ঈদের আনন্দ সত্যিই অন্যরকম।পরিবারের সবার সাথে ঈদ করার মজাই আলাদা।কিন্তু সেই সুযোগ বা সূবিধা বঞ্চিত প্রবাসীরা। দেশের ঈদ আনন্দ আর প্রবাসের ঈদ অনেকটাই ভিন্ন ধরনের। দেশের ঈদ হচ্ছে আনন্দ ভাগাভাগির, আর প্রবাসের ঈদ হচ্ছে একদিন ছুটি, এর্লাম বিহিন ঘুম। দেশের ঈদ আনন্দ প্রবাসীরা কি রকম মিস করে তা দেশের মানুষ কোন সময়ে অনুভব করতে পারবেনা, বা বুঝতে চায় ও না!
ঈদের দিনে খুবই মনে পড়ে সেই সব সময়ের কথা যা জীবনে আর কখনো ফিরে আসবেনা, গ্রামের ঈদ আনন্দ, ফজরের নামাজের পর সেমাই খাওয়া, এক বাড়ী থেকে অন্য বাড়ীতে ঘুরে বেড়ানো । ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশী।
প্রবাসের ঈদ হচ্ছে কর্মব্যস্ত অন্যন্য দিনের মতই শুরু হবে। ভোর চারটায় গোসলের পর সালাতুল ফজরের নামাজ ও ঈদের নামাজের প্রস্তুতি। আর নামাজের পর'ই শুরু হ্য় প্রবাস জীবনের সবচেয়ে অবিচ্ছেদ্য অংশ ঘুম, টানা ঘুম চলতে থাকে দুপুর ঘড়িয়ে বিকাল পর্যন্ত,অবশ্য অনেকে ঘুমের রাজ্যে পাড়ি না দিয়ে ছুটে যান কোনো নেট ক্যেফেতে অনেক দুরে থাকা আপনজনের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করার জন্য, শুরু হয় ভাব বিনিময়ের এক মহাক্ষন, আলাপ শুরু হলে আর শেষ হয়না, আপন মনে লুকানো দুঃখ/কষ্ট কাউকে বুঝতে না দিয়ে মা, বাবা সহ আপন মানুষের সাথে ঈদের আনন্দ শেয়ার করে যান হাজারো প্রবাসী। কারন প্রবাসীর কষ্ট প্রবাসী ছাড়া কেউ বুঝবেনা।
ঘরমের কারনে অনেকেই বাসা থেকে বের হননা, তাই বিকাল বেলায় সবাই ছুটে যান বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়ার জন্য, আড্ডা চলতে থাকে মধ্য রাত পর্যন্ত।
দুবাই'র ডেরা বাংলা বাজার, শারজাহ'র রোলা, আজমান বিচ এলাকায় স্বজনবিহীন বাংলাদেশীর উপস্হিতি দেখলে মনে হয়না আমরা প্রবাসে আছি।
তারপর ও শূন্যতা পূরন হয়না, মন মানেনা, মনতো পড়ে থাকে সেখানে, যেখানে আপন মানুষগুলো একসাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগিতে ব্যস্ত।
স্বজনেরা প্রবাসীর শূন্যতা অনূভব করূক। আর স্বজনেরা ঈদ ভালোবাবে উদযাপন করুক, ঈদের দিনের মতই আমাদের স্বজনেরা সুখে থাকুক, এটাই আমার মত অগনিত প্রবাসীর কামনা!!
ইছমাইল
দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত।
৭ আগষ্ট ২০১৩।