সারা গ্রামে হুলুস্থুল পড়ে গেছে। চারিদিকে সবার চোখ ছানা-বড়া!
এ কি ঘটিল গ্রামে?!
এ লজ্জা কোথায় রাখে, কা’কে দেয় - তা’ই নিয়েই এক কঠিন বোঝা-পড়া।
গ্রামে মা-বাপ মরা “টাকাতি” নামের সুন্দরি-উদ্ভিগ্না-তরুনি’কে নানা কৌশলে, অনেকজনে মিলে করেছে গ্যাং-রেপ।
কে যে কা’কে দুষবে তা নিয়েই হয়েছে আরেক জ্বালা।
কারন যে ঘরে অঘটনটি ঘটিল সেখান থেকে একে একে বের হচ্ছে অনেকেই।
প্রথমেই ধরা হল মুদি দোকানিকে।
- ব্যাটা, তোর দোকানের পিছনের ঘরেই ঘটেছে ঘটনা, সেই ঘরের মালিক তুই, তুইই অকাজটা করেছিস। ঠিক।
মুদি দোকানি কহিল - আমাকে সাহস দিয়েছে ঔষধের দোকানদার; কনডম দিয়েছে ফ্রি। ফ্রি দিয়ে সেও সুযোগ নিয়েছে। সে কই?
মুদিদোকানি গিয়ে ঘর থেকে ফার্মাসিওয়ালাকে বের করল।
ফার্মাসীওয়ালা কহিল - ভিতরে ডাক্তারও আছে, তিনি আমাকে অভয় দিয়েছেন। চুড়ান্ত কিছু হইলে তিনি উদ্ধার করিবেন।
আচ্ছা, তিনি কই?!
ঔষধওযালা গিয়ে ঘর থেকে তাকেও বের করিল।
ডাক্তার কহিল - আমি কাজটি করিতাম পাশের গ্রামের ক্লিনিকে, কারন এখানে আমাকে সবাই চিনে। সেই সুযোগে পাশের গ্রামের ক্লিনিক মালিকও নাকি সুযোগ নিয়েছে।
ডাক্তার গিয়ে ঘর থেকে তা’কেও বের করিল।
ইতোমধ্যে ঘরের পিছন দিক থেকে চোখ কচলাতে কচলাতে গ্রামের মুরুব্বির আগমন ঘটিল। ভিড়-ভাট্টার জন্য কেহই লক্ষ্য করিল না উনি কোথা থেকে বের হলেন।
তাই সকলে মিলে ওনার কাছেই বিচারটা দিলেন।
উনিও পরিস্থিতি বুঝে একটা ঢোক গিলে সবাইকে নানা উপদেশ দিতে লাগলেন। ধমকাতে লাগলেন। শেষে একটা বিধান দিলেন -
কাজটা খুব তাড়াহুড়ো করে করা হয়েছে, তাই যারা যারা একাজ করেছে তারা তাদের জিপারটা লাগাতে ভুলে গেছে। সুতরাং যাদের জিপার খোলা পাওয়া যাবে তারাই এই জঘন্য কর্মের জন্য দায়ী।
এতক্ষণে সকলে মুরুব্বির মুখের দিকে চেয়েছিল; নজর নিচের দিকে যখন ধিরে ধিরে নামাল তখন দেখতে পেল -
- মুরুব্বির জিপারটাও খোলা এবং তা’তে কি যেন লেগেও আছে।
আজ বাংলাদেশের আর্থিক সেক্টরে যে পরিমান অর্থ কেলেঙ্কারী ঘটল এবং পুরো ব্যাপারটা নিয়ে তাবৎ অর্থনৈতিক মুরুব্বি বাংলাদেশ ব্যাংকের অবস্থান দেখে এই কল্পিত গল্পের প্লটটা মাথায় আসল।
দয়া করে গল্পটিকে সিরিয়াস করে দেখবেন না, ইহা নিছকই একটা গল্প। বাস্তবের সাথে ইহার কোনই মিল নাই।
**আমার ফেবু পাতা থেকে [facebook.com/zazabormon]
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৩