নায়িকা তারানা,
আইনজীবি তারানা,
এমপি তারানা
এবং মন্ত্রী তারানা।
আসলে আপনি তো কেবল একজন ব্যক্তি নন, আপনি রীতিমত একটা প্রতিষ্ঠান। অনেক গুনে অনন্যা আপনি। তাই তো আপনার নিকট জনগণের আশা-চাহিদা'ও অনেক বেশী।
আপনি এসেই আদেশ জারী করলেন - বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে মোবাইল গ্রাহকদের তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। আদেশ দেয়ার সাথে সাথে তা পালন করা শুরু হয়ে গেল। শুরু বলাটা একটু সাদামাটা শোনায়; আসলে বলা চলে, এক এলাহী কান্ড শুরু হয়ে গেল। মোবাইল কোম্পানিগুলোর মালিক থেকে শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারী-পরিবেশক-গ্রাহক সবাই সেই আলোড়নে মহা-আলোড়িত হল। মন্ত্রী-আদেশ বলে কথা! খুশী-অখুশী যা'ই হোক সবাই সে আদেশ পালন করছে।
কিন্তু মাননীয়া মন্ত্রী, আপনি কি নিজ ঘরের খবর রাখেন?! আপনার টিএনটি'র বিপনন থেকে শুরু গ্রাহক-সেবা সবটাই এক মহা অপেশাধারী, গোঁয়ার, দায়সারা-গোছের কর্মকান্ড। আমি আজ তিন বছর ধরে আমার অফিসে টিএনটি লাইন ব্যবহার করছি। ক্রমাগত নূন্যতম একমাস আমি অভিযোগহীন আমার ফোনলাইন ব্যবহার করতে পারিনি। লাইনম্যান থেকে শুরু করে প্রোকৌশলী সবার এক কথা - ঠিক আছে যান, দেখি কতটুকু কি করা যায়। আমরা গ্রাহকরা মাসের পর মাস নিয়মমাফিক বিল দিয়ে যাচ্ছি, অথচ সেবা-দানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান নির্বিকার।
তাই বলছিলাম - গ্রাহকদের তথ্যের চেয়ে তাদের পয়সা-দিয়ে-কেনা সেবা যেন তারা পেতে পারে সেদিকে কি কিঞ্চিৎ নজর দিতেন তো বহুৎ উপকার হইত! তা না হলে আসলে কাজের নামে লবডংকা'ই হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১৩