যুদ্বপরাধীদের বিচারে ডাল ম্যা কুচ কালা থাকার কারণে দেশের প্রধান মিডিয়াগুলো বিচারের কোনো গুরুত্বপূর্ন খবরই প্রকাশ করছে না ...আজকে বার্তা ২৪ এর একটি খবরে চোখ আটকে গেলো ... এতো দিন ট্রাইবুনাল জোর জবরদস্তি করে দেলোয়ার সিকদারকে দেলায়ার সাইদী বানাতে চেয়েছিলো ... কিন্তু আজকে ট্রাইবুনালের জেরায় তদন্ত কর্মকর্তা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন , দেলোয়ার সাইদী আর দেলোয়ার শিকদার একই ব্যক্তি নয় ...
জেরার উল্লেখযোগ্য অংশ হলো ................
জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম যে দেলু সিকদার ছিল না তা শেষ পর্যন্ত জেরা করে বের করেছেন তার আইনজীবী মিজানুল ইসলাম।
অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন স্বীকার করেছেন যে “দেলু শিকদার মাওলানা সাঈদীর নাম নয়। এই নামে অন্য একজন রাজাকার ছিল।”
মঙ্গলবার জেরার সময় দেলোয়ার শিকদার, পিতা রসুল শিকদার নামে পিরোজপুরে এক রাজাকার থাকার কথা স্বীকার করলেন তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন। জেরার সময় মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা স্বীকার করেন পিরোজপুরে একটি রাজাকারের তালিকায় এই নামে এক ব্যক্তি রয়েছে।
অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করেন “আপনি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পিরোজপুর জেলা কমান্ড কাউন্সিল থেকে একটি তালিকা সংগ্রহ করেছেন?’’ তদন্ত কর্মকর্তা প্রশ্নের জবাব দেন ‘‘জি, তবে তা প্রদর্শন করিনি’’
এরপর মিজানুল ইসলাম তাকে প্রশ্ন করেন ‘‘এই তালিকায় রাজাকারের মধ্যে ৪৬ নম্বরে দেলোয়ার শিকদার, পিতা রসুল শিকদার নামে এক ব্যক্তির নাম রয়েছে?’’তদন্ত কর্মকর্তা জবাবে বলেন ‘‘জি’’।
এরপর জিয়ানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে তালিকা সংগ্রহ বিষয়ে আরেকটি প্রশ্ন করায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী আপত্তি জানিয়ে বলেন, “যা ট্রাইব্যুনালে প্রদর্শন হয়নি তা নিয়ে এভাবে প্রশ্ন করা যায় না।” এ নিয়ে দীর্ঘ বিতর্ক হয় ট্রাইব্যুনালে। বিতর্ক শেষে মঙ্গলবার বিকেলে সাঈদীর বিচার কার্যক্রম মুলতবি করেন। বুধবার আবারো তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করার কথা রয়েছে।
জেরার সূত্র বার্তা ২৪
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১২ ভোর ৪:৫৮