অস্ত্রের ঝনঝনানি নেই, নেই টানটান উত্তেজনা, গতির রোমাঞ্চ কিংবা মহাকাশের অন্তহীন শূন্যতা; এমনকি নেই রঙের বাহারি ছটা। পুরো গেইমটাই সাদা-কালোয় তৈরি। ভাবছেন, আদ্দিকালের কোনো গেইম নিয়ে এ আলোচনা। মোটেও তা নয়, 'লিম্বো' নামের এই গেইম বাজারে এনেছে। ডেনমার্কভিত্তিক উন্মুক্ত গেইম নির্মাতা প্লেডেড।
‘লিম্বো’ গেমের জগতের একটি মাস্টারপিস, এটি আমার কথা নয় দুনিয়ার সেরা সব গেম রিভিউয়ারদের কথা। অনেকে অনেক ধরণের গেমই খেলেছেন কিন্তু এ গেমটি সবার থেকে আলাদা। সাদাকালো পটভূমিতে এতো চমৎকার একটি গেম ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যার সামনে অন্য গেমের চোখ ধাঁধানো গ্রাফিক্সও ফিকে হয়ে যাবে। গেমটি বেশিরভাগ গেম রিভিউ সাইট ও সমালোচকদের দৃষ্টিতে শতভাগ পয়েন্ট অর্জন করার গৌরব অর্জন করেছে। শুধু তাই নয় গেমটি গেম ইনফরমারের বেস্ট ডাউনলোডেবল, গেমস্পটের বেস্ট পাজল গেম, কোটাকুর বেস্ট ইন্ডি গেম, গেম-রিএ্যাক্টরের ডিজিটাল গেম অব দ্য ইয়ার, স্পাইক টিভির বেস্ট ইন্ডিপেন্ডেন্ট গেম, এক্স-প্লের বেস্ট ডাউনলোডেবল গেম, আইজিএনের বেস্ট হরর গেম হিসেবে পুরস্কার পাওয়া ছাড়াও মোট ৯০টি পুরস্কার লাভ করেছে। গেমটি একটি গা ছমছমে হরর গেমের পাশাপাশি বেশ ভালোমানের একটি পাজল গেমও বটে। ভিডিও গেমও যে একটা আর্ট হতে পারে তা এ গেমের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। এটি এক্সবক্স লাইভ আর্কেডের তৃতীয় শীর্ষ স্থানীয় বেশি বিক্রয়কৃত গেমের তালিকায় রয়েছে, যা প্রায় ৭.৫ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। গেমটি টুডি ও থ্রিডি উভয় ভার্সনেই খেলা যায়। টুডি ভার্সনে খেলার সময় শিফট+৩+ডি চাপলে থ্রিডি মোডে গেম চালু হয়। গেমটি সাদাকালো হলেও গেমটি বেশ ভয়ানকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। গেমটি নামকরা হরর গেমের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।
গেমটি খেলার জন্য খুব হাই ফাই ধরনের পিসির প্রয়োজন হবে না। সাধারন মানের যেকোনো কম্পিউটারে গেমটি খেলা যাবে। আর যেহেতু ওপেন সোর্স গেম, তাই অনেক ওয়েব সাইট থেকেই গেমটি ডিরেক্ট অথবা টরেন্ট প্লাটফর্মের সাহায্যে গেমটি ডাউনলোড করে নেয়া যাবে।
তথ্য সুত্রঃ ইন্টারনেট
আরও সুন্দর সুন্দর গেমের রিভিউ ও ডাউনলোড লিংক এর জন্য ঘুরে আসতে পারেন ঃ বাংলাদেশি গেমারস