somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনেক দিন পর ব্লগে এলাম সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে

২৭ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কসমোপলিটন সিটি কলকাতা। যেখানে দাঁড়ালে কবিতা সত্য হয়ে যায়, মানুষের ভীড়ে কোনো মানুষ থাকেনা। এই শহরের ভীড় তখন মানুষকে দেখায় না। যন্ত্রের মতো ছুটে চলা নিরন্তর। সবাই ব্যাস্ত। জীবন জীবিকা টেনে নিয়ে যাচ্ছে তাদের কোথায় তা তারা নিজেরাও হয়তো জানেনা। কোথাও অবকাশের সুযোগ নেই। সুযোগ নেই মাথা তুলে আকাশ দেখার। সুযোগ নেই জানার এই শহরে এখন কোন পাখি হাওয়ায় ডানা ঝাপটিয়ে যায়?
তবে একজন আছে। একজন অসামান্য উপন্যাসিক। গল্পকার। এক কবি। যিনি ছবির দেশের কবি। কবিতার দেশের কবি। তিনি হয়তো ভাবেন।
ইচ্ছে হলো তার কাছে যাই। জানা যাক তিনি আকাশ দেখেন কিনা? জানেন কিনা এই শহরে এখন ডানা ঝাপটানো পাখির হোল্ডিং নাম্বার কত?
তার কাছে যাওয়া মানে অনেক কিছুই জানা। দেখা। তার লেখা বর্ণে বর্ণে মিশে আছে আমাদের অনেকের শৈশব। আমাদের কৈশর তারুণ্যের বিশাল সময় আটকে আছে তার সম্মোহনী বাক্যের ভেতরে বাইরে।
তিনি নীল লোহিত। তিনি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।
গড়িয়াহাটের বিশাল অ্যাপার্টমেন্ট পারিজাতের আকাশের কাছাকাছি এক ফ্যাটে থাকেন তিনি। ঢুকে বসতেই কিছক্ষণ পর এলেন সাদা কালো চুলের এক কীর্তিমান।
বুকটা ধক করে উঠল। লোকটার কী বয়স হয়ে গেল অনেক।
কিন্তু তা তো হবার কথা নয়। এই শ্রেণীর লোকদের বছর হয়তো পেরোয় কিন্তু বয়স বাড়েনা। বাড়ার কথাও না। সেই চির তরুণ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখোমুখি কিছু কথা হলো ...


কেমন আছেন দাদা?
আমি আছি। ভালোই। তবে প্রচন্ড ব্যস্ততায় ক্লান্ত।
তা তো হবারই কথা
হুম। এদিক সেদিন অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। তার উপর মিডিয়ার অতিমাত্রায় প্রভাব। পত্রিকার লিখা। টিভি চ্যাণেলে অনুষ্ঠানের আধিক্য। সব কিছুতে সময় দিতে দিতে কান্ত।
দাদা ক্লান্ত হবার তো কিছু নাই
না আমি আসলেই ক্লান্ত। আমার বিশ্রাম দরকার। ভাবছি লেখালেখি আরো কমিয়ে ফেলবো। এতো লিখেছি আর লিখতে ইচ্ছে করে না।
এখন কী কিছু লিখছেনা?
লিখছি। পুজোসংখ্যার জন্য লিখছি। তোমাদের ওখানের একটা পত্রিকার ঈদ সংখ্যার জন্যও লিখছি। না চাইলেও করতে হচ্ছে।
দাদা, দেশে যেতে ইচ্ছে হয়না? বাংলাদেশে? ফরিদপুরে?
এখন কেন যেন সব আগ্রহই কমে গেছে। বয়স হলে যা হয় আর কী? তবে গ্রামের কথা মনে পড়ে। যেতে ইচ্ছে তো হয়ই। আমার সেই গ্রাম। ফরিদপুর তখন একটা জেলাই ছিল। আমরা সে জেলার একটা গ্রামে থাকতাম। গ্রমাটা খুব বেশি ছোট নয়। তবে সাধারণ। খুব বেশি দেখার কিছু ছিলনা ওখানে। তবে গ্রামের কথা বারবার মনে পড়ে। আমি চোখ বুঝলেই সেই গ্রাম দেখতে পারি। উচু রাস্তা, বটগাছ। রাস্তার একদিকে ধান আর অন্যদিকে পাটগাছ। মাইলের পর মাইল জুড়ে সে পথ। আমাকে কিভাবে যেন টেনে ধরে রাখতো।
কবি সুনীলের জন্ম কীভাবে? কীভাবেই বা তিনি পাল্টে গেলেন মহা উপন্যাসিকে?
কবিতা লিখেই জীবন কাটিয়ে দেবার বাসনায় যাত্রা শুরু করেছিলাম কবিতার সঙ্গে। পড়পশুনা আর ফাকে ফাকে কবিতা লেখা এই ব্রত নিয়ে সাহিত্য জীবন শুরু করেছিলাম।
পরে?
পরে আর কী? জীবিকায় কবিতা থেকে কিছুটা সরিয়ে অন্যদিকে নিয়ে আসলো। কবিতা আর জীবিকা হয়তো একসাথে চলার জিনিস না। আমি তখন চাকরী খুঁজছি। কিন্তু চাকরীর বাজার তখন আমার প্রয়োজন বোধ করছিলনা। আমি ভালো কোনো চাকরী পাচ্ছিলাম না। পেটের তাগিদে তখন আনন্দবাজারে দু'চারখানা গদ্য প্রায়ই লিখতাম। হয়তো সেসব অনেকের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছিল। যে কারনে একদিন দেশ পত্রিকার সম্পাদক সাগরময় ঘোষ আমায় ডেকে বললেন, তোমাকে পুজো সংখ্যার জন্য একটা উপন্যাস লিখতে হবে। শুনে আমি আৎকে উঠলাম। বলে কী লোকটা? আমি স্বল্প বাক্যের মানুষ। কম কথায় মনের ভাব প্রকাশ আমার কাজ। আমি কী করে উপন্যাস লিখি? তখন প্রেমেন্দ্র মিত্র, তারাশংকরের মতো বিখ্যাত লেখকদের উপন্যাস বেরোতো পুজো সংখ্যায়। তাও মাত্র একটি। পরে উনি বললেন, এখন থেকে 'দেশ' তার নিয়ম ভেঙে প্রত্যেক পুজো সংখ্যায় তিনটি উপন্যাস ছাপবে। সিনিয়র, মাঝারী আর নতুনদের একটি উপন্যাস। সেই তালিকায় আমি উপন্যাসের জন্য আটকে গেলাম। কখনোই উপন্যাস লেখার কথা ভাবিনি। এতো এতো শব্দ লেখা আমার কম্ম নয়। তবে আমার কিছুই করার ছিলনা। সুযোগটা নিলাম। লিখলাম 'আত্মপ্রকাশ' নামে আমার প্রথম উপন্যাস। আমার চারপাশের মানুষদেরকে উপজীব্য করেই এই উপন্যাস।
কবিতা লেখা শুরু কীভাবে?
এসব আর বলতে ইচ্ছে করেনা। অনেক বলেছি। এটা একটা মজার কাহিনী। আমার এক বন্ধুর বোনকে পছন্দ করতাম।
তাকে ইমপ্রেসড করতে গিয়ে লেখা শুরু। তখন লিখে তাকে না দিতে পারার যন্ত্রণা আমাকে কষ্ট দিত। কারণ এমন ভাবে চিঠি কোনো মেয়েকে দেয়া তখন সহজসাধ্য ছিলনা। তাহলে কী করা যায়? দেখলাম, দেশ নামে একটা পত্রিকায় কবিতা ছাপছে। আমি তখন ওসব কী লিখেছি তা আমার জানা ছিলনা। জানা ছিলনা তা আদৌ কোনো কবিতা হচ্ছিল কিনা। মাথায় শুধু আমার বন্ধুর বোন। তাই সেসব লিখেই ছাপতে দিয়েছিলাম। এবং মজার বিষয় ছাপাও হয়েছিল। সেই থেকে শুরু।
নীরা কে?
এই বিষয়ে আমার কোনো কথা নাই।
সত্যজিতের সঙ্গে পরিচয় কীভাবে?
আমার এক কবি বন্ধু এসেছিল আমাদের একটা বই করবে। আমি আর সে। কী করবো? কীভাবে করবো? কে প্রচ্ছদ করে দিবে সেসব কিছুই ঠিক ছিলনা। শুধু জানতাম, বই করবো।
প্রচ্ছদের জন্য ঠিক করেছিলাম, সত্যজিত রায় কে। তিনি তখন অনেক বড় মানুষ। তবুও কোনো শঙ্কা ছাড়াই তার কাছে চলে গিয়েছিলাম। নিশ্চিত ছিলাম, না করে দেবেন। কিন্তু তিনি তা না করে ছাপার জন্য কিছু রাস্তা দেখালেন। সিগনেট তখন বিখ্যাত প্রকাশনী। আমাদের পাঠালেন তার মালিক ডি কে (দিলীপকুমার গুপ্ত)’র কাছে। ডিকে সব শুনে পরামর্শ দিলেন শুধু তোমাদের কেন তোমাদের সমসাময়িক আরো অনেকেই আছে সকল কবিকে নিয়েই করো। সেই করা। বই থেকে তা হয়ে গেল পত্রিকা। নাম দিলাম, কৃত্তিবাস।
সেখান থেকেই সত্যজিতের সঙ্গে পরিচয়। এরপর একজনের টাকা শোধ করতে গিয়ে এক পত্রিকাতে উপন্যাস লিখেছিলাম। অরণ্যের দিনরাত্রী। সত্যজিতবাবু সেটা পড়ে আমার সাথে যোগযোগ করলেন তিনি এটা নিয়ে ছবি বানাতে চান। তারপর থেকেই তার সাথে সম্পর্ক আরো জোরালো হয়।
সেই ছবি কেমন লেগেছিল?
সত্যি কথা বলতে কী ভালো লাগেনি। আমার অনেক ঘটনা পাল্টে ফেলা হয়েছিল। পরে অবশ্য আরো একটা বাণিয়েছিলেন সেটা ভালো লেগেছিল।
এখনকার ছবি কেমন লাগে?
ইদানিংও বাংলা ছবিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। তরুণরা ভালো করছে। এখন কলকাতায় ভুতের ভবিষ্যত নামে একটি ছবি চলছে, সময় পেলে দেখে নিও।
গানের অবস্থা কেমন?
গানেও ভালো পরিবর্তন এসেছে কবিতা নির্ভর গাণ হচ্ছে। এটা ভালো দিক।
দাদা এই যে এতো লিখলেন, স্বীকৃতির বিষয়ে কী বলবেন? আপনার কী মনে হয়না আপনি বা আপনার সমসাময়িক লেকক যারা তাদের নোবেল, বুকার বা পুলিৎজার পাওয়ার দাবী রাখে?
তা রাখে।
তাহলে?
আমার মনে হয় এটা আমাদের অনুবাদের বিশাল একটা দূর্বলতা। আমাদের সেই মাপের অনুবাদ হচ্ছেনা যা আর্ন্তজাতিক মানে আমাদের লেখাগুলোকে পৌছে দিতে পারে।
হুমায়ূন আহমেদ তো অসুস্থ। শুনেছেন?
হুম শুনেছি। হুমায়ুন কেমন আছে?
জি ভালো আছে। ওনার সাথে কোনো যোগাযোগ নেই?
না। অসুস্থ হবার পর থেকে কোনো যোগাযোগ হয়নি। সে সুস্থ হয়ে উঠুক।
আপনাদের সময়ে রবীন্দ্র বিরোধী মনোভাব এবং জীবননান্দ নিয়ে কিছু বলুন।
রবীন্দ্রবিরোধী ঠিক না, ওই সময় রবীন্দ্রনাথ নিয়ে অতিরিক্ত যারা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ছিলাম আমরা। তাকে নিয়ে মাতামাতির বিপক্ষে
আর জীবনানন্দ?
ওনিই তো শিখালেন কিভাবে বটবৃরে বিপরীতে দাঁড়াতে হয়। কীভাবে সময়কে নিজের করে নিতে হয়। রবীন্দ্র ছায়ায় দাঁড়িয়ে একদম বিপরীতে কবিতার স্রোত। যে স্রোতে আমরা ভেসেছিলাম।
বৌদির সাথে পরিচয় কিভাবে?
(প্রশ্ন করতে না করতেই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী স্বাতী গঙ্গোপাধ্যায়ের আগমন। এর উত্তর দিলেন তিনিই)
এই কৃত্তিবাসের মাধ্যমেই ওর সাথে প্রেম পরিচয়। আমি প্রায় সময়ই কৃত্তিবাসের সম্পাদককে চিঠি লিখতাম। মানে তোমাদের দাদা কে। দেখি যে কোন উত্তর আসে না। কারন সেগুলোতো কোন ব্যক্তিগত চিঠি নয়। বিভিন্ন আলোচনা। তাই ব্যক্তিগত উত্তর আশা করাটাও ঠিক ছিল না। তো একদিন বাবাকে নিয়ে আমার তিন বোন গেলাম তোমার দাদার বাড়িতে। বাবা বললেন তিনি কয়েক কপি কৃত্তিবাস কিনতে চান। বললেন, এখানে তো পত্রিকা বিক্রি হয় না, সেই সামনাসামনি দেখা। এরপর সেদিন বেশ ভাব মেরে চলে গেলাম। কথা বলেও বললাম না। এভাবে যখন ও জানতে পারলো, যে আমিই সেই নিয়মিত চিঠি লেখক। তখন এক কথা দ’ুকথা। পরিচয়। কিন্তু কখনওই কাউকে প্রস্তাব দেয়া হয়নি। সময় গড়ালো। বাবা আমার জন্য বিয়ে ঠিক করলেন। কারন আমার বিয়ে না হলে আমার ছোট দুইবোনের সম্বন্ধও উঠছেনা। তো আমি ওকে ইচ্ছে করেই বললাম, বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছে। উত্তরের আশায় ছিলাম, যে দেখি ও কি উত্তর দেয়। জানালেন, ওতো ইঞ্জিনিয়ারকে বিয়ে করার কি দরকার। ঝামেলা মনে হলে আমাকেই বিয়ে করে ফেলো। কেউ বিয়ের কথা এত অবলীলায় বলতে পারে বলে আমার ধারনা ছিলনা। আমি কিছুটা অবাক আর লজ্জায় পড়ে গেলাম। সেই থেকে তো আছি। আজ সৌভিককে নিয়ে যখন আড্ডা হয় পারিবারিক। তখন সৌভিক খুব মজা করে ওর বাবা মায়ের গল্প শুনতে চাই। আমারও বলতে ভাল লাগে।
সৌভিক কী করছেন?
ও ইউএসএ' তে আছে। এনভিরনেমেন্ট সায়েন্সে পড়া শেষ করে আমেরিকায় একটা জব করে।
লেখালেখি নিয়ে তার আগ্রহ নেই?
তার নিজের নেই। তবে আমারটা নিয়ে আছে। সে আমার কড়া সমালোচক।
দাদা, ইতিহাস নিয়ে বড় ক্যানভাসে কিছু লেখার ইচ্ছে নেই?আছে। কিন্তু পরিশ্রমকে ভয় হয়। শরীর সায় দেয় না। তবে ইচ্ছে আছে ভিন্ন দৃস্টিকোন থেকে রামায়নকে নিয়ে লেখার। দেখা যাক কদ্দুর কী হয়।
দাদা ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ তোমাদেরও। এতোদুর থেকে এসেছো। ভালো থেকো। বাংলাদেশের জন্য ভালোবাসা আমার সবসময়ই আছে। থাকবে। মন থেকে দেশকে অনুভব করি।


ছবি : পারিজাতের অ্যাপার্টমেন্টে সুনীল এবং স্বাতী গঙ্গোপাধ্যায়
আর যদি কেউ এখানে পড়তে না চান, আজকের যুগান্তরের সাময়িকীতে পড়ে নিতে পারেন
Click This Link
১০টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মপোলব্ধি......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

আত্মপোলব্ধি......

একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !

লিখেছেন হাসানুর, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২



হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?

লিখেছেন রাজীব, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।

আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×