একদিন সিগারেট না খেলে কি হয়?
তেমন কিছুই হয় না। আমার প্রতিদিনের চল্লিশ-পঞ্চাশ টাকা বেঁচে যায়। ছোট ছোট চা-পানের দোকানে কয়েকটা সিগারেট বেচাবিক্রি কম হয়। আর সারা দিনের দীর্ঘশ্বাসগুলো হালকা ধোঁয়া হয়ে উড়ে না যেয়ে বুকের ভেতরেই জমা হয়।
চিন্তা করছি এখন থেকে এতো সিগারেট আর খাবো না। শুধু রাতে ফিরে আসার সময় একটা খাবো। সারাদিনের জমানো ভারী শ্বাস সিগারেটের ধোঁয়ার সাথে একবারে বের করে দেবো। ওগুলো ফানুস হয়ে উড়ে যাবে। লাল ফানুস, নীল ফানুস। আগে বাড়িতে মেলা হলেই ফানুস উড়াতাম। কি সুন্দর লাগতো আকাশটা তখন। মনে হতো, আকাশেও টিমটিমে বাতির একটা মেলা বসেছে। কিছুক্ষণ পরেই ওরা তারার মতো ছোট ছোট হয়ে যেতো। আমি আর বুবু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতাম।
প্রতিবার মেলায় ফরিদ চাচা নাগরদোলা ভাড়া করে আনতেন। আমি আর বুবু সারাটা দিন নাগরদোলায় উঠে বসে থাকতাম। আমি এখনো চোখ বন্ধ করলে সেই নাগরদোলার দোলনার পাশ ঘেঁষে আসা শোঁ শোঁ বাতাসের শব্দ শুনি। আমার বড় ভালো লাগতো। মেলায় যেতাম নাগরদোলা, আর বাতাসার লোভে। এক টাকায় চারটা বাতাসা। বুবুর সাথে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বাতাসা খেতাম, আর সার্কাস দেখতাম।
তারপর মেলা শেষে গুটি গুটি পায়ে আমরা বাড়ি ফিরে আসতাম। হারুদের বাড়ির সামনের মোড়টাতে একটা চায়ের দোকান ছিলো। ওখানে কিছু ছেলে সারাদিন বসে থাকতো। মেয়েদের দেখলে শিস বাজাতো। আরও কি সব বলতো, বুঝতাম না। ওই দোকানের সামনে এলেই বুবুর মুখ যেন কেমন হয়ে যেতো। একবার একরাতে মেলা থেকে বাড়ি ফিরছি, এক ছেলে বলা নাই কওয়া নাই, উঠে এসে বুবুর ওড়না ধরে একটা টান দিলো।
আমার মনে আছে, আমি হাতের কাছে আর কিছু না পেয়ে এক থান ইট তুলে নিয়ে মারতে গিয়েছিলাম। ওরা অনেক হাসছিলো। বুবু আমাকে ধরে শক্ত করে একটা টান দিয়ে নিয়ে হনহন করে হেঁটে চলে আসলো। একটা কথাও বলে নি। বাড়ির সামনে এসে শুধু বলেছিলো- কাউকে বলিস না। তাহলে আমার আর মেলা দেখা হবে না কোনোদিন।
বাড়ি ফিরে সে রাতে বুবু অনেক কেঁদেছিলো। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে, চাপা স্বরে। বাবা- মা যাতে টের না পায়। বুবু সারারাত ঘুমায় নি। ও পাশ ফিরে শুয়ে ছিলো। আর কেঁদেছে।
এরপর অবশ্য এমনিতেও বুবুর সাথে আর মেলা দেখা হয় নি। হুট করে একদিন বিয়ে হয়ে গেলো ওর। এতো তাড়াতাড়ি ও শ্বশুরবাড়ি চলে যাবে, কখনো চিন্তা করি নি। আসলে তখনো বুঝিই নি, যে বুবু আমাকে ছেড়ে অনেকদূরে চলে যাচ্ছে।
যাওয়ার সময় আমাকে জড়িয়ে ধরে ও খুব কাঁদলো।
বললো- "মেলার সময় ঠিকঠাক চলে আসবো দেখিস। তারপর একসাথে মেলায় যাবো। ঠিক আছে?"
আমি চোখ মুছতে মুছতে বললাম-"আচ্ছা।"
বুবু কথা রাখে নি। পরের বছর আসতে পারলো না সে। চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিলো, শ্বশুরের অসুখ না জানি কি। আমারও একা একা মেলায় যেতে ইচ্ছা করলো না, যাওয়াও হলো না।
তারপর অনেক বছর কেটে গেছে। বুবুর জন্য প্রতিরাতেই আমি ফানুস উড়াই। এই ফানুস কখনো নেভে না। তবে ওরা বুবু পর্যন্ত পৌছায় না, বুবুও দেখতে পারে না, এই যা।
প্রতি রাতে দশটা এগারোটার দিকে এই রাস্তাটা ধরে আমি বাড়ি ফিরি। বাড়ি মানে যেখানে থাকি, সেখানে। আমার বাড়িতে তো আমি কতোদিনই যাই না। এখানের প্রশস্ত রাস্তা, রাতের বেলা আমার হাঁটতে ভালো লাগে। সকাল বেলা যখন যাই, তখন অন্য সব রাস্তার সাথে এই রাস্তার কোনো তফাৎ খুঁজে পাই না। তবে ফেরার সময় হাঁটার মাঝে আমি একটা ছন্দ ফিরে পাই। রাস্তাটাকে তখন অনেক আপন মনে হয়। খুব সম্ভবত রাস্তার নিঃসঙ্গতা আমাকে আপন ভাবতে শেখায়। মাঝে মাঝে অবাক হয়ে ভাবি- এই তো, বেঁচে আছি। তবে ফিরে যেতে হলে আমাকে হাঁটতে হবে আরও অনেক পথ। আরেকটু সামনে এগিয়ে ডানে মোড় নিলেই পাকা রাস্তা শেষ। তারপর ধু ধু পথ। পাশে মাথা তুলে দাড়িয়ে থাকে কিছু ইট পাথরের দেয়াল, সদ্য ঢালাই হয়েছে এমন ন্যাড়া বিল্ডিং এর অবয়ব, আর দেয়ালের ফাঁক দিয়ে উকি দেওয়া অর্ধেক চাঁদ। রাস্তা জুড়ে ইটের সুরকি বিছানো। কাজ চলছে, উন্নয়নের কাজ। অচেনা এই নগরের মধ্যে আর কয়দিন পরেই উকি দেবে আরেক নগর। আর কয়দিন পরে এইখান থেকেও চলবে গাড়ি-ঘোড়া, ন্যাড়া হয়ে দাঁড়ানো বিল্ডিংগুলোকে অচিরেই অট্টালিকা হিসেবে নতুনভাবে বদলে যাবে। শুধু বদলে যাবে না এই রাস্তা ধরে আমার ফিরে আসা, আবারো রাতের পর রাত, চাকরি খুঁজে- ক্লান্ত হয়ে। মা অসুস্থ, বদলে যাবে না বাবার চিঠি, ভেতরের অক্ষর বা শব্দগুলি- টাকা পাঠানোর লজ্জাভরা আকুতি। একটুও বদলাবে না রাতে আসার পথে ফানুস হয়ে উড়ে যাওয়া দীর্ঘশ্বাসগুলি, ওগুলোকে আমি বহুকাল ধরেই চিনি।
এভাবে হাঁটতে হাঁটতে কখন দেখি, পৌঁছে গেছি পুরনো গেটটার সামনে। চেষ্টা করি কোন শব্দ না করার। পরের বাড়িতে আশ্রিত থেকে শব্দ করা যায় না। তারপরেও প্রতিদিন খুলতে গেলেই ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দ হয়। গেট খুলে নিচু হয়ে ঢুকি।
প্রতিরাতে যখন ফিরে আসি, তখন শুধু বারান্দার বাতিটা জ্বলে। মনে হয় সারা বাড়িটা ঘুমিয়ে গেছে। রুনুর বাবার হাই প্রেশার, উনি তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়েন। বাড়িতে কোনো কাজের লোক নেই। খালাম্মা সারারাত ভেতরে নামাজের ঘরে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েন। আর রুনু?
রুনুর কথা জানি না। তবে গেট খোলার সময় মাঝে মাঝে টের পাই দোতলার জানালার পর্দা ফাঁক করে কে যেন দেখে নেয় একবার। দোতলার দিকে না তাকালেও বুঝি সেই দৃষ্টির তীব্রতা। কখনো তাকাই না। সাহস হয় না।
গেট থেকে ঢুঁকেই হাতের বা দিকে আমার রুম। বারান্দা লাগোয়া। আস্তে করে দরজা টেনে ভেতরে ঢুকি। তারপর ধীরে সুস্থে কাপড় বদলে চেয়ারের উপরের তোয়ালেটা নিয়ে চলে যাই কল তলায়।
আমাদের বাড়িতেও এমন একটা কল তলা আছে। জাম গাছটার নিচে। জাম গাছটা নাকি নেই। এবছর ঝড়ে পড়ে গেছে। আমাদের খুব প্রিয় ছিলো। অনেক রাতে বাবা বাইরে থেকে এলে আমরা জামগাছটার নিচে দাড়িয়ে কল চেপে দিতাম। আমি আর বুবু।
বুবুটার অনেকদিন ধরে কোনো খোঁজ খবর নেই। সেই কতোদিন আগে চিঠি পেয়েছি, তাতে কতো জিজ্ঞাসা। কেমন আছি, কি করি, মা কেমন আছে, বাবার দিকে খেয়াল রাখি কি না, এইসব। নিজের কথা কিছুই লিখে নি।
আমারও তো জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছা হয়- বুবু, তুই কেমন আছিস? টোপন আর রত্না, ওরা কেমন আছে? কেন তোদের কথা লিখলি না? চিঠিতে তোদের কথা লেখার জায়গা ছিলো না? কিছু না লিখলেও আমি তো বুঝি। তোর চিঠিটা নোনা। ওখানে টপ টপ করে পড়া কয়েক ফোঁটা তোর চোখের জল পড়ে শুকিয়ে গিয়েছে। আমি তোর চোখের জল খুব ভালো করে চিনি। তুই কিভাবে আমার কাছ থেকে তোর কান্না লুকাবি? কোনোদিন পেরেছিলি?
হাত পা ধুয়ে রুমে চলে আসি। ছোট টেবিলে বহু আগেই ভাত বেড়ে রেখে যায় খালাম্মা। ন'টা দশটার দিকে। প্লেট দিয়ে ঢেকে রাখা। পাশে কমদামী একটা কাঁচের জগ। তাতে স্বচ্ছ পানি। কাঁচের রং পানির মতো, না না , পানির রঙই আসলে কাঁচের মতো। নাকি? আসলে কি? প্রতি রাতেই চিন্তা করি।
খেতে বসে দেখি, ভাত ঠাণ্ডা হয়ে গেছে। অবশ্য ঠাণ্ডা তো হবেই, কতো দেরি করে আসি আমি। আমার জন্য কেউ কি বসে থাকবে নাকি এতো রাত অবধি? শুধু মা বসে থাকতো। আমার মনে আছে, একবার খুব গণ্ডগোলের সময় রাত সাড়ে তিনটায় ঢাকা থেকে বাড়ি যেয়ে হাজির হয়েছিলাম। মা জানতো না আমি আসবো। সে রাতে কি যে খুশি হলো মা! খাওয়ার সময় পাশে বসে ছিলো। গরম ভাতের কথা মনে হলেই আমার ওই রাতের কথা মনে পড়ে। গরম গরম ভাত, আর সাথে ডিমের সালুন। এখনো মুখে লেগে আছে।
এসব ভাবতে ভাবতেই আমার রাতের খাওয়া শেষ হয়। তারপর হাত ধুয়ে উঠে এসে বিছানায় শুয়ে পড়ি। সারাক্ষন এপাশ-ওপাশ। ঘুম আর আসে না। আগেও আসতো না, তবে ইদানিং আরও অনেক দেরি হয়।
ঘুম না আসলেই আমি আমার ট্রাঙ্কটা থেকে লেখার খাতাটা বের করে নিয়ে বসি।
খাতা ট্রাঙ্কে তালা দিয়ে রাখতে হয়। কখন কে দেখে ফেলে, কে জানে। রুনুর এই খাতাটার উপর অনেক আগ্রহ। পড়তে বসে আমাকে সেদিনও বলেছে-
আপনার খাতাটা আমাকে পড়তে দেবেন?
রুনুর জানার কথা না। আমি অবাক হয়ে বললাম- কোন খাতা?
রুনু বললো- যে খাতায় আপনি রাতে বসে বসে লিখেন।
তুমি কিভাবে জানো?
আমি জানি। দেবেন?
আমি স্পষ্ট করে বললাম- না।
কেন দেবেন না? আমাকে নিয়ে অনেক কিছু লিখেছেন, তাই?
আমি বিব্রত হয়ে বললাম-তা কেন হবে?
রুনু মাঝে মাঝে এভাবেই আমাকে চরম অপ্রস্তুত করে। তারপর খিলখিল করে হাসে।
আমি বলি- পড়ো।
রঞ্জু ভাই।
হু।
চলেন পালিয়ে যাই।
আমি হতভম্ব হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে থাকি। বলে কি এই মেয়ে?
সে অনেকক্ষণ একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকে। আমি ততোক্ষণে হয়তো চোখ নামিয়ে নিয়েছি। তারপর বলে-
রঞ্জু ভাই, আপনি এতো ভীতু কেন? সামান্য একটা টিউশনিই তো। সাথে একটু মাথা গোঁজার ঠাই। আমার জন্য এতোটুকুও ছাড়তে পারবেন না? আমি রাস্তায় নামতে পারলে আপনি পারবেন না? রঞ্জু ভাই, আমাকে কি একটু ভালবাসা যায় না?
আমার চোয়াল শক্ত হয়ে যায়। কঠিন মুখ করে বলি- এসব কথার মানে কি? আমাকে এসব কথা বলবে না। কালকেই টিউশনি ছেড়ে দেবো।
রুনু বই গোছাতে গোছাতে বলে-আপনি এই টিউশনি ছাড়তে পারবেন না। ছাড়লে আগেই ছাড়তেন। লজিং থাকেন, চাইলেই কি আর সব কিছু পারেন?
রুনুর গলায় শ্লেষ্মা। আমার বুকে এসে বিঁধে। আমার চিৎকার করে কিছু বলতে ইচ্ছা হয়। কখনো বলা হয় না।
আমি পারলে এই টিউশনিটা ছেড়ে দিতাম। ছেড়ে দেওয়া হয় না। টিউশনি বাবদ মাসে তিন হাজার টাকা পাই। এই দুর্মূল্যের বাজারে মাথা গুঁজে থাকতেও অনেক কষ্ট। তাই লজিং থাকা। তাতে কিছুটা খরচ বাঁচে। কাল থেকে সিগারেটও ছেড়ে দেবো। টাকাগুলো আমার বাড়িতে পাঠাতে হয়। মা অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। বাবার বয়স হয়ে গেছে। কতো দিন যাচ্ছি- যাবো করে বাড়ি যাওয়া হয় না। এবার নিশ্চয়ই যাবো। তারপর একবার বুবুকে দেখতে যাবো। বুবুকে যে কতো দিন দেখি না। বুবুকে দেখতে যাওয়ার সময় টোপন আর রত্নার জন্য কিছু কিনে নিতে হবে। অবশ্যই নেবো।
এই বড় পৃথিবীতে আমি কি খুব বেশি কিছু চেয়েছিলাম? একজন ভাই কি চায়? চায় দুলাভাই তার বোনটাকে ভালো রাখুক। একজন ভাই শুধু বোনের মুখে হাসি দেখতে চায়, তাকে সুখে দেখতে চায়। আর কিছু চায় না। আমার বোনের সেই সুখ আমার দেখা হয় নি। আমি দেখতে চাইনি আমার বাবার কষ্ট, আমি চাই নি আমার মা অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে থাকুক। আমার সমস্ত স্মৃতিতে থেমে আছে মায়ের হাসিখুশি মাখা সেই পুরনো মুখটা। ঘুমের মাঝেও মাঝে মাঝেই ভেসে আসে সে মুখ। আমার তখন ঘুম ভেঙ্গে যায়। চেয়ে দেখি, সমস্ত ঘরটা অন্ধকার। আশাপাশে মা নেই। তারপর বালিশটা বুকে দিয়ে শুয়ে থাকি চুপচাপ। আমার আর ঘুম আসে না।
আমি নিজের জন্য তো মুখ ফুটে কিছুই চাই নি কখনো। শুধু লিখে গেছি পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা। খাতাটা ভরে গেছে প্রিয় মানুষগুলোর কথায়। আমি শুধু লিখি, কারণ এই কথাগুলো কাউকে বলা যায় না। খাতার প্রায় অর্ধেকটা রুনুকে নিয়ে লেখা। কেউ জানে না। রুনুর কথা মনে হলেই আমার একটা নীল,গভীর সমুদ্রের কথা মনে হয়। মনে হয় ওর মাঝে যদি হারিয়ে যেতে পারতাম!
খাতাটাকে তাই আমার অনেক সযত্নে আগলে রাখতে হয়। কারো হাতে পড়লে সমস্যা। টিউশনিটা চলে যেতে পারে। টিউশনিটা চলে গেলে বিপদে পড়ে যাবো। তারচেয়ে বরং খাতাটাকে পুড়িয়ে ফেলি। চাওয়া পাওয়ার হিসাব আরও সংক্ষিপ্ত হোক। আমার লাগবে না কষ্ট ভুলে থাকার জন্য প্রতিদিন সিগারেট। লাগবে না অনেক দেরি করে রাতে ফিরে এসে গরম ভাত, অথবা মাথা গোঁজার জন্য নিজের মতো করে একটা জায়গা। রুনুর মুখের দিকে তাকিয়ে যে দু দণ্ড শান্তি পাই আমি, সেই শান্তির পিছে পিছে ছোটার আমার দরকার নেই। আমি শুধু আবার মা’কে হেঁটে বেড়াতে দেখতে চাই, বাবার স্নেহ মাখা মুখটা দেখতে চাই। আমি বুবুর মুখের সেই পুরনো হাসিটা একবার দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছি। এছাড়া আমার আর কিছু লাগবে না। আমি আর কিছুই চাই না। কিচ্ছু না।