরার ভাড় নিয়ে বসে আছি। প্রায় আটত্রিশ ঘন্টা পর কিছু খেয়েছি, ঐ হিপোক্রেট-ই খাওয়ালো। খাওয়ার জন্যই মনে হয় নিজের মধ্যে একটা শক্তি ফিরে পাচ্ছি। আতœ বিশ্বাসটাও ফিরতে লেগেছে। কিন্তু শর্মিলী ------ নাহ্ কিছু ভাবতে পারছিনা। কিন্তু বুঝতে পারছি আমাকে ঢাকায় ফিরতে হবে। আবার উঠে দাড়ালাম। গান গাবো। আর ঢাকায় হবে ফাইট।
সম্রাট, পাপ্পু, সিমন আর ফুয়াদ বসে আছে আমার সামনে।
সম্রাট ভাই, আমি কী করতে পারি বলো?
এটা কোন ব্যাপার নাকি?
বাহ! তুমি শুনেও বুঝলে না? চিঠিটা দেখনি?
তাতে কী? তোর বাবাকে একজন বললো এই নেন আপনার নাতি, আর সে বিশ্বাস করবে? মাথা নষ্ট!
পাপ্পু বলে বসলো, নারীরা হলো ফুলের মতো। একই ফুলতো একজন ফুলদানিতে সারা জীবন রাখতে পারে না। উপায় নাই! ওদিকে ফুয়াদ বললো, মহিলারা পর্দায় থাকার বস্তু। তারা বেপর্দা হলেই শয়তানের খপ্পরে পড়ে, Must!
চুপ থাকতো তুই। সবাই কী তোর লাবনী, এসে বলবে 'ফুয়াদ তোমাকে পাবো না কিন্তু তোমার একটা স্মৃতি চিহ্ন তো থাকুক' বলে পেট হাতাবে।
আহ সুমিত, খেপিস না। যা তোর ব্যবস্থা আমরাই করবো।
তইলে করো। আর পরশু আমি রেনীর কাছে যাচ্ছি।
আহা, যাচ্ছিস! গুড গুড, ইমপ্রুভ হচেছ।
পাপ্পুর খোঁচায় আমি একটু মুচকি হাসলাম।
লেকের বোটে বসে আছি আমি। গতকাল এখানেই রেনীর সাথে আমার দেখা হয়েছিল। অনেকণ বসেছিলাম আমরা। রেনিই শুরু করেছিল কথা। জীবনে হয়তো দেখা হবেনা ---------- ইত্যাদি সব কথা। আমি শুধু বলেছিলাম যে বাচ্চার কী হবে। ওটাই ছিল শেষ কথা। কে জানে কখনও হয়তো বা এই লেকের বুক থেকে রেনির লাশ পাবো। না, ও বহাল তবিয়তেই আছে। তবে আজকাল ওর লাশের কথা ভাবতে আমার কিন্তু খারাপ লাগে না। ওর গরুর মত দু'টো চোখ -------স্থির --------- এক দৃষ্ট !