বৃষ্টি! কেমন আছিস?
বৃষ্টি:
ভালো আছি কি মন্দ আছি তা শুনে তোর কি?
মেঘ:
এই তোর কি মন খারাপ? এই ভাবে বলছিস কেন? আমি কি তোর খবর রাখি না?
বৃষ্টি:
রাখবি না কেন? তাইতো ইচ্ছে হলে বুকে জড়িয়ে নিবি না হলে মাটিতে ফেলে দিবি।
মেঘ:
ওকে! ওকে! যা আমার সামনে থেকে যা। আর কখনো আমার আশেপাশে আসবি না বললাম।বৃষ্টি:
ইসরে আমি যেন আসি। তুই ডাকিস কেন? বাহির থেকে এসে তুই আমায় না দেখলে পাগল হয়ে যাস। বৃষ্টি....বৃষ্টি বলে সারা আকাশ এক করে দিস। খবরদার আমায় আর কখনো ডাকবি না।
মেঘ:
ইয়ে...আকাশের বুকে আমি ছাড়া তোকে কে আমার মতো ভালোবেসে আগলে রাখে বল? কে তোর আবদারগুলো শোনে। একদিন বুঝবি এই মেঘ ছাড়া তুই কত অসহায়।
বৃষ্টি:
আছে আছে, তুই ছাড়া আমার সবাই আছে। তুই ভালোবাসলি না বলে মনে করেছিস আমি নদীতে পড়েছি? জ্বী না! আমি স্বর্গেই আছি।
মেঘ:
তুই কি মনে করেছিস তুই ছাড়া আমার আর কেউ নেই? আছে অনেক আছে। আমি ওদের হয়ে থাকবো। ওদের নিয়ে আমি কানামাছি খেলবো। সুর তুলবো। গান গাইবো। রং তুলিতে ছবি আঁকবো।
বৃষ্টি:
ওকে! যা আমি অঝর বৃষ্টি হয়ে সবার গায়ে মেখে থাকবো। নৃত্যের তালেতালে ময়ূরের পেখম তুলবো। গানের সুরে সবার মুখে হাসি ফোটাবো। সবাই আমায় ভালোবাসবে। তাদের সাথে মিশে যাবো আর কখনো আসবো না। তখন বুঝবি আমি কি ছিলাম।
মেঘ:
মনের ভেতর ঝড়-তুফান
কেউ দেখে না চোখে,
বানের মতো দুঃখগুলো
ছড়িয়ে পরে বুকে।
তুই আর আমি ছাড়া কেউই আমাদের দুঃখগুলো বুঝবে নারে বৃষ্টি। তুইও একা, আমিও একা এই পৃথিবীতে। সবাই থাকার পরও আমরা একা কেন, বলতে পারিস?
বৃষ্টি:
তাইলে তুই আমার সাথে এমন করিস কেন বলতো? প্রতিদিন একটা না একটা নিয়ে ঝগড়া করিস। আমার ভালো লাগে না। মনে হয় যেন বাড়িতে পা রাখার পর পরই আমার সাথে ঝগড়া না করলে তোর পেট ভরে না। আমায় দু'চোখে দেখতে পারিস না।
মেঘ:
তোর কথা শুনে মনে হচ্ছে যেন আমি একাই করি, তুই কিছুই করিস না! আমি আসার সাথেইতো গায়ে পরে ঝগড়া করতে থাকিস। ঝগড়া না করলে তোর কি এমন ক্ষতি হয়? আর আমি কি তোর সাথে ইচ্ছে করে এসব করি? তোর সাথে রাগারাগি-মারামারি না করলে ভালো লাগে না। এও অনুভব করি তোরও ভালো লাগে না। আমিতো কাউকে আর তোর মতোন কাছে পাই নি রে। তাই তুইই আমার সব ভালোলাগা মন্দলাগা। এখন সেসব কথা তুই বুঝবি না। আরেকটু বড় হ, তখন সব জানবি। জানবি, একা থাকা কি কষ্টের!!
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুলাই, ২০১১ রাত ১২:০৯