প্রফেশন লাইফে জয়েন করলে যেটা বিসর্জন দিতে হয় আগে তা হইল গিয়া অবাধ স্বাধীনতা। স্টুডেন্ট লাইফের মত যখন তখন যেখানে সেখানে আর যাওয়া যায়না। তেমনি চাকুরী জীবনের প্রথম দিকে একবার ১লা বৈশাখে অফিস খোলা রাখলেও দুপরের পরে ঠিকই রমনাতে চলে গেলাম পূর্বাভ্যাস মতো। বিশেষ সজ্জায় সাজুগুজু রমনীকূল দেখতে কি আর মন্দ লাগে কারো? ভালই লাগছিল......
এইভাবে হেটে হেটে যখন রমানর গেইট দিয়ে বাইরে যাচ্ছি তখন চোখে পড়ল কালো কাপড়, কালো চশমা, কালো রুমাল মোটকথা পুরাটাই কালো রং এ আচ্ছাদিত এক মুশকান্ডা। আমি অবাক নয়নে তার সামনে গিয়ে দেখতে লাগলাম "ইহা আবার কি জিনিস"? প্রথমে ভাবলাম কেউ বোধহয় মজা করে এরকম সেজেছে, কিন্তু পরমুহূর্তেই ভুলটা ভাঙল যখন তার পাশে আরো কয়েকজনকে দেখলাম একই বেশে আর্মসহ। আমার বেশ মনে আছে আমার বন্ধু যাবার তাড়া দিলে আমি বলেছিলাম " দাড়া আগে এই জিনিসটা দেইখা লই"। আমার বলার ভঙি দেখে সেই বিশেষ প্রাণীটা তখন হেসে দিয়েছিল।
পরে জেনেছিলাম সেই "ইহা আবার কি জিনিস" নামক বিশেষ প্রাণীটা হচ্ছে র্যাব।
সে যাই হোক যার জন্য এত গৌরচন্দিকা সেটাই বলি এখন, বি.বি.সি. তে কয়েক দিন আগে শুনলাম সিনেমার অশ্লীল দৃশ্য রোধে নাকি এখন র্যাবকে ব্যবহার করা হবে, ভাল বেশ ভাল। আজ বাংলাদেশে কোথায় না তার অনুপস্হিতি সর্বত্রই তাহার বিচরণ। না র্যাব দিয়ে যদি দেশের উপকার হয় তাতে আমার অখুশী হওয়ার তো কোন্ই কারন নেই বরন্চ খুশীই হব বেশী। কিন্তু যেভাবে এখন র্যাবের সরলীকৃত ব্যবহার হচ্ছে তাতেই আমার আপত্বি। সবকিছুতেই যদি র্যাব তাহলে সেই প্রাসঙিক ডিপার্টমেনটের কর্মকর্তারা কি ঘোড়ার ঘাস কাটে নাকি?
তাই আমার মনে হল র্যাব দিয়েই যদি সব সমস্যার সমাধান হয় তাহলে যদি দেশ পরিচালনায় সরকার ব্যার্থ হ্য় তাহলে কি..........
বাকীটুকু আপনারাই বুঝে নিন
বি: দ্র: ইমোকটিন ব্যবহার এর নিয়মাবলির জন্য জ্বীনের বাদশা কে ধন্যবাদ