কোনো ঘটনা বা কর্মের সাক্ষী হয়ে থাকে স্হির ছবি, আবার কখনো ছবি কালের বা ইতিহাসের উপকরন হিসেবে ও কাজ করে, একটি ছবির মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্ম অতীতে ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারে! ঠিক তেমন ই একটা ছবির বর্ণনা………….
১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ আরব আমিরাতের দুবাই প্রবাসী বাংলাদেশীরা একত্রিত হয়েছিলো দুবাই ক্রিক পার্কে, সবাই কর্মব্যস্ত প্রবাসী যার কারনে সন্ধ্যা ৬টার অনুষ্ঠান একটু দেরিতে শুরু হলেও কার ও কোনো অভিযোগ ছিলোনা! মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্বার মাগফিরাত কামনা করে যে অনুষ্ঠান শুরু হয়, তা শেষ হয় প্রায় রাত ১০ টা্য, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চারণ সহ নবীন প্রবীনদের আড্ডায় মুখর থাকে এই অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান শেষে দুবাই প্যরেড়ে অংশগ্রহনকারী সবাইকে সার্টফিকেট প্রধান করা হয়।পুরুষদের পাশপাশি এ অনুষ্ঠানে প্রবাসী নারীদের অংশগ্রহন ছিলো প্রশংসা করার মত।
লিখার শিরোনামটা ভিন্ন কোনো শিরোনাম দেওয়ার ইচ্ছা থাকলে মূলত FB’তে আমার এক বন্ধু বললো ভাই ছবিটা বাংলাদেশের কোনা জায়াগায় তোলা!! আসলে রাত্রের অনুষ্ঠান হওয়ায় বুঝা যাচ্ছেনা ছবিটা বাংলাদেশের বাহিরের কোনো জায়গা!! বা ছবির লোকেশান!!
ইচ্ছা – আন্তরিকতা ও ভালোবাসার ফসল হচ্ছে এই অনুষ্ঠান, অরাজনৈতিক তথা রাজনীতি ছাড়া ও যে দেশের গন্ডির বাইরে সবাই মিলে কোনো ভালো অনুষ্ঠান করা যায়, এই অনুষ্ঠানের সফল পরিসমাপ্তি তাই প্রমান করে, নবীন- প্রবীন- নারী-পুরুষ সহ অংশগ্রহনকারী কারো মূখে কোনো অভিযোগ ছিলোনা।
আয়োজনের মূলে যাদের কথা স্মরনীয় হয়ে থাকবে তাদের মধ্যে অভিভাবক তূল্য জনাব নওশের আলী, বড় ভাই বন্ধু সুলভ আহমেদ ইফতেখার আলম পাভেল,জুলফিকার হায়দার খান,চৌধুরী মাহের আনসার সহ আরো অনেকে, নারীদের মাঝে একজনের কথা না বললে নয় যিনি মায়ের মত সবাইকে নিজের বাসা থেকে রান্না করা খাবার খাওয়াতে ব্যস্ত ছিলেন, তিনি সবার প্রিয় নাহিদা পারভিন আন্টি।
আমাদের লক্ষ্য ঠিক থাকলে সবকাজে আমরা সফল হবো…যা ইতিমধ্যে আমরা প্রমান করতে পেরেছি দুবাই প্যরেড় এর মাধ্যমে। তাই সকল হিংসা- বিদ্ধেষ ভুলে উদার মানসিকতার দৃষ্টান্ত নিজ দেশের জনশক্তির পাশাপাশি অন্যদেশের নাগরিকদের মাঝে ও ছড়িয়ে দিতে চাই, এতে করে আমাদের সুখ্যেতি বিশ্বব্যপি ছড়িয়ে পড়বে। কোনো রাজনৈতিক কারণে যেন আমাদের এই অগ্রযাত্রা যেন থেমে না যায় এটাই কামনা করি।
ইছমাইল
[email protected]
দুবাই,সংযুক্ত আরব আমিরাত.
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫