'মা' মাত্র একটি অক্ষর,একটি আকার(া) নিয়ে গঠিত 'শব্দ'।
সংক্ষিপ্তরূপের মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে 'মা' শব্দের চেয়ে আর কোন প্রিয় এবং ভালভাসার শব্দ আছে কিনা আমার জানা নেই।মনে হয় নেই।থাকবেই বা কেন?
পৃথিবীতে প্রত্যেকের জন্য মা আছে একটাই।সুতরাং 'মা' এর মত প্রিয় শব্দ একটা ই থাকবে।
মা.
এই শব্দের ভিতর আমি অনেক কিছু দেখতে পাই।অনেক কিছু অনুভব করি।অনেক কিছুর অস্তিত্ব পাই।
মা,শব্দের ভেতর আমি পাই আমার জন্মদাতা মাকে।যিনি আমাকে দীর্ঘ দশমাস দশ দিন পেটে ধারণ করেছে। আমাকে নিয়ে বাড়ী -ঘরের সব কাজ করেছেন।নিজের জন্য করেছেন। সবার জন্য করেছেন।
আমার জন্মের আগে,তিনি আমার জন্য কত কষ্ট করেছেন!
কত কষ্ট! কত যন্ত্রনা!শুধু আমার পৃথিবীতে আগমনের জন্য, আমার পৃথিবীর সামান্য আলো-বাতাস গ্রহণের জন্য তিনি এত কষ্ট সহ্য করেছেন!
আমি কি এগুলো কল্পনা করতে পারবো?
আমার জন্মের পর।মা আমার জন্য কত বেদনা সহ্য করেছেন!
কত রাত নির্ঘুমে কেটেছেন,কত দিন কষ্ট আর ব্যাথা নিয়ে অতিক্রম করেছেন!
আমার জন্ম থেকে নিয়ে,মা আমার জন্য শুধু কষ্টই ভোগ করে গেছেন।আমি পৃথিবীতে আসবো।পৃথিবীর আলো-বাতাস গ্রহণ করবো।মানুষের মত মানুষ হবো।
আমার জন্যই আমার মা সব কষ্ট হাসিমুখে গ্রহণ করেছেন।শুধু আমার জন্যই।
মা.
এই শব্দের ভেতর আমি পাই মায়া মমতা,আদর ভালবাসা।স্নেহের ছায়া।
আমি যখন নিরাশ হতাম,হতাশায় ডুবে যেতাম।তখন মা'ই একমাত্র আমাকে 'আশার বাণী' দিতেন।হতাশার সাগর থেকে উদ্ধার করতেন।
আমি যখন চারিদিক থেকে আশ্রয়হীন হতাম,তখন মা'ই ছিল আমার 'আশ্রয়' দাতা।
মা আমার জন্য যতটুকু কষ্ট -ত্যাগ স্বীকার করেছেন, আমি কি তার প্রতিদান দিতে পারবো???
নাহ।
শারীরিকভাবে, আমি যদি আমার চামড়া দিয়ে মার জন্য জুতা সেলাই করি,আমার কলিজা ভুনা করে মাকে খাওয়াই।
তা কখনই আমার মায়ের কষ্টের প্রতিদানের 'প'ও হবে না।
আর মৌখিকভাবে!
তখন এমনিই বলতে হয়,"রাব্বির হাম হুমা,কামা রাব্বায়ানী সাগিরা.."
হে আল্লাহ!তুমি আমার 'আম্মু'কে অসুস্থতা দান করো, হায়াত বাড়িয়ে দাও,সকল বিপদথেকে হেফাজত করো...
আর সারা জীবন মায়ের অনুগত গোলাম হয়ে থাকার তওফফীক দান করো...........
" মা " দিবস....