অজ্ঞাতকারণে কিছু মানুষের মনে হয় আমি কবিতা বুঝি।
মোটেও সেটা না।
আমার মামা হসপিটালে। ঔষুধ কেনার জন্য ঘুরছি। এক কবি ফোন দিলেন, ধরতেই টানা তিন মিনিট আবৃতি। কীসব কীসব বললেন। কঠিন সব শব্দ। শুধু বুঝলাম, সূর্যাস্ত, তুমি, অনেক সুন্দর, ভালোবাসি...
আবৃতি থামতেই আবৃতির ঢঙ্গে, কেমন লাগলো ভাই? আমি কতদূর যেতে পারবো?
ওদিকে আমি ওষুধ না পেয়ে ফোনের কথা ভুলে গেলাম। বড় মামাতো ভাইকে বললাম, রিকশা নেন।
আমাকে ভুল বুঝলেন কবি। ফোন কেটে দিলেন। প্রথমে না পারলেও পরে বুঝলাম, তার দুরে যেতে চাওয়া আর আমার রিকশা নিতে বলাকে মিলিয়ে ফেলেছেন।
আমি আর আমার বাবা ক্যাবে। একজন ফোন দিয়েছে, ভাই দুলাইন শোনাবো?
কী?
কাব্য। বলেই শুরু করে দিলেন। তখনই ক্যাব থেমে গেল। ড্রাইভার বের হয়ে কীসব কীসব করলো, দেখতে আমিও বেরুলাম। ওদিকে কবিতা চলছে।
ড্রাইভার ইশারায় বললো, ঠেলতে হবে।
কবি কবিতা শেষ করে মতামতের জন্য অপেক্ষায়, ভাই আমার কবিতা কী আপনাকে টানলো?
ওদিকে বাবা জিজ্ঞাসা করলেন, কী সমস্যা?
বললাম, ঠেলতে হবে।
এই কবিও দুঃখ পেলেন। তবে রাখার আগে বললেন, ঠেলা ধাক্কায় কাব্য হয়না ভাই। এটা ভেতর থেকে আসে।
আমি কিছু বলতে যাবার আগে কবি ফোন রেখে দিলেন।
এসব কবিদের আমি স্পেশাল নামে সেভ করে রেখেছিলাম, নামের পাশে 'কবিতা শোনায়' লিখে।
ফোন পাল্টানোর কারনে সেসব নতুন মোবাইলে আসেনি।
একটু আগে একজন কবিতা শুনিয়ে ধুপ করে রেখে দিল। বুঝলাম না কে?
তাই, আগের মোবাইলে গিয়ে নাম্বার দিয়ে দেখলাম যা ভেবেছি। তিনিও কবি। 'কবিতা শোনায়' নাম্বার থ্রি।