১। ফুল দিয়ে কোন মেয়েকে propose করার চেয়ে পরীক্ষার আগের দিন প্রশ্ন দিয়ে propose করা খুব বেশি কার্যকর।
২। একটা মিথ্যা কথা বলতো খোকা?
- দুইজন ম্যাডাম একসাথে এস এস সি এর গার্ড দিতে পারেন, তারা একদম চুপচাপ থাকেন আর তারা ভারতীয় সিরিয়াল এর প্যাচাল পারেন না।
৩। পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে অনেক শিক্ষক, গার্ডের সামনেই এসে তার প্রিয় ছাত্র টিকে কানে কানে উত্তর বলে যান।
৪। কানে কানে সাহায্য পাওয়ায়, সাহায্যপ্রাপ্ত ছেলের বিরুদ্ধে অন্য কিছু ছেলে প্রতিবাদ করলে হলের বাইরে সেই ছেলের মা তাদের কে ধমক দেন।
৫। অতিরিক্ত কাগজ নেওয়া খুব ভালো কাজ, অন্তত মূল খাতা টা পেছনের বন্ধুকে তো দেওয়া যায়! এতে সে কোলের উপর খাতা রেখে নকল করতে পারে।
৬। কোলের উপর আরেকজনের খাতা রেখে নকল করলে শিক্ষক টিনের চশমা পরে বসে থাকেন।
৭। যে লোক কোন স্কুলের শিক্ষক না, কোন স্কুলের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য না অথবা রাজনৈতিক ক্ষমতা নেই, তার ছেলের জন্য পরীক্ষার আইন গুলি কড়াকড়ি।
৮। যে বিষয় গুলো মোটামুটি সহজ (ইংরেজী ১ম পত্র, বাংলা ১ম পত্র বা ক্যারিয়ার শিক্ষা) সেগুলোর প্রশ্ন পত্র ফাস হয় না
৯। প্রশ্নপত্র ফাঁস করা কোন অপরাধ না, তবে ভুয়া প্রশ্ন পত্র ফাস করা অনেক বড় অপরাধ। সেই অপরাধী রা রাতারাতি গ্রেফতারও হয়।
১০। সাধারণত পেছনের সারির ছাত্র রা পরীক্ষার আগের রাতেও ফেসবুকে একটিভ থাকে, কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে ক্লাসের সবচেয়ে ভালো ছেলেটাকেও খারাপ ছেলের চাইতে দুই ঘন্টা বেশি একটিভ পাওয়া যাচ্ছে। (প্রশ্নপত্র পাওয়ার লোভ)
১১। যে ছেলের মা পরীক্ষার এক মাস আগে ফোন কেড়ে নিতো সে নিজে এসে সন্তান কে ফোন দিয়ে যায়। বলে, "পরীক্ষার আগের রাতে refreshment জরুরি। বন্ধুদের সাথে একটু কথা বলে হালকা হয়ে নাও"
১২। জটিল সব পরীক্ষার (সাধারণ গণিত, রসায়ন বা পদার্থবিজ্ঞান) আগে আসল প্রশ্নের পাশাপাশি অনেক নকল প্রশ্ন ফাস হয়। সতর্কতা হিসেবে বন্ধুদের সাথে ক্রস ম্যাচ করে যার যার উৎস থেকে প্রাপ্ত প্রশ্ন মিলিয়ে নকল এড়ানো যেতে পারে।
১৩। যে পরীক্ষায় ৭ টা সৃজনশীল তাতে লেখার জন্য সময় দেওয়া হয় ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট। আর যে পরীক্ষায় ৫ টা সৃজনশীল তাতে লেখার জন্য ২ ঘন্টা ৩৫ মিনিট দেওয়া হয়।
১৪। প্রশ্নপত্র ফাসের খবর জেনেও মন্ত্রণালয় পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া জরুরি মনে করবে না, কারণ তারা জানে, আবারও পরীক্ষা নিলে আবার প্রশ্ন ফাস হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:২৬