হ্যালো! ভালো আছো?
তোমাকে না বলেছি আমাকে আর ফোন দিবেনা?
কেন এমন করছ আমার সাথে? ফোনের অপর প্রান্তে কাঁদো কাঁদো স্বর শায়লার। আমি কি করেছি?
আমি তো তোমাকে বলেছি, আমি অন্য একটা মেয়ের সাথে রিলেশন এ আছি, কথা কি মাথায় ঢুকেনা?
তাহলে আমার কি হবে? আমার সাথে কেন-ব্রেক আপ করলে?
তোমাকে এখন আর আমার ভালো লাগেনা।
আমি বিশ্বাস করিনা।
এমন সময় হঠাৎ তীব্র মাথা ব্যাথায় চোখে অন্ধকার দেখতে থাকে ফয়সাল।
ফোন কেটে দিয়ে মাথা হাত দিয়ে চেপে ধরে ছটফট করতে থাকে।
সময় জ্ঞান হারিয়ে যায় মনে হতে থাকে যেন অনন্ত কাল ধরে এই মাথা ব্যাথা হয়েই যাচ্ছে।
যেভাবে আচমকা ব্যাথা টা এসেছিলো ঠিক সেভাবেই চলে যায় হঠাৎ করে।
ফয়সাল ঘড়ির দিকে তাকায় প্রায় তানা তিন ঘণ্টা ধরে ছটফট করেছে সে।
ওষুধ খাবার সময় হয়ে এলো, এখনি আবার ডাক্তার আঙ্কেল আসবেন দেখে যাওয়ার জন্য।
ফয়সাল জানে তার হাতে আর বেশীদিন সময় নেই, ব্রেন টিউমার টা খুব খারাপ ভাবে বড় হচ্ছে আসতে আসতে।
বাবা ওষুধ খেয়েছিস?
ওষুধ খেয়ে কি হবে মা? ফয়সাল মলিন স্বরে হেসে ওঠে।
ফয়সালের মা থমকে দাঁড়ান, কান্না আটকে রাখার আপ্রান চেষ্টা করেও আর না পেরে বের হয়ে যান রুম থেকে।
ফয়সাল বুঝতে পারে কাজটা ভালো হয়নি।
সে ওষুধ খেয়ে, এর পর যেয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে, মা তার মাথায় হাত বুলাতে থাকেন।
এমন সময় ফয়সালের ফোনে মেসেজ আসে, ফোন বের করে দেখে শায়লার মেসেজ।
“আই হেট ইউ” _ তোমার সাথে আর কখনো যোগাযোগ করবোনা। আমার ভাবতেই ঘৃণা হচ্ছে যে আমি তোমার মত ছেলে কে ভালোবেসে ছিলাম।
ফয়সালের চোখ দিয়ে অশ্রু ঝড়তে থাকে, সে ফিস ফিস করে বলে _
“আমাকে ঘৃণা করে তুমি সুখে থাকো শায়লা, অন্য কাউকে ভালবেসো তুমি। তুমি তো জাননা ভালোবাসা আমাকে আর মানায় না”