কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হয় নি। প্রচুর কেন্দ্র দখল, জাল ভোট, এজেন্ট বের করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই সবই আশংকাজনক।
এগুলো কি "বিচ্ছিন্ন" ঘটনা তা আমার কিনা জানা নেই। তবে ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচন কমিশনকে এর বিরুদ্ধে কোন জোরালো পদক্ষেপ এখনও নিতে দেখা যায় নি।
নির্বাচন কমিশন যদি সত্যই আন্তরিক হোন, তবে কেন্দ্রে অনিয়মের খবর পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নিতে পারতেন। কেন্দ্রে গোলযোগ হলে সেই কেন্দ্রে ভোট গ্রহন স্থগিত করতে পারতেন। অনিয়ম মোকাবেলায় নির্বাচন কমিশনকে আরো দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। নতুবা রাকিব কমিশনের মত এই কমিশনকেও "মেরুদন্ডহীন" তকমা নিতে হবে।
বিএণপির উচিত হবে অনিয়মের ঘটনাগুলো নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত আকারে পেশ করা। বিএনপি যেহেতু নিয়মতান্ত্রিক ভাবে এগুতে চায়, সেজন্য নিয়মের মধ্যে থেকেই প্রতিবাদ করতে হবে।
আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে সীমাকে মনোনয়ন দিয়ে ভুল করেছে। সীমা এখনও তার বাবার পরিচয়ে চলছেন। সেই পরিচয় কালিমামুক্ত নয়। ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হেরে গেলেও তা প্রশংসনীয়। বিএনপি নারায়নগন্জ্ঞে ক্লিন ইমেজের প্রার্থী দেয়ায় সবার কাছে প্রশংসিত হয়েছিল। যদিও আইভীর জোরালো ইমেজের কারনে তিনি হেরে গিয়েছেন। আমরা আশা করব রাজনৈতিক দলগুলো ক্নিন ইমেজের প্রার্থীকে মনোয়ন দেবার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নেবে।
আইভী কিংবা সাক্কু হয়ত জনপ্রিয় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু দুটো নির্বাচনেই নির্বাচন কমিশন পরাজিত হয়েছে জাল ভোট, কেন্দ্র দখল বন্ধ করতে। নির্বাচন কমিশনের এই পরাজয় মানে জনগনের পরাজয়। এর মধ্যে নারায়ন গন্জ্ঞে আইভী/সাখাওয়াত ক্যাডার লালন করেন না বিধায় সেই নির্বাচনে ততটা অনিয়ম হয় নি। সবাই যদি নিয়ম মেনে চলেন তবে সেই নির্বাচন স্বাভাবিক ভাবেই সুষ্ঠু হবে - এটা জানা কথা। নির্বাচন কমিশনের পথ সেক্ষেত্রে সহজ। কিন্তু অনিয়ম আর গোলযোগ যখন থাকে, নির্বাচন কমিশনকে তখনই পরীক্ষা দিতে হয়। নির্বাচন কমিশন যদি সত্যই সুষ্ঠু নির্বাচন করে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে চান তবে তাকে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ন হতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:০৬