গোবর্ধন তাহার ব্যবসায়ী পিতার একমাত্র পুত্র।
গোবর্ধনদের বাড়িতে কোন কিছুরই অভাব ছিল না। গোবর্ধনের পিতার সহায় সম্পত্তি নেহায়েত কম নয়। কিন্তু কোন এক অদ্ভুত কারনে গোবর্ধনের সকল আকর্ষণ কেন্দ্রীভূত ছিল অন্যের জিনিসের উপর। পাড়া পড়শিদের গাছের আম, পেয়ারা, কাঁঠাল গোবর্ধনের কাছে অমৃতভোগ্য বস্তুর চাইতেও বেশি কিছু হইয়া উঠিত। এই অমৃত এর স্বাদ যে সে একাই ভোগ করিত তা নহে, বরং তাহার বন্ধু বান্ধবদের মাঝে ছড়াইয়া দিতে সে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠাবোধ করিত না। ফলে বেশ অল্প সময়ের মধ্যেই তাহার নাম হইয়া উঠিল "বান্দরদের হাতেমতাই"। প্রতিদিন বেলা ১২ ঘটিকায় দলবলসহ পুকুরে স্নান করা তার চাই ই চাই, কিন্তু অবশ্যই তা নিজেদের বাড়ির পুকুরে নয়, ঘোষদের পুকুরে। তাহার পিতা মাতাও ক্রমশ তাহাদের পুত্রের এই “অন্যের যে কোন জিনিসকে আপন করিয়া নেওয়ার ক্ষমতা” খানা লইয়া চিন্তাগ্রস্ত হইয়া পড়িলেন। তাহাদের মনে শঙ্কা জাগিল- এই ছেলে না পরে অন্যের বৌ ধরিয়াও টান মারে!!
তাহার এইসব গুনে অতিষ্ঠ হইয়া পুরো মহল্লার লোক গোবর্ধনের পিতার কাছে নালিশ দিলো। পিতার তো আর পুত্রকে নতুন করিয়া চিনিবার দরকার নাই, কথা না বাড়াইয়া তিনি গোবর্ধনকে তিন দিন ঘরের ভেতর আটকাইয়া রাখিলেন। তিন দিন পরে জানালার শিক ভাঙিয়া গোবর্ধন পালাইয়া গেল, এবং সেইদিনই সে ঘোষণা দিয়া বসিল, সে আর এই গাও গ্রামে থাকিবে না। সে রাজধানী যাইবে, সেইখানেই পড়াশুনা!!! করিবে।
গোবর্ধনের পিতা গোবর্ধনকে কোনভাবেই হাতছাড়া করিতে চাইতেন না যদি না গোবর্ধন হরলাল বাবুর বাড়ির নারিকেল গাছ থেকে নারিকেল পাড়িয়া হরলাল বাবুরই টেকো মাথার উপর তাহা না ফাটাইতে উদ্যত হইত। গোবর্ধন গ্রামে থাকিলে আর কদিন পর যে লোকে তাহার মাথায় ইট ভাঙিবে তাহা তিনি বেশ বুঝিতে পারিয়াছিলেন। তিনি মনে মনে বেশ ফন্দি আঁটিলেন। তিনি গম্ভীর হইয়া বলিলেন- তোমাকে কোন অবস্থাতেই রাজধানীতে পাঠানো যাইবে না যদি না তুমি তোমার সকল বাঁদরামি বন্ধ করিবার জন্য শপথ না কর।
গোবর্ধনের চক্ষে তখন রাজধানীর রঙিন স্বপ্ন। শপথ করিলেই বা কি আর না করিলেই বা কি? তার পিতা তো তাকে আর ধরিতে পারিবে না। ইচ্ছামতো ঘুরাঘুরি করিতে পারিবে ওখানে। একথা ভাবিতেই তাহার বত্রিশ খানা দাত বাহির হইয়া গেলো। অট্টহাসি হাসিয়া গোবর্ধন তাহার পিতার শর্ত মানিয়া লইলো। পিতাও মুচকি, মুচকি হাসিলেন খুব। রাজধানীতে তো তাহার লম্ফ জম্ফ করিবার মতো গাছ ও নাই, সারাবেলা ডুবানোর জন্য পুকুর ও নাই। গোবর্ধন বাঁদরামিটা করিবে কোথায়? একথা খুব ভাবিয়া টাবিয়া তিনি তাহার গুনধর পুত্রকে শহরের সবচেয়ে কড়া কলেজটাতে ভর্তি করাইয়া দিলেন। গোবর্ধন বাদর হইলেও পড়ালেখায় ভালোই ছিল, সুতরাং ভর্তি হইতে অসুবিধা হইলো না।
ঢাকায় আসিয়া গোবর্ধন কলেজের চাপ আর সহপাঠীদের জ্ঞান দর্শন করিয়া একেবারে ভ্যাবাচ্যাকা খাইয়া গেলো। যদিও তাহাতে সে বিন্দুমাত্র দমিল না, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সে ঠিক তাহার ন্যায় তাহার কিছু বন্ধুবান্ধব ও জুটাইয়া ফেলিল। গোবর্ধন ঢাকায় আসিয়া অবশ্য বেশ হইয়াছে, মানুষকে জ্বালাইবার জন্য তাহার প্রতিভার প্রমান পাইয়াছি। অল্প কিছুদিনের মাঝেই গোবর্ধনের সাথে আমার বেশ ভাব জমিয়া গেলো। মাঝে মাঝে তাহার হোস্টেলে যাই, তখন বেশ মজা হয়।
একদিন কলেজ এর ল্যাব ক্লাস শেষ করিয়া গোবর্ধনের হোস্টেলে গিয়াছি, তখন সন্ধ্যা হইয়া গিয়াছে। কলিংবেল বাজিতেই গোবর্ধন দরজা খুলিয়া দিলো। আমাকে দেখিয়া সে যে খুব প্রীত হইয়াছে টা বেশ বুঝিতে পারিলাম। এক গাল হাসিয়া বলিল-
ভালো সময়েই আসিয়াছিস তো! চল, সবাই আজ হাক্কুল্লাহ খাইতে যাইব।
"হাক্কুল্লাহ আবার কি?" আমি এই শব্দটা তখন প্রথম শুনিলাম।
গেলেই দেখিতে পাবি। তোর পোশাক তো ভালোই আছে, সমস্যা নাই। যা রুমে যেয়ে বস। আর এক ঘণ্টার মাঝেই বের হইবো আমরা সবাই।
রুমে যাইয়া দেখি হোস্টেলের সমস্ত ছেলেপুলে অদৃশ্য কোন এক উৎসবে মাতিয়া উঠিয়াছে। কেউ কেউ জুতায় কালি করিতেছে, কেউ সেভ করিতেছে, আবার কেউ কেউ শার্ট প্যান্ট ইস্ত্রি করিতেছে। রুমে ঢুকিয়াই জগাই কে ডাকিয়া কইলাম-
অ্যাই, কাহিনী কি রে?
আরে গোবর্ধন বলিয়াছে ও আজ আমাদের সবাইকে হাক্কুল্লাহ খাওয়াইবে।
"হাক্কুল্লাহ কি?" আমি জগাই কে জিজ্ঞাসা করিলাম।
ও, তুই হাক্কুল্লাহ মানে জানিস না? বলিয়া জগাই ঘর ফাটিয়া হাসিতে লাগিল।
অনেকক্ষণ পর হাসি থামিলে জগাই আমার কানের কাছে মুখ আনিয়া কহিল- বিনা দাওয়াতে যাইয়া কোন বিবাহের ভোজ কাজে অংশগ্রহন করাই হইলো হাক্কুল্লাহ। আজ রাত্তিরে আমরা সকলে হাক্কুল্লাহ তে অংশগ্রহন করিব।
বা রে!!! ধরা পড়িলে কি হইবে রে?আমি একটু আতংকিত হইলাম!
জগাই বিরক্ত মুখে আমাকে কহিল-তোমার হাক্কুল্লাহ খাইতে যাওয়ার দরকার নাই। তুমি তোমার মুরগী এর মতো কলিজা নিয়া বসিয়া থাকো। গোবর্ধন এতদিন একা একা অনেক হাক্কুল্লাহ খাইয়াছে। আজ আমরাও সবাই যাইব। তুমি বসিয়া বসিয়া হোস্টেল পাহারা দাও, সাথে মুখে একটা চুশনী লাগাইয়া নিও। তাহাতেই তোমার পেট ভরিয়া যাইবে।
এরূপ অপমানের পর আর পিছপা হওয়া চলে না। আর বিয়ে বাড়ির খানাপিনার কথা ভাবিলে কার না জিভে জল আসে? কিছুক্ষনের মধ্যেই পেটে রাক্ষসের খিদে আসিয়া হাজির হইলো যেন। পেটের মধ্যে অবিরাম ১০-১২ টা ছুঁচো ডন মারিতে আরম্ভ করিল।
হোস্টেলের সবাই আজ খুব করিয়া সাজিয়াছে। সবাই তাদের সবচেয়ে ভালো পোশাকটি পড়িয়া একেবারে ফিট বাবু হইয়াছে। তবে একমাত্র গোবর্ধনই সাজ দিয়াছে কিম্ভুত কিমাকার। গোবর্ধন এমনিতেই কালো, তাহার উপর শার্ট ও পরিয়াছে একটা কালো। ফলাফল হিসেবে তাহাকে কেলো ভুতের মতো দেখাইতে লাগিল। যদিও তাহাতে তাহার কোন বিকার নাই। নিজের দিকে সে খেয়াল না করিয়া মাতব্বরের মতো এঘর থেকে ওঘর ছুটিয়া বেড়াইতে লাগিল আর একে ওকে ধমকা ধামকি করিতে লাগিল, এটা পরেছিস ক্যান? তো ওটা পরিস নি ক্যান? তোদের দিয়ে কোন কাজ করানো যায়না, ইত্যাদি ইত্যাদি। আশ্চর্যের ব্যাপার হইলো যে কোন কাজ ভণ্ডুল করিবার ক্ষেত্রে গোবর্ধনের জুড়ি মেলা ভার। গোবর্ধন তাহা কিছুতেই বিশ্বাস করে না, উল্টা যে বলে তাহার সাথে তর্ক জুড়িয়া দেয়। আজ অন্য সকল ছেলেপুলে গোবর্ধনের মাতব্বরি কোনোমতে দাতে দাত চাপিয়া হজম করিয়া গেলো। হাজার হলেও গোবর্ধন ই সবাইকে হাক্কুল্লাহ খাওয়াইতে নিয়া যাইতেছে, তাহাকে কি আর কিছু বলা চলে?
রাস্তায় নামিয়াই গোবর্ধন আমাদিগকে বলিল- আমরা যেন কমিউনিটি সেন্টারে যাওয়া মাত্র সবাই আলাদা আলাদা টেবিলে বসি। কেন এক সাথে বসা সমীচীন হইবে না একথা জিজ্ঞাসা করা মাত্র কানাই একখানা রাম চাটি খাইল। ১৫ জন বালক ১৫ খানা টেবিলে বসার সুবিধা হইলো, সহজে পুরো বাহিনী খানা কে ধরিতে পারিবে না কেউ। আমরা মনে মনে গোবর্ধনের বুদ্ধির তারিফ না করিয়া পারিলাম না।
কমিউনিটি সেন্টার খুব হোস্টেল থেকে খুব বেশি একটা দূরে নয়, এবং ঠিক এ কারনেই গোবর্ধন দিনে দিনে একটা ফুটবলের ন্যায় আকার নিয়াছে সেকথা আমরা বেশ বুঝিলাম। সে যাই হোক , আজকে সফল হইলে প্রতি সপ্তাহে অন্তত আমরাও একবার আসিতে পারিব বলিয়া আশা রাখি। দুরু দুরু বুকে একজন দুইজন করিয়া গেট দিয়া ভিতরে ঢুকিয়া পড়িলাম, কেউ কিছু কহিল না। সাজ নিশ্চয়ই খুব ভালো হইয়াছে, টেবিলের কাছে আসিতেই ওয়েটার দেখি চেয়ার আগাইয়া দিলো।
আমি টেবিলে বসিয়া বাকি সবাইকে লক্ষ্য করিতে লাগিলাম। পরিকল্পনা অনুযায়ী দলের সকলেই আলাদা আলাদা টেবিলে বসিয়া পড়িয়াছে। সবার অভিনয়ই নিখুত, এক দিনের মাঝেই সবাই বড় মাপের পাকা অভিনেতা হইয়া উঠিয়াছে। পুরো রুম এক নজর দেখিয়াই বুঝিয়া গেলাম, অতি সম্ভ্রান্ত কোন লোকের ছেলের বা মেয়ের বিবাহ। তাহাতে লোক ও সমাগম হইয়াছে প্রচুর।
আমি সামনের দিকে তাকাইলাম। আমার সামনে বসা লোকটি বিকট এক দৃষ্টি নিয়া আমার দিকে তাকাইয়া আছে। ধরা পড়িয়া গেলাম নাকি!! বুকটা লম্ফ দিয়া উঠিল কয়েকবার। আমি তখন মুখে এমন একটা ভাব আনিলাম যে আমি পৃথিবীর উপর অত্যন্ত বিরক্ত। পৃথিবী নামক বস্তুটিকে ছাড়িয়া যাইতে পারিলে বাঁচিয়া যাই। লোকটি আমার বিরক্তি দেখিয়াই বোধহয় বিরক্তিতে আমার উপর থেকে চোখ সরাইয়া নিলো। আহ , বাঁচিলাম। নিজের অভিনয় প্রতিভায় নিজেই মুগ্ধ না হইয়া থাকিতে পারিলাম না।
কিন্তু অভিনয় দিয়া তো ক্ষুধা নিবারন করা যায়না। পেটের মধ্যে থেকে ভুটভাট ডাকাডাকি শুরু হইয়া গিয়াছে। সালাত আগেই দেওয়া হইয়া গিয়াছিল, রোস্টের বাটিও চলিয়া আসিল। মুরগীর বিশাল বিশাল পা গুলি যেন ঝোলের সাগরে ডুব সাতার কাটিতেছে। রোস্টের গন্ধে চারিদিক ম ম করিতেছে। আমার জিহ্বা টা লকলক করিয়া উঠিল। সুরুত করিয়া জিভের জল টানিলাম। এখন পোলাউ এর ডিশখানা আসিলেই হয়।
আমরা সবাই খাবারের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করিতেছি, আর সেই ফাকে গোবর্ধনের মাথায় বৌ দেখিবার চিন্তা শিং এর মতো গজাইয়া উঠিল। গোবর্ধনের পাশের টেবিলেই ছিল জগাই, গোবর্ধন জগাই কে তৎক্ষণাৎ বলিল-
চল তো, বৌ খানা দেখিয়া আসি।
জগাই দেখিলাম এক বাক্যেই দাত বার করিয়া সম্মতি দিয়া দিলো!!!
আমরা দূর হইতে প্রবলভাবে মাহা নাড়িয়া গোবর্ধন ও জগাইকে নিরস্ত করিবার চেষ্টা করিতে লাগলাম , কিন্তু তাহাতে তাহাদের কোন ভাবান্তর হইলো না।
বৌ এর পিড়ির কাছে যাইয়াই গোবর্ধন বলিয়া উঠিল-
মামা, মাল খানা তো জব্বর!!!
জগাই ও মাথা নাড়িয়া সম্মতি দিলো যে মাল খানা আসলেই জব্বর!!
এরই মাঝে, কখন, তাহারা জানে না, তাহাদের পিছনে আসিয়া বৌ এর ভাই দাঁড়াইয়াছে। গোবর্ধনের কাধে হাত রাখিয়া ভাই কহিলেন-
মাপ করিবেন।আপনাদের তো ঠিক চিনিতে পারিতেছি না। আপনারা কোন পক্ষের লোক? ছেলে পক্ষের? নাকি মেয়ে পক্ষের?
প্রশ্ন শুনিয়া গোবর্ধন যেন আকাশ হইতে পড়িল। জগাই ইতিমধ্যেই একটা চেয়ারে বসিয়া পড়িয়া বাইরের দিকে উদাস নয়নে তাকাইয়াছে, যেন সে এই দুনিয়ার কোন ব্যাক্তিকেই চিনে না। গোবর্ধন একবার জগাই এর দিকে তাকিয়া ঢোক গিলিয়া আবার বৌ এর ভাই এর দিকে তাকাইল।
গোবর্ধন ভাইকে শুধাইল-
আপনি কি আমাকে জিজ্ঞাসা করিতেছেন?
আজ্ঞে হ্যা।
আমাকে?? গোবর্ধন যেন নিজের কান কে বিশ্বাস করিতে পারিতেছে না!! আমাকে??আপনি আমাকে এটা জিজ্ঞাসা করিতে পারিলেন?
ভাই অবাক হইয়া বলিল- হ্যা, আপনাকেই জিজ্ঞাসা করিতেছি, এতো অবাক হইবার কি আছে?
একথা শেষ করিবার আগেই দেখা গেলো ভাই এর সম্মুখে গোবর্ধনের কোন চিহ্নই নাই!! ভাই শুধু একখানা ঝড়ের মতো বাতাস অনুভব করিতে পারিলেন তবে বিয়ে বাড়ির ভোজ সভায় উপস্থিত অনেকেই দেখিল কালো মতন কিছু একটা সমস্ত টেবিলকে কাটাইয়া বারান্দায় আসিয়া পড়িল, বারান্দা হইতে বিশাল এক লম্ফ দিয়া মেইন রোড এ পরিবা মাত্রই অদৃশ্য হইয়া গেলো।
অবস্থা দেখিয়া জগাই ও মনমরা ভাবে হাঁটিয়া হাঁটিয়া বারান্দার কাছে পৌছুলো এবং তাহারপরেই সেও তাহার গতির খেল দেখাইলো। চোখের পলকে সেও অদৃশ্য হইয়া গেলো।
এর সাথে সাথেই কন্যার ঘর হইতে কেমন একটা চিল্লাচিল্লির আওয়াজ কানে আসিতে লাগিল সবার। "ধর ধর" নামের কেমন একটা শব্দ কানে আসিয়া বাজিল বোধ হয়। মুহূর্তের মধ্যে বিয়ে বাড়তে উপস্থিত সকল লোক অবাক হইয়া দেখিল, প্রতিটা টেবিল থেকে একটা করিয়া সুদর্শন যুবক উঠিয়া দাঁড়াইতেছে, ও বিভিন্ন ছুতায় ঘুরিয়া ফিরিয়া, পানি ফালাইবার নাম করিয়া, ফোন আসিবার ভঙ্গিতে বারান্দা পর্যন্ত যাইতেছে এবং তারপরেই তারা বাতাসে মিলাইয়া যাইতেছে!!!
সে রাত্রে আমরা মনের দুঃখে গলা জড়াজড়ি করিয়া খুব কাঁদিলাম।হোস্টেলের সে পচা মাছের ঝোল আর মোটা চালের ভাত খাইয়াই কাটাইয়া দিতে হইলো সেই রাত।
হতচ্ছাড়া গোবর!!! কোন কাজ ভণ্ডুল করিতে না পারিলে তাহার শান্তি হয়না। হাক্কুল্লাহ খাওয়ায় মানুষকে!!! (মুখের সম্মুখ থেকে রাজভোগটা হাতছাড়া হইলো বদমাশটার জন্য। ওকে সেই রাত্তিরে ধরিতে পারিলে কাঁচা গু খাওয়াইতাম, কিন্তু সেই ঘটনার রাত্তিরেই সে মামা বাড়ি পালাইয়া নিজের জীবনখানা রক্ষা করিয়াছিল।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২২