দেখুন কিভাবে সহীহ হাদীসকে লাল বাতি জ্বালিয়ে দুরে ঠেলে দেয়া হয়েছে --- আবু কাতাদাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত । তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন - “যখন তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করবে , তখন
সে যেন দু’রাকাত সালাত আদায় করা ব্যতীত না বসে । ( বুখারী হাদীস/৪৪৪ , ১১৬৭ ; মুসলিম হাদীস/ ৭১৪ ; তিরমিযী হাদীস/ ৩১৬ ; নাসাঈ হাদীস/ ৭৩০ ; আবু দাউদ হাদীস/ ৪৬৭ ; ইবনু মাজাহ হাদীস/
১১২৩ ; আহমাদ হাদীস/ ২২০১৭ , ২২০৭২ , ২২০৮৮ , ২২১৪৬ ;
দারেমী হাদীস/ ১৩৯৩ ; রিয়াদুস সালেহীন হাদীস/ ১১৫১)
জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন - নবী করীম (সাঃ) এর খুৎবা দানকালে সেখানে এক ব্যক্তি আগমন করেন । তিনি তাকে বলেন , হে অমুক ! তুমি কি ( তাহিয়াতুল মাসজিদ ) সালাত পড়েছ ? ঐ ব্যক্তি বলেন , না । নবী ( সাঃ ) বলেন , তুমি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় কর ।
অন্য হাদীসে বলা হয়েছে তুমি সংক্ষিপ্ত ভাবে দুই রাকাআত ( তাহিয়াতুল মাসজিদ ) সালাত আদায় কর । ( বুখারী হাদীস/৮৮৩ , ৮৮৪ ;
মুসলিম হাদীস/১৮৯৫ , ১৮৯৬ , ১৮৯৭ , ১৮৯৮ , ১৮৯৯ , ১৯০০ ;
তিরমিযী ; ইবনে মাজাহ ; নাসাঈ হাদীস/১৪০৩ ; আবু দাউদ
হাদীস/১১১৫ , ১১১৬ , ১১১৭)
প্রথম হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাহিয়াতুল মাসজিদ সালাতের গুরুত্ব বুঝিয়েছেন এবং এই সালাত না আদায় করে বসতে নিষেধ করেছেন । দ্বিতীয় হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নিজে খুৎবা চলাকালীন অবস্থায় আগত ব্যক্তিকে দাঁড় করিয়ে দুই রাকাত তাহিয়াতুল মাসজিদ সালাত আদায়
করিয়ে এই সালাতের গুরুত্বের প্রমাণ দিয়েছেন । আর আমাদের মসজিদ গুলিতে লাল বাতি জ্বালিয়ে নিষেধ করা হয় যে “লাল বাতি জ্বলা কালীন
কোন নামায পড়া নিষেধ” । কারণ আপনাদের মাযহাবে তাহিয়াতুল মসজিদ নফল । আার খুৎবা ওয়াজিব । যে ওয়াজিব খুৎবা থামিয়ে তাহিয়াতুল মসজিদ নামায পড়ানো হল সেটা নফল হয় কি করে ? একটু ভেবে দেখুন অন্ধ অনুসরণ করতে গিয়ে আমরা সহীহ হাদীসের সাথে যে আচরণ করছি তার পরে নবী (সাঃ) এর সামনে দাঁড়াতে পারবো তো ?
সৌজন্যেঃ https://www.facebook.com/Quranandsohihadis