somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্প : বজলুর রহমানের অসুখ

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মহাসমস্যায় আছেন বজলুর রহমান।
এটাকে সমস্যা বললে আসলে ভুল বলা হবে। বজলুর রহমানের জীবনে ঘটছে বলে হয়তো এটাকে সমস্যা বলতে হচ্ছে। অন্য যে কারো হলে সেটা তার জীবনে পরম পাওয়া হতো। বজলুর রহমানের সবকিছু একটু অন্যরকম। জীবন আলাদা। জীবনবোধ আলাদা। তিনি নাকি জীবনকে ছোট্ট একটা জায়গায় নিয়ে এসেছেন। প্রায়ই বেশ উৎসাহ নিয়ে বলেন, আমি আমার জীবনকে একটা বোতলে বন্দি করে ফেলেছি। একটা বোতলে বাস করতে যেমন বেশি কিছু লাগেনা আমার জীবনেও সেরকম বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই।
এই কারণেই হয়তো বজলুর রহমান এটাকে সমস্যা বলছেন। উপভোগের চেয়ে বিরক্ত হচ্ছেন। ভয় পাচ্ছেন বললেও ভুল বলা হবেনা। গত কিছুদিন ধরে বিষয়টা এতোটাই বেশি ঘটে চলছে ভয় পাওয়া ছাড়া তার অন্য কিছু করারও নেই। কাউকে বলাও যাচ্ছেনা ঘটনাটা। কে কিভাবে নেয়? বলতে না পারায় হয়তো বজলুর রহমান আরো কষ্ট পাচ্ছেন। একা একা নানরকম চিন্তা করে বাড়ছে তার আতঙ্ক। কিন্তু কি করবেন বজলুর রহমান? কাকে বোঝাবেন তার সমস্যার কথা? কী করে আরেকজনকে জানাবেন তার অদ্ভুত সমস্যার কথা যে, তিনি গত মাস দেড়েক যাবত যা মনে মনে চাচ্ছেন তাই পুরণ হয়ে যাচ্ছে।
প্রথম দিকে অনেকদিন তিনি বিষয়টা ধরতেই পারেননী। একটা সময় এসে বুঝতে পারলেন আসলে কি ঘটছে?
২.
বজলুর রহমানের বয়স ৪১ বছর ৩ মাস। এই বয়সে বজলুর রহমান যখন নিজের পাওয়া না পাওয়ার হিসেব করতে বসেন তখন ভীষণ অবাক হন। তার এক জীবনে বলতে গেলে সব চাওয়াই ছিল অপূর্ণ। ছেলেবেলায় একটা সাইকেলের শখ ছিল। বাবার টাকা না থাকায় সেটা কেনা হয়নি। স্কুলের বন্ধুরা একে একে সাইকেল কিনেছে বজলুর রহমান তখন চেয়ে চেয়ে দেখে গেছেন। অনেক কষ্ট চেপে রেখে শুধু বলতেন, একটু সময় লাগবে। তবে কিনবো। বাবা বলেছেন যখন, অবশ্যই কিনে দেবেন ।
কিছুদিন আগেও একটা মোবাইল কিনতে অনেক বিরম্বনা পোহাতে হয়েছে। অথচ আজ কি অবস্থা তার? চাওয়ার আগেই সব হাজির। যদিও কোনো কিছু-ই সরাসরি হয় না। কোনো না কোনোভাবে চলে আসে। অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটে। বিষয়টা ধরেছেন সেই সেই ইলিশ মাছ খাওয়া থেকে। চাকরীকালীন সময়ে অফিসে একদিন বজলুর রহমানের হঠাৎ করে ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হলো। বজলুর রহমানের পকেটে ছিলনা তেমন টাকাও । মাস শেষ টাকা থাকার কথাও না।
হঠাৎ তাকে ডাকলেন এমন একজন কলিগ যিনি বজলুর রহমানকে অযথাই অপছন্দ করেন। নিরীহ টাইপের লোক বজলুর রহমান কিছুটা অবাক হলেন। অনাকাঙ্খিত ঝামেলার আশংকায় কুকড়ে গেলেন। গিয়েই অবাক হলেন। মিজান সাহেব তাকে একসাথে খেতে বললেন, আসেন বজলু সাহেব আমার সাথে একটু ডাল ভাত খান। ডাল ভাতের সাথে একটা ইলিশ মাছও আছে। আমার ছোটো শালা আজ সকাল এসে হাজির। হাতে আরিচা ঘাট থেকে আনা বিশাল সাইজের ইলিশ। মনে করেন প্রায় আমার সমান। আমার বউতো মহা খুশি। পরম যত্নে ভাইয়ের নিয়ে আসা মাছটি রেধেছে। একটু খেয়ে দেখেন। বজলুর রহমান না করতে গিয়েও না করতে পারলেন না। সকাল থেকেই তার ভীষণ ইচ্ছে করছিল এক টুকরো ইলিশ মাছ খেতে। সেটা যে এরকমভাবে আসবে তা ভাবতেও পারেননী এবং অনেক সময় পরও সেটা মেনে নিতে পারেননী।
সেদিনই বিকেলে আরেক ঘটনা ঘটলো। বজলুর রহমান একমনে হেটে আসছেন ফুটপাত ধরে। পাশ দিয়ে হঠাৎ এক মহিলা হেটে চলে গেলেন। প্রচুর সুগন্ধি মাখানো শরীর আর শাড়ী থেকে আসা গন্ধে পুরো এলাকায় যেন ছড়িয়ে গেলো। বজলুর রহমান তাকালেন। চেহারা দেখা যাচ্ছে না। পেছন থেকে মহিলার লাল চুলই বেশ মুগ্ধ হয়ে দেখলেন। হঠাৎ তার এক অদ্ভুত ইচ্ছে হলো। এরকম ইচ্ছে বজলুর রহমানের আগে কখনোই হয়নি। ওই মহিলার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে হলো তার। মহিলার কণ্ঠ শুনতে ইচ্ছে হলো। এই সময়ে নারী এমনকি পূর্ববর্তী জীবনে মেয়েদের সাথে কথা বলতে বেশ বিব্রত বোধ করতেন। এই বিব্রতবোধ এতোটা প্রকট ছিল তিনি তার জীবনে কোনো নারীর সাথে একসাথে থাকার ইচ্ছেও বিসর্জন দিয়েছিলেন। বিয়ে করেননি। হঠাৎ সুন্দর কণ্ঠের ডাক শুনে চমকে ওঠলেন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভাবণায় ছেদ পড়ল। তাকিয়ে ভীষণ চমকে ওঠলেন। সেই মহিলা! তার দিকে হাসি নিয়ে তাকিয়ে আছে। বজলুর রহমান কিছু বলতে যাবেন তার আগেই মহিলটি বলল, আপনি এই এলাকার? বজলুর রহমান কী বলবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না। এবারও তার আগে মহিলাটি একটা কাগজের টুকরো বাড়িয়ে দিয়ে বলল, আমি একটা ঠিকানা খুঁজে পাচ্ছিনা। একটু দেখেন তো ভাই এই বাসাটা কোন দিকে?
বজলুর রহমান কাপা কাপা হাতে কাগজটি নিলেন এবং দেখে জানালেন, না, ঠিক বলতে পারছিনা।
এরপর থেকে এরকম কতো ঘটনা যে ঘটে গেছে বজলুর রহমানের জীবনের শেষ দেড় মাসে তার ইয়াত্তা নেই। যা চেয়েছেন, বলতে গেলে তাই পেয়েছেন।
এই পাওয়া এখন তাকে অস্থির করে তুলেছে। তার যা মনে হচ্ছে সেটা ইচ্ছাতে হোক আর অনিচ্ছাতে, সবই কোনো না কোনোভাবে হাজির হয়ে এসেছে তার সামনে।
না পাওয়ার জীবন কত কষ্টের সেটা বজলুর রহমান ভালোই জানেন। কিন্তু পাওয়ার জীবনও যে এতো কষ্টের হয় তা ভেবে তিনি আশ্চর্য হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
কি করবেন তিনি? কিছূই ভেবে পাচ্ছেন না। কাকে বলবেন? সে নির্ভরযোগ্য মানুষও নেই তার। বললে নিশ্চিত পাগল বলবে তাকে। তিনি এমনি পাগল হয়ে যাচ্ছেন এই বিষয়টা হয়তো মেনে নিতে পারবেন। কিন্তু কেউ তাকে পাগল বলবে সেটা হয়তো মানতে পারবেন না। তাই অনেক কষ্ট হলেও বিষয়টা গোপন করে চলছেন দিনের পর দিন।
৩.
বজলুর রহমান চাকরী ছেড়েছেন বিশ দিন হলো। তিনি চাকরী করতে পারলেননা। এই ইচ্ছে পুরণ জটিলতা সেখানে তাকে ভোগাচ্ছিল। তিনি সিটে বসে যা চিন্তা করতেন তাই হতো। শেষ যখন আসলাম সাহেব তার সাথে প্রচন্ড খারাপ ব্যবহার করলো, তিনি যখন প্রচন্ড মনোকষ্টে তার শাস্তি চাইলেন। তারপর আসলাম সাহেবের সেই শাস্তি দেখে তিনি ঠিক করে ফেললেন তার আর ঘরের বাইরে বের হওয়া ঠিক হবে না। কারণ, তিনি চাওয়ার কিছুণ পর আসলাম সাহেব ভয়ানক এক শাস্তি পেয়ে গেলেন। অফিসে লম্বা কাঠের আলমারিটা চাবি দিয়ে অনেক টানাটানি করেও যখন খুলতে পারছিলেন না তখন প্রচন্ড রাগে আলামরির হ্যান্ডেল ধরে আচমকা এক টান মারলেন। অমনি লম্বা আলমারিটা সোজা হয়ে তার উপর পড়ে গেল। তিনি নিজেকে অনেকটুকু বাঁচাতে সরে গেলেও তার একটি পা আর সরাতে পারলেন না। আলমারিটা পড়লো তার পায়ের উপর। ভয়ংকর অবস্থা। সবাই ধরাধরি করে নিয়ে গেল পঙ্গু হাসপাতালে।
ডাক্তার সাহেব যা বললেন, হাড় ভেঙ্গে মোটামুটি গুড়ো হয়ে গেছে।
ঘটনার আকস্মিকতায় আর ডাক্তারের কথা শুনে বেশ বিমর্ষ হয়ে গেলেন। নিজেকে প্রচন্ড অপরাধী মনে হতে লাগলো।
দুদিন পর অফিসের পিয়নের কাছে চাইলেন চা। পিয়ন এমনিতে বজলুর রহমানকে বেশ পছন্দ করে। কিন্তু সেদিন চা চাওয়া মাত্রই কেমন যেন ভাব নিল, স্যার এখনো পানি গরমে দেই নাই। পানি গরম হইলে পড়ে চা পাইবেন।
বজলুর রহমান খুব শান্ত ভঙ্গিতে বললেন, একটু আগেই তো তুমি আজিজ সাহেবকে চা দিলে।
পিয়ন চুপ করে ওইলো।
বজলুর রহমান বেশ কষ্ট পেলেন। পিয়নকে কাছে ডেকে বললেন, তোমার বয়স কম। এই বয়স থেকেই মিথ্যা বলছো? এগুলো ঠিক না।
কিছুণ পর হঠাৎ চিৎকার চেচাঁমেচি শুনে বজলুর রহমান অফিসের অন্যানদের মতো ক্যান্টিনের দিকে ছুটে গেলেন। গিয়ে দেখেন গরম পানি হাতে পড়ে ঝলসে গেছে পিয়নের বা হাত। পিয়নের হাতের দগ্ধ অবস্থা দেখে তার চেয়ে কয়েকগুন বেশি দগ্ধ হলো বজলুর রহমানের মন। কী করলেন? কেন ছেলেটার উপর রাগ হলেন?
৪.
বজলুর রহমান সব কিছু ছেড়ে গত কিছু দিন বেশ সতর্কভাবে চলছেন। কোনো কিছু দেখে তিনি কোনো প্রকার চিন্তায় যাচ্ছে না। কোনো ইচ্ছে পোষন করছেন না। বলা যায়, এক রকম ধ্যান করে চলছেন। কোথাও দাঁড়াচ্ছেন না। কারো সাথে কথা বলছেন না। পারতপে কোনো কিছুর দিকে তাকাচ্ছেনও না। এইভাবে চলছে তার নিরামিষ জীবন। শুধু মনে মনে একটাই কথা বিধাতা এ কোন খেলা আমার সাথে তোমার? এ কোন শাস্তি? আমি আর পারছিনা। বজলুর রহমান আরো অনেক অবাক হন, তিনি বিধাতার কাছে জানতে চান আমার এতো ইচ্ছে পুরণ করছো এই ইচ্ছেটা পুরণ করতে সমস্যা কোথায়? কেন আমাকে এভাবে কষ্ট দিচ্ছো? কী অপরাধ? আমি আর কিছু চাই না। আমার কোনো কিছূ লাগবে না। আমি না খেয়ে থাকবো। তবুও আমাকে মুক্তি দাও। আমি মুক্তি চাই।
৫.
বজলুর রহমানের এখন কাজ বলতে কিছুই নাই। তিনি মোটামুটি একা একা ঘরে বসে থাকেন। প্রয়োজন হলে ঘর থেকে বের হন। সঙ্গ দেয়ার জন্য তার সাথে থাকে শুধু একটা মোবাইল। কাউকে ফোন করেননা। কারো সাথে ফোন কথাও বলেন না। চুপচাপ মোবাইলের দিকে তাকিয়ে সময় কাটে তার।
আজ সকাল থেকে বজলুর রহমানের দিনটা একটু অন্যরকম। কেন যেন তার বেশ মুক্ত মুক্ত লাগছে। নিজেকে স্বাধীন মনে হচ্ছে। তিনি সকালে ওঠেই বিষয়টা নিয়ে ভাবছেন। ঘন্টা খানেক ধরে স্বাধীনতা উপভোগ করছেন। কারণ, সকালে ঘুম ভেঙ্গেই তার একটা রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনতে ইচ্ছে হয়েছিলো। প্রায় ঘন্টাখানেক হয়ে গেলো ইচ্ছে পুরণ হচ্ছে না। বজলুর রহমানের ভেতরে ভেতরে প্রচন্ড আনন্দ হচ্ছে। কিন্তু প্রকাশ করতে পারছেন না। খুশিতে তিনি বিধাতাকে ধন্যবাদও দিতে পারছে না। ঘটনা যদি এই হয় যে, তিনি ইচ্ছে করছেন তার অসুখটা সেরে যাক, তার ইচ্ছেপুরণ জটিলতা বন্ধ হোক। যদি ইচ্ছের কারনেই তার অসুখটা সেরে যায় তাহলে তো ফলাফল একই দাঁড়ালো। আবারো তার ইচ্ছেপুরণই হলো। বিষয়টা তার কাছ থেকে একেবারে সরে গেলো না। এটা সেই সমস্যারই একটা অংশ হয়ে রইলো। বজলুর রহমান আর ভাবতে পারছেন না। তার মাথায় যন্ত্রণা শুরু হয়ে গেছে। কি হচ্ছে তার? ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত বজলুর রহমান চোখ বন্ধ করে শুয়ে পড়লেন।
৬.
বজলুর রহমানের ঘুম ভাঙ্গলো সন্ধ্যার দিকে। তিনি ওঠেই মনে করার চেষ্টা করলেন, ঘুমানোর আগে কী তার সেই ইচ্ছেটা পুরণ হয়েছিল? আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে না কি যেন একটা রবীন্দ্র সঙ্গীত শোনার যে বাসনা ছিল সেটা কী ঘুমের আগে পুরণ হয়েছিল?
চিন্তা করে বজলুর রহমানের মন আরেক দফা আনন্দে ভরে ওঠলো। না পুরণ হয়নি। বজলুর রহমানের ভেতরে অসম্ভব প্রশান্তি ছুঁয়ে যাচ্ছে। আজ ইচ্ছে পুরণ হচ্ছেনা। বজলুর রহমান বড় একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন। তার মনে হচ্ছে, তিনি কোনো বড় রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। বজলুর রহমান আরো কিছুণ অপেক্ষা করলেন। কান খাড়া করে ঘরের ভেতের বসে রইলেন। কোথাও থেকে আগুনের পরশমনি গানটি ভেসে আসে কিনা? তিনি ঠিক করলেন এই আনন্দ উদযাপন করতে তিনি বাইরে ঘুরতে বের হবেন। হঠাৎ তার মনে হলো, না। বাসা থেকে বের হওয়া যাবেনা। বাইরে গেলেই কোথাও না কোথাও থেকে গান ভেসে আসতে পারে। তিনি উঠতে গিয়েও ওঠলেন না। আবার বসে থাকতেও পারছেনা। আজ আসলাম সাহেবকে দেখে আসা উচিত ছিল। তার জন্য লোকটা এখন পঙ্গু হাসপাতালে। তিনি কী করবেন তা ভেবে পাচ্ছিলেন না। তবে আসলাম সাহেবের খোঁজ নেয়ার জন্য বেশ অস্থির লাগছিল।
হঠাৎ মোবাইলের দিকে চোখ পড়তে তার মনটা ভালো হয়ে গেলো। অস্থিরতা কমে গেল। আসলাম সাহেবকে ফোন করা যায়। ফোনে খোঁজ নেয়া যায়। ফোন হাতে নিতেই মনে হলো আসলাম সাহেবের মোবাইল নাম্বার তার কাছে নেই। এমনকি অফিসের কারো নাম্বারই তার কাছে থাকেনা। শুধু অফিসের একাউন্টেন্ড ফাতেমা ম্যাডামের ছেলের নাম্বার আছে। একবার অফিসে বেতন সংক্রান্ত ঝামেলায় তিনি এই নাম্বার নিয়েছিলেন। তিনি ভাবলেন, ফাতেমা ম্যাডামের কাছ থেকে হয়তো আসলাম সাহেবের নাম্বারটি পাওয়া যেতে পারে। তিনি ফাতেমা ম্যাডামের ছেলেকে ফোন দিলেন। ফোন দিয়ে তিনি বিভ্রান্তিতে পড়ে গেলেন। তার মনে হলো কেউ কথা বলছে। তিনি দুয়েকবার হ্যালো, হ্যালোও বলে ফেললেন। কয়েক সেকেন্ড পর তার ভুল ভাঙ্গলো, কেউ কথা বলছে না। গান হচ্ছে। ওয়েলকাম টিউন বলা হয় এগুলোকে। প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে আনন্দময় করতে কতো কাজ করছে। হঠাৎ তিনি চমকে ওঠলেন। যে গানটা বাজছে সেটা তার পরিচিত মনে হচ্ছে। তিনি গানটি শুনতে গিয়ে আরেক দফা চমকে ওঠলেন। তিনি পূর্ণ মনোযোগে গানটি শুনে ঘেমে ওঠলেন। ওপাশ থেকে গানটা বেজে চলছে, আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে...।
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×