বর্ষপূর্তি আজ।
বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সবাই কিছু না কিছু লেখেন, ভাবলাম চেষ্টা করে দেখি আমিও কিছু একটা লিখতে পারি কিনা। তাই লেখা শুরু করে দিলাম।
সামু এমন একটা বাড়ী, যে বাড়ীটা বিশাল জায়গা নিয়ে তৈরী হয়ে আছে। যার কাছে আছে মহত্বের উদার দরজা। অনায়াসে ঢুকতে পারে সেই পথ দিয়ে যে কেউ। দেশ-বিদেশের, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনায় মনের জানা-অজানা কথাগুলো বুকে ধারণ করে আগামীর উজ্জ্বল পথ চলার সাহসের হাত বাড়িয়ে আছে সামু। কবি-অকবি প্রতিনিয়ত লিখে যান সামুর বুকে।
সময় কি করে যে চলে গেল টেরই পেলাম না। একদিন একদিন করে আজ আমার সামুর জগতের এক বছর হয়ে গেল। সুখ-দুঃখে, আনন্দ-বেদনায় লিখে যাই জীবনের কত কথা, কত স্মৃতি, প্রতিদিনের পাঁচালী বলার আশ্রয় নিয়েছি এখানে। সামু আমাকে মনের জানালা খুলে দিয়েছে। আমি কোন লেখিকা নই। ডাইরীর পাতার মতো সামুকে ব্যবহার করি। আমাকে স্বার্থপরই বলতে পারেন।
এখানে এসে আমি অনেক নতুন নতুন বন্ধু-বান্ধব, ভাই-বোনের সন্ধান পেয়েছি। না আসলে আমি কখনও তাদের দেখা পেতাম না। সবার সহযোগিতায় আমি এতদূর আসতে পেরেছি। সবাই আমাকে অনেক উৎসাহিত করেছেন যা ভুলে যাবার নয়। বিশেষ করে আমি কয়েকজন বন্ধুর কাছে চিরকৃতজ্ঞ। হাতে ধরিয়ে ধরিয়ে তারা আমাকে বর্ণমালার অক্ষরের মতো শিখিয়েছেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা দিয়ে আমার কথা শেষ করছি............
হৃদয় আমার নাচে রে আজিকে,
ময়ূরের মতো নাচে রে হৃদয় নাচে রে।
শত বরনের ভাব-উচ্ছ্বাস
কলাপের মতো করেছে বিকাশ,
আকুল পরান আকাশ চাহিয়া,
উল্লাসে কারে যাচে রে।
হৃদয় আমার নাচে রে আজিকে,
ময়ূরের মতো নাচে রে।।
গুরুগুরু মেঘ গুমরি গুমরি
গরজে গগনে, গরজে গগনে।
ধেয়ে চলে আসে বাদলের ধারা,
নবীন ধান্য দুলে দুলে সারা,
কুলায়ে কাঁপিয়ে কাতর কপোতে,
দাদুরে ডাকছে সঘনে।
গুরুগুরু মেঘ গুমরি গুমরি
গরজে গগনে গগনে।
এখন আসুন সবাই মিলে নাচ করি, গান গাই। মিউজিকটা অন করে শুরু করবেন কিন্তু ............
ভাবছেন পার্টিতে আসলেন খাবার নাই? মন খারাপ করবেন না আছে আছে সব আছে।
আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আগামীর পথ চলার পাশে দাঁড়াবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:০৫