উচ্ছ শিক্ষা অনেক ছাত্রছাত্রীর জীবনের স্বপ্ন। সমমানের পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনকারী ছাত্রছাত্রীর পরবর্তীতে ভর্তি পরীক্ষা নামক কঠিন যুদ্ধে অবতীর্ন হয়ে উচ্ছ শিক্ষার যাত্রা শুরু করে। আর এক্ষেত্রে রয়েছে অনেক অনিয়ম। অনিয়মের উল্লেখ যোগ্য একটি হল কোটা পদ্ধতি। কোটা পদ্ধতির সুফল কতটুকু জানিনা তবে এ পদ্ধতির কারনে অনেক মেধাবী সাধারন শিক্ষার্থী উচ্ছ শিক্ষার সুযোগ হারাচ্ছে।
দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারন আসনের পাশাপাশি কোটা পদ্ধতি চালু রয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ধরনের কোটা পদ্ধতি চালু রয়েছে যেমন:=
মুক্তিযোদ্ধা কোটা ,
উপজাতি কোটা,
ওর্য়াড ( শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী) কোটা ,
খেলোয়ড় কোটা, সহ অনেক ধরনের কোটা,
চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে নয় ধরনের কোটা পদ্ধতি।
একই ভর্তি পরীক্ষা, একই প্রশ্ন হলেও পাস নম্বরেরে ক্ষেত্রে কোটার জন্য ভিন্ন নিয়ম। দেশের প্রথম সারির সব বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারন আসন ও কোটার আসনের ক্ষেত্রে পাস নম্বর সমান অর্থাৎ ৪০। কিন্তু চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটার আসনের ক্ষেত্রে পাস নম্বর ৩৫। মজার ব্যপার হচ্ছে যেক্ষেত্রে সাধারন আসনের ভর্তিচ্ছুরা ৮০+ নম্বর পেয়ে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সূযোগ পায় না সেক্ষেত্রে কোটার আসনের ভর্তিচ্ছুরা ৩৫,৪০ নম্বর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সূযোগ লাভ করে।
অবস্হান বা মর্যাদার কারনে কোটা পদ্ধতি, এর সূযোগ ও লাভ করছে অনেকে। অথচ দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি প্রবাসীরা,যাদের পাঠানো রেমিটেন্সের উপর নির্ভর করে দেশ চলে, তাদের তথা প্রবাসীদের সন্তানদের জন্য উচ্ছ শিক্ষা্য কোনো ধরনের সুযোগ সুবিধা পরিলক্ষিত হয়নি। প্রবাস বা প্রবাসী মানে আমরা বুুঝি টাকা আর টাকা, অথচ যারা প্রবাসী একমাত্র তারাই বলতে পারেন প্রবাস জীবন কি?
নিজের বা পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্হা পরিবর্তনের জন্য প্রবাসী হয়ে ও ভাগ্য বিড়ম্বনায় অনেকে
প্রবাসে এসে কিছু করতে পারেন না! যার কারনে ঋনের টাকা আর পরিবারের ভরন পোষনে শেষ হয় একজন প্রবাসীর প্রবাস জীবন। পরিবারের ভরন পোষনে ব্যর্থ বাবা আর্থিক সংকটের কারনে ছেলে মেয়েকে ঠিকমত পড়ালেখা করাতে পারেন না।আর্থিক শূন্যতার অনেকে মাধ্যমিক বা উচ্ছ মাধ্যমিক পাশ করলে ও পরবর্তীতে আর যাওয়ার সাহস করেনা। অবেশেষে বাবার পথেই ছেলে প্রবাসী।(আমি বলছিনা সব প্রবাসী খারাপ অবস্হানে আছেন, কিন্ত ভালো অবস্হানে থাকা প্রবাসীর সংখ্যা খারাপের তুলনায় খুবই কম)। উচ্ছ শিক্ষার সুযোগ হারিয়ে অনেক প্রতিভাবান যুবক প্রবাসে এসে চেষ্টা চালিয়ে যান নিজের বা পরিবারের আর্থিক অবস্হার উন্নয়নে। অনেকে সফল হলে ও অনেকে বিফল হয়, না হলো পুরোপুরি
শিক্ষিত, না পেলো টাকা।
করুনা নয় দেশের একজন নাগরিক হিসেবে প্রবাসীর সন্তানদের জন্য উচ্ছ শিক্ষায় আলাদা কোটা চাই।পাশাপাশি শিক্ষা বৃত্তির ব্যবস্হা ও চাই , যার দ্বারা প্রবাসীর সন্তানেরা নিজেদেরকে আদর্শ শিক্ষিত নাগরিক হিসেেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি দেশ ও জাতির উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম হবে আশারাখি।
প্রবাসীদের পাশাপাশি দেশের সচেতন নাগরিকরা যদি এই বিষয়ে এগিয়ে আসেন তাহলেে হয়তো প্রবাসীর সন্তানদের উচ্ছ শিক্ষিত হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবে পরিনত হবে।
ইছমাইল, (সাবেক শিক্ষার্থী,চবি)।
প্রবাসী, (দুবাই,সংযুক্ত আরব আমিরাত)।