পাড়ার ছেলেরা পূজা উপলক্ষ্যে একসাথে বৃক্ষরোপণ এর প্ল্যান করলো, যেই বলা সেই কাজ। বিকালে চাদার টাকা দিয়ে কেনা চারা, কোদাল, গোবর মাটি নিয়ে সবাই স্কুলের পাশের রাস্তা টায় গাছের চারা পোতা শুরু করে। কাজ শুরু হতে না হতেই হঠাৎ ই হাজির হয়ে খেপে গেলেন সাজন চন্দ্র কর্মকার। ছেলে কিনা মুসলমানের বাচ্চাদের সাথে খেলছে!
"এই বাদরের দল এদিকে আয়", নিজের ছেলের দিকে তাকিয়ে বললেন,"মুসলমান দের সাথে এতো কিসের পিরীত?"
বিমল চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো।
ফয়সাল বলল,"আঙ্কেল, ধর্ম যার যার উৎসব সবার"
"রাখ তোর ধর্ম তোর কাছে, বিয়া যার যার বউ সবার? বললেই হল?" বলেই কান টা ধরে টেনে ঘরে নিয়ে আসলেন ছেলেকে।
রাতে খেয়েদেয়ে ঘুমুতে গেলেন সাজন সাহেব। হঠাৎই শর্ট সার্কিটে আগুন লেগে যায় সাজন সাহেবের বেডরুমে। অনেক চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে পারেন না, আগুন ছড়িয়ে পড়লে পুরো পরিবার বাইরে এসে প্রতিবেশী সবাইকে ডাকাডাকি শুরু করে, সবাই বের হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, কেউ এগিয়ে যায় না সাহায্যে। ফয়সাল বালতি হাতে দৌড় দেয় বন্ধুর বাড়ি বাচাতে, তার বাবা পথ রুখে দাঁড়ায়। সাজন সাহেব কে শুনিয়ে শুনিয়ে বলেন,"বিপদ যার যার প্যারা তার তার"।
সাজন সাহেব ঝাপসা চোখে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে থাকেন বাপদাদার ভিটার ধ্বংস।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৩১