ভার্সিটি লাইফের প্রথম সেমিস্টার শেষ। এখন ১৮ দিনের বিশাল এক ছুটি কাটাচ্ছি এবং যথারীতি প্রোগ্রামিং এর ভুত মাথা থেকে ঝাঁটা মেরে বিদায় করে শান্তিমতন ফেসবুকিং করছি। একটা কথা বলে নেই, যারা কম্পিউটার রিলেটেড ফিল্ডে পড়াশোনা করছে, তাদের একটা নাজায়েজ সুবিধা আছে, তারা সারাদিন কম্পিউটার এর সামনে বসে থাকতে পারে, ঘরের মানুষজন ভাবে ছেলেটা/মেয়েটা দিব্যি পড়াশোনা করছে, এদিক দিয়ে আসলে পিসি তে চলছে চ্যাটিং। এই নাজায়েজ সুবিধার সব চাইতে বড় ফলভোগ করি আমি, বাপের টাকায় কেনা ইন্টারনেট প্যাকেজের প্রতিটা বাইটের পয়সা ভালভাবেই উশুল করি। সে যাই হোক, “ইন্টারনেটের প্যাকেজের একটি বাইটও ফেলনা করব না” – এই ধান্দায় দিন পার করার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াস্বরূপ সাধের কোডিং সব ভুলে খেয়ে বসে আছি। আমার মতন নতুন প্রোগ্রামারদের একটা সহি মাসালা দিচ্ছিঃ প্রতিদিনের অন্তত খানিকক্ষণ কোড না করলে আপনার কাছে কিছুদিন পর আপনার নিজের পূর্বে করা কোডগুলো দুর্বোধ্য মোর্স কোডের মতই ঠেকবে এতে কোন সন্দেহ নেই। এমনকি গুরুজনেরা বলেন, প্রতিদিন অন্তত দুই থেকে তিন ঘণ্টা কোড করতে, নাহলে নাকি ভাল কোডার হবার স্বপ্ন কেবল স্বপ্নই থেকে যাবে। এই কথা শোনার পর আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা শুরু করছি যে আমার পক্ষে ভাল কোডার হওয়া বেসম্ভব, প্রতিদিন তিন ঘণ্টা কোড কেবলই মরীচিকা, ওটা কেবল শুনতে ভাল লাগে, করে দেখাবার শক্তি বা সাহস কোনটাই আমার নেই।
অনেকে বলে শক্তি এবং সাহসের জন্য ডানো আর টিফিন বিস্কুট খেতে। আমি ভাবছি গাঁটের পয়সা খরচ করে কিছুদিন এগুলো খেয়েই দেখিনা। কে জানে, হয়ত আমিও একদিন সাকিব আর তামিম ভাইয়ের মতন লাফঝাপ মেরে টিভিতে “কোডিং করতে বুদ্ধি নয়, দরকার হর্নিলিক্স এর পুষ্টি” অথবা “কোডার মানে কি শুধুই চশমাওয়ালা আঁতেল, কোডার দুষ্টু হয়, রাবিশ হয়, খবিশও হয়” এসব অ্যাড করতে পারব। আপনাদের দোয়াপ্রার্থী…………