আমরা কামে-আকামে, বুইঝা না বুইঝা হুদাই সিরিয়াস হইয়া যাই। মাগার যেইখানে সিরিয়াস হওনের দরকার, ঐখানে চরম অবহেলা।
চাকুরে তার দপ্তরে কাজে সিরিয়াস না, সিরিয়াস খেলার টিকেট কেনায়।
প্রকৌশলী তার দায়িত্বে সৎ নয়, সততা খোঁজে আম্পারিং এ।
শিক্ষক শিক্ষাদানে ফাঁকিতে দক্ষ, কিন্তু খেলার কোচের কোচিং এ ভুল ধরে।
আইনজীবি হরদম টাকার কাছে বিক্রি হচ্ছে, আর রান-আউট ঠিক হয়েছে কি না, তা নিয়ে গলার রগ ফুলাচ্ছে।
ব্যবসায়ী নিজ ব্যবসায়ে বৈধ-অবৈধ কৌশল করাকে "পার্ট অব বিজনেস" ভাবে। খেলাও যে এখন হাজার কোটি টাকার ব্যবসার অংশ তাহা ভুলিয়া যায়।
এরকম চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ, এনজিও-সংঘটক, সরকারী-বেসরকারী চাকুরে - সকল পেশার মানুষ নিজ নিজ ক্ষেত্রে নির্বিকার দায়িত্বহীন ও অসৎ থেকে, ক্রিকেট খেলাতে এসে হয়ে পড়েন চরম স্পর্শ-কাতর।
এক দর্শক ক্রিকেট'এ পাকিস্তানের পক্ষে দু'হাত তুলে আনন্দ করে খেলার জন্য নয়; কেন?
- পাকিস্তান মুসলমানগো দেশ বইলা।
যহন কই, এই মুসলমান তো ৭১এ তোমার মা-খালাদের মাল'এ গানিমাত মনে কইরা খাল বানাইছিল।
আরেক দর্শক ইন্ডিয়া নামে দিবারাত্র জপ করে খেলার জন্য নয়; কেন?
- ৭১এ ভারত বন্ধু হইয়া সাহায্য করছে বইলা।
যহন কই, এই বন্ধু বাংলার নদী-প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে এই ভুমিরে মরু বানাইতে চায়।
এই বন্ধু আমার কারখানাগুলারে প্ল্যান-মাফিক ধ্বংস কইরা, পুরো বাংলাদেশকে তার পণ্যের বাজার বানাইতে চায়।
এই দুই দল আবাল চো.... দর্শকরে কই কুটনৈতিক সম্পর্কে কোন ধর্ম নাই, কোন বন্ধু নাই....... এমনকি কোন শত্রুও নাই। আছে স্বার্থ ও বানিজ্যিক সমীকরন।
অমিতাভ যখন পাকিস্তানী খেলোয়াড়ের খেলায় মুগ্ধ হয়ে প্রশংসা করে, তখন কি তিনি রাজাকার হইয়া যান; আবার পাকিস্তানী কোন স্টার খেলোয়ার যখন সচীনের খেলোয়াড়ী ভাবের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন, তখন কি তিনি ভারতের দালাল হইয়া যান?!
আমরা ক্যান খেলারে খেলার বাইরে টাইনা আইনা নিজের পা... নিজে মারি?
বাংলাদেশ-পাকিস্তান খেলায় চরম পাকিস্তান প্রেমীরও প্রাণ বাংলাদেশের পক্ষে কাঁদে।
আবার বাংলাদেশ-ভারত খেলায় ভারত বলতে অজ্ঞান লোকটিও বাংলাদেশের জন্য জান দিয়ে দিবে।
সমস্যা কেবল তাদের যারা খেলাকে খেলার বেশী ভাবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১৫