বাংলাদেশে বর্তমান সামাজিক নিরাপত্তার কোন স্তরে সাধারণ মানুষের বসবাস তনু-ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। এরকম ঘটনা যে আর ঘটেনি বা ঘটছে না, তা নয়; আকছারই ঘটছে। তবে কোন কোন ঘটনা অনেক ঘটনার প্রতিনিধি বা প্রতিক হয়ে সামনে চলে আসে।
প্রশাসন পত্রিকা মারফত জনগণকে ওয়াকিবহাল করছেন - দূর্ঘটনাকে গুরুত্ব দেয়া, সঠিকভাবে তদন্ত করা, বিপদগ্রস্থকে সাহায্য ও মানবিক সহায়তা প্রদান, অহেতুক হয়রানী না করা, প্রভৃতী তাঁদের দাপ্তরিক কাজেরই অংশ; এগুলোর জন্য আন্দোলনের মত পৃথক চাপের প্রয়োজন নাই।
সেনা গণসংযোগ বিভাগ থেকে পত্রিকা'র মাধ্যমে জানানো হয়েছে - তাদেরকে অহেতুক সন্দেহ করা হচ্ছে এবং তারা এ ঘটনা তদন্তে পূর্ণ আন্তরিক ও সহযোগিতা করছেন।
কিন্তু আমরা নানা মাধ্যমে কি দেখছি বা পড়ছিঃ
- নিহতের শোক-সন্তপ্ত মা-বাবা'কে গভীর রাতে মিথ্যে কথা বলে সেনানিবাসে ডেকে আনা হল। তাঁদেরকে একই কথা বারংবার জিজ্ঞেস করে মানসিক-কষ্ট প্রদান করা হল। একে তো তারা মানসিক বিপর্যস্ত, তারউপর অস্বাভাবিক সময় ও স্থানে জিজ্ঞাসাবাদ।
- শুনেছি তনু দু'টি টিউসনি করত; সেসব ঘরের অভিভাবক, বাসিন্দা, ছাত্র-ছাত্রী তাদের কাছ থেকেও তো তথ্য পাওয়া যেতে পারে। আমরা কিন্তু এর আগে পত্রিকান্তরে জেনেছি - রামপুরায় দুই শিশু খুনের মামলায় গৃহশিক্ষিকাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
- যেখানে তনুর লাস পাওয়া গেছে সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্বরত ব্যক্তিদের ভাষ্য এখনো আমরা জানি না। যে গেইট দিয়ে তনুর লাস ওখানে আসতে পারে সেই গেইটের দায়িত্বরত এমপি'র ভাষ্য কি?
- তনুর লাসের ফরেনসিক রিপোর্টের দীর্ঘসূত্রিতার কারন কি? তনুর মা-বাবা'কে যত "প্রম্পট" জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হল; উপোরোল্লিখিত ব্যক্তিদের তত "প্রম্পট" আনা হয়েছে কি?
আইন-শৃংখলা বাহীনি অন্যান্য দায়িত্বের মত এগুলোও অতীব দ্রুততায় করেছেন কি না, তা কিন্তু আমরা পত্রিকান্তরে জানতে পারছি না।
আমরা সবাই অপেক্ষায়।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৯