হঠাৎ হঠাৎ সে আসে, ছোট্ট করে মিষ্টি একটা হাসি দেয়, খুনসুটি করি আমরা। সবুজ একটা রাস্তা আছে,রাস্তার দু পাশে সারি সারি কৃষ্ণচূড়া গাছ, আমরা হাঁটাহাঁটি করি সেই পথে। মাঝেমধ্যে তার হাত ছোবার চেষ্টা করি আমি, সে প্রথমে লজ্জা পেয়ে হাত সরিয়ে নেয়, পরে নিজেই বাড়িয়ে দেয় তার কোমল হাত, একই সাথে বাড়িয়ে দেয় এক বুক ভালোবাসা।
হাঁটতে হাঁটতে তার চোখের দিকে তাকাই আমি, বড় বড় হরিণ চোখে দ্যাখা পাই মায়ার, প্রগার মায়ার। সে তখন একটু কপট রাগে বলে, " এভাবে নির্লজ্জের মতন তাকিয়ে কি দেখছ?" আমি বলি "তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয় সে কি মোর অপরাধ?" শুনে সে হয়ত লজ্জা পেয়ে যায়, ছোট্ট করে হেসে চোখ অন্য দিকে সরিয়ে নেয়, সেই হাসির শব্দে যেন পবিত্রতা ছড়িয়ে যায় চারিদিকে, সাথে সাথে কেটে যায় আমার মনের সকল আঁধার।
হঠাৎ সে বলে, আমায় ছেড়ে কখনো চলে যাবে নাতো?" আমি তখন রহস্যময় একটা হাসি দেবার চেষ্টা করি। বলি "হ্যাঁ, চলে তো যেতেই হবে একদিন, আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না?" আমার কথা শুনে তার অপার মায়ায় ভরা চোখগুলোতে টলটলে জল খেলা করে, দৃষ্টিতে ঝড়ে পড়ে অসহায়ত্ব।
আমি এই মায়াপরীর অশ্রুমাখা দৃষ্টি সহ্য করতে পারি না, আমার চোখও ভিজে উঠে। বলি, "আমি যখন তোমার সাথে থাকবো না, যখন চলে যাব জীবন নদীর ওই পাড়ে, তখনো প্রতি মুহূর্ত আমার ভালোবাসার পরশ জড়িয়ে রইবে তোমার প্রতিটি পদক্ষেপে, তখন আবার ভূতের ভয় করো না যেন"।
ততোক্ষণে তার চোখ থেকে হীরার মতন চকচকে দু ফোঁটা জল গড়িয়ে তার কোমল গালে চিকচিক করতে থাকে। আমি শক্ত করে তার হাতদুটো ধরি, আমার সবটুকু ভালোবাসা আর বিশ্বাস দিয়ে আলিঙ্গন করি তাকে, অনুভব করি প্রগার ভালোবাসার কি প্রচণ্ড তেজ।
আবার আমরা হাঁটতে থাকি, কৃষ্ণচূড়া গুলো যেন আমাদের দেখে ছড়িয়ে দেয় একরাশ লিলুয়া হাওয়া, দুটি মন যেন মায়াভরা আলিঙ্গনে গেয়ে উঠে "ভালোবাসি, ভালোবাসি"......
.........ঠিক এই সময় এসে প্রতিদিন আমার খুব ভাঙে, শালার গান টাও ঠিক মতন শেষ করতে পারি না, ধুর, আমার স্বপ্নের ডাইরেক্টরকে যদি কোনদিন পেতাম......
***বি.দ্রঃ আমি কিন্তু সিঙ্গেল