সহকর্মী অভিনেতা-অভিনেত্রী, পরিচালক থেকে পরিচিত সকলেই চমকে উঠেছেন হাসিখুশী মেয়ে হিসাবে পরিচিত মিতা নূরের রহস্যজনক মৃত্যুতে। দিন শুরু না হতেই এমন এক দুঃসংবাদে দেশের মিডিয়া জগত ও টেলিভিশন দর্শকদের মাঝে নেমে এসেছে তীব্র শোকের ছায়া। গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত লাশ আজ ভোরে মিত নূরের বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এখন পর্যন্ত জানা যায়নি, এটি আত্মহত্যা না খুন? তবে মিতা নূরের বাবা ফজলুর রহমানের দাবী, স্বামীর নির্যাতনেই আজ তাঁর প্রানোচ্ছ্বল কন্যা মর্গের অন্ধকারে!
অভিনেত্রী মিতা নূরের রহস্যজনক মৃত্যুর পর তার স্বামী শাহানূর রহমান রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশ। ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তার রহস্য উদ্ধার সিআইডি বিভাগের ক্রাইমসিন ইউনিটের সদস্যরা বাসার বিভিন্ন জায়গা থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে বিছানা, আসবাবপত্র রয়েছে। এছাড়া যে ওড়না গলায় পেচিয়ে আত্নহত্যা করেছে সেটি জব্দ করেছে পুলিশ।
এছাড়াও, মিতা নূরের পরিবারের গাড়িচালক সবুজ জানান, মিতা নূর গতকাল রবিবার বাড়ি থেকে কোথাও বের হননি। এর আগে শনিবার দুপুরে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে বাসাবো এলাকায় গিয়েছিলেন।
ড্রাইভার আরো জানান, ঐদিন তিনি মোবাইলে ফোনে স্বামী শাহনূরের সাথে উচ্চস্বরে বাগবিতণ্ডা করেন। পরে অন্যদের সাথেও তিনি খারাপ ব্যবহার করেন। এরপর বিকেলে পুলিশের একটি ভ্যান নিকেতন অফিসে মিতার কাছে আসে। তবে কী কারণে পুলিশ অফিসে এসেছিল তা জানাতে পারেননি তিনি।
আজ দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে মিতা নূরের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মিতা নূরের মৃত্যুর সংবাদ শুনার পর গুলশানের বাসাতে অভিনেত্রী তারানা হালিম, রোকেয়া প্রাচী, শাহনুর, সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনী এবং অভিনেতা তারিক আনাম খান, আহসান হাবীব নাসিম এবং নির্মাতা আনজাম মাসুদ সহ আরো অনেকে ছুটে আসেন। তাঁদের প্রত্যেকেরই দাবী, মিতা নূর আত্মহত্যা করতে পারে না!