মেডিকেলের ভর্তির প্রশ্নপত্র ফাঁস হল। অসংখ্য প্রমাণ ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। তারপরও সরকার তার একগুয়েমিতেই অটল। এটা যদি অন্য কোন পেশা হত, তাহলে এতটা ক্ষতিকর হত না। যে পেশাটায় মানুষের জীবন জড়িত , সেখানে এরকম অযোগ্যদের স্থান দেয়া একটি আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত। আজ যারা প্রশ্নপত্র ফাঁস করে ভর্তি হচ্ছে, তারাই একদিন ডাক্তার হবে। আপনি , আমি সবাইকেই এদের কাছেই যেতে হবে চিকিৎসার জন্য। যেহেতু ক্ষমতাসীনেরা তাদের চিকিৎসা বিদেশে করান, তাদের কথা আলাদা। তাই এর প্রতিবাদের দায়টা শুধু যারা বঞ্চিত হল তাদের নয়, দায়িত্বটা আমাদের সবার।
আমি এই মূহুর্তে সিদ্ধান্ত নিলাম যে ভবিষ্যতে সর্বশক্তি দিয়ে দূর্নীতি করবো। এরকম যদি এবারের কোন মেডিকেল ভর্তি ইচ্ছুক ছাত্র ছাত্রী ভাবে তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বারো বছর যাবত পড়াশুনা করে আসার পর , সবারই ইচ্ছে থেকে ভালো একটি জায়গায় পড়ার। বাংলাদেশের কথা বিবেচনায় ছাত্র ছাত্রীদের কাছে মেডিকেলের স্থান প্রথম। সবাই ভর্তি হতে পারেনা। কিন্তু সবাই চায় পরীক্ষাটা সুষ্ঠু হোক। রাষ্টের কাছে এই চাওয়াটা অণ্যায় কিছু নয়। কিন্তু রাষ্ট্র এবং তথাকথিত সরকার এই চাওয়া পূরণে পুরোপুরি ব্যর্থ।
ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন যেখানে ঢালাওভাবে ফাঁস হলো, সেখানে টিনের চশমা পরা স্বাস্থ্যমন্ত্রী বারবার বলে যাচ্ছেন, পরীক্ষাটা সুষ্ঠু হয়েছে। মোঘল সম্রাটদের হেরেমে পাহারার জন্য খোজা রাখা হত। তারা যাতে হেরেমের গোপণ কথা শুনতে না পারে, সেজন্য এদের কানে গলন্ত সীসা ঢেলে দেয়া হয়। আমাদের মন্ত্রীরাও অনেকটা ঐ খোজাদের মত। মন্ত্রীত্ব দেয়ার আগে ওদের চোখ কান দুটোই বন্ধ করে দেয়া হয়, যাতে জনগণের প্রতিবাদ ওদের চোখ কিংবা কানে না পৌছায়। মাননীয়! মন্ত্রী দয়া করে একটু চোখ কান খোলে মানুষের কথা গুলো শুনেন। নাহলে মনে রাখবেন , এই দিন, দিন নয়, আরো দিন আছে।