গত প্রত্যুষে চারজনের [মামুন, রাসেল, সাইদুর ও ইকবাল চৌ] এক অভিযাত্রী দল ফোরাত নদীর কুলে ডলফিন পয়েন্টাভিমুখে যাত্রা শুরু করে। তাহাদের সেই অভিযান মাঝ পথে মরু সাহারায় এসে মুখ থুবড়ে পড়ে।
এক অভিযাত্রী'র বাহন বিকল হয়ে পড়ে। অপর আরেক অভিযাত্রী'র পিছুটান তাদের মনোবল ভেঙ্গে দেয়। ফলে পুরো দলটি ভগ্নমনোরথে, হতাষ-হৃদয়ে ঘরে ফিরতে বাধ্য হয়।
দাদা-সাইক্লিস্ট তাদের এই ব্যর্থ-অভিযানের খবর পায়। পুরোন দলকে সে আহবান করে। কিন্তু মনোবল ভেঙ্গে তাদের ভিতর এক পলায়নপর মানসিকতার জন্ম নেয়।
কিন্তু ইকবাল চৌ. যাকে গতকালের ব্যর্থতা পরাভুত করতে পারেনি। তার ভিতর এক অদম্য অভিযান-স্পৃহা জাগতে থাকে। সে এক যোগ্য-সাহসি-অকুতোভয় সহযাত্রী'র সন্ধান করতে থাকে - মনে, মনে।
আজ হেমন্ত-ভোরে দাদা-সাইক্লিস্টের আহবানে তার ঘুৃমন্ত ইচ্ছায় যেন স্ফুলিঙ্গ ঘটায়।
কাক-ডাকা-ভোরে তারা দুই অভিযাত্রী মরু সাহারা হয়ে ফোরাত-কূলে'র ডলফিন-পয়েন্টাভিমুখে রওনা দেয়।
এক পাইপলাইন দেখে সভয়ে ইকবাল চৌ দাদাকে শুধায় - ইহা কিসের লাইন? দাদা চিন্তিত মনে উত্তরে বলে - সম্ভবত ইউএসএ গোপন কোন লাইন দিয়ে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল সরাচ্ছে।
অভিযাত্রী দু'জন ব্যাথিত মনে পা টেনে টেনে, বাহন হেচড়ে এগোতে থাকে।
.........এবং অবশেষে তাহারা পৌঁছে যায় তাদের আরাধ্য ডলফিন পয়েন্ট এ।
এখানে স্থানের নাম গুলো কাল্পনিক। যেমন - ফোরাত-নদীর জায়গায় তুরাগ-িনদী হবে, মরু-সাহারা হচ্ছে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহসড়ক থেকে ৭/৮ কিলো পশ্চিমে ছায়াবিথী নামে একটা আবাসন প্রকল্পে বালি দিয়ে ভরাট জায়গা। আর নদীর পাড়টা ছিল টঙ্গি গাজীপুরের কাইসানি গ্রাম।
আমরা ক’জন সকাল বেলা সুযোগ পেলে সাইক্লিং করি।
আপনাদের ভাল লাগলে এরকম আরো কিছু ভ্রমন শেয়ার করব।
পরিশেষে, হেমন্তের এই ভোরে বট-বৃক্ষের পাতার ফাঁকে সূর্য-রশ্নি আলোছায়ার এক সপ্নিল পরিবেশ তৈরী করেছে।
source: from my fb page f/zazabormon
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১১