শিরোনাম দেখে অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার কিছু নেই। জীবনের কোন একটা সময়ে আগ্নেয়াস্ত্রের মুখোমুখি হতেই পারেন! আর তখন গুলি খাওয়া থেকে বাঁচতে আপনার পদক্ষেপ কি হতে পারে? পিস্তল থেকে বুলেট বেরিয়ে গেলে মূলত আর কিছুই করার থাকে না। তবে যদি আপনার গায়ে না লাগে অথবা মূখ্যে কোন অঙ্গে না লাগে, তাহলে নতুন করে সুযোগ পাওয়া যেতে পারে। তবে পিস্তলধারীকে গুলি করার সুযোগ না দেয়াই ভাল। এর মানে হচ্ছে যা করার আগেই করতে হবে। এবার দেখা যাক এরকম পরিস্থিতিতে কি কি করা যেতে পারেঃ
* বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পিস্তল হাতে কিছু চাহিদা তৈরি হতে পারে পিস্তলধারীর। যেমন ধরুন আপনাকে বললো, আপনার ওয়ালেট এবং মোবাইল ফোন দিয়ে দিতে। তাহলে সাথে সাথে দিয়ে দিন। বেঁচে থাকলে এগুলো আবার কেনা যাবে। পিস্তলধারী হয়তো আপনাকে কান ধরে উঠবস কিংবা হাঁসের মত প্যাক প্যাক করতে বললো। অহংকার বিসর্জন দিয়ে তাই করুন। এতে করে আপনি কিছুটা সময়ও পাবেন আর এর মধ্যে হয়তো বাঁচার একটা সুযোগ এসে যেতে পারে।
* আপনার আশেপাশে যদি কোন কভার থাকে যেটি গুলি ভেদ করতে পারবে না, তাহলে সেদিকে ঝাঁপ দিয়ে পড়তে পারেন। পিস্তলধারী থেকে আড়ালে যেতে পারলে যদি পালানোর সুযোগ থাকে, তাহলে ঝেড়ে দৌড় দিন। আর পালানোর পথ না থাকলে কোন কিছুর আড়ালে লুকিয়ে আক্রমনের চেস্টা করতে পারেন।
* আপনার কভারটি যদি পেছনে থাকে, তাহলে উলটো দিকে ঘুরে দৌড় দেয়া মানে হচ্ছে পিঠে গুলি খাওয়ার আশংকা ৯০ ভাগ। তাই ভুলেও এই কাজটি করবেন না।
* শত্রুকে এতটা উত্তেজিত করে তুলবেন না যে সে আপনাকে গুলি করতে বাধ্য হয়। মাথা ঠান্ডা রেখে তার সাথে কথা বলুন কিংবা সুযোগ থাকলে বোঝানোর চেস্টা করুন।
* পিস্তলধারী যদি আপনার খুব কাছাকাছি যেমন ৪-৫ ফিট এর মধ্যে, তাহলে হঠাত আক্রমন করে পিস্তল ছিনিয়ে নিতে পারেন। এর চাইতে দূরে থাকলে জেমস বন্ড কিংবা মাসুদ রানার মত ঝাঁপ দিয়ে শত্রুর কাছে যাওয়া বোকামিই হবে। দৌড় দিয়ে শত্রুকে ধরতে গেলে সে ভীত হয়ে আপনাকে সাথে সাথে গুলি করে বসতে পারে। আপনি হয়তো তার চোখের আড়ালে ক্রল করে কিছুটা এগুতে পারেন। তবে এটা যদি সে বুঝতে পারে, তাহলে আপনার গুলি খাওয়ার আশংকা আরও বেড়ে যাবে।
* হাতের কাছে কোন কিছু থাকলে আচমকা ছুঁড়ে মারতে পারেন। এতে করে আপনি পালিয়ে যাওয়ার কিংবা পিস্তলধারীকে আক্রমন করার একটি সুযোগ পেলেও পেতে পারেন। তবে ভারী কোন কিছু যেটি তুলতে সময় লাগবে এমন কিছু ব্যবহার না করাই ভাল। কারন এটি তুলতে তুলতে হয়তো একটি বুলেট আপনার হৃদপিন্ড ভেদ করে দিতে পারে।
* একটি চার বছরের বাচ্চার হাতে থাকা পিস্তল একটি ৪০০ পাউন্ডের গরিলার হাতে থাকা পিস্তলের চাইতে দ্বিগুন ভয়ংকর। সুতরাং শত্রুকে যদি শারীরিক ভাবে পরিপক্ক নাও মনে হয়, তাও ব্যাপারটিকে হালকাভাবে নেয়া যাবে না। কারন মূল সমস্যাটি হচ্ছে তার হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র।
* পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে যদি একটি রিভলবার ধরা হয় এবং আপনি যদি বুঝতে পারেন এটি কক করা হয়নি, তাহলে এর সিলিন্ডারটি এমনভাবে চেপে ধরতে পারেন যাতে এটি ঘুরতে না পারে। কারন কক না করা অবস্থায় রিভলভারের ট্রিগার টানলে এর সিলিন্ডারটি কিছুটা ঘুরবে পরের বুলেটটি হ্যামারের নিচে আনার জন্য। তবে কক করা থাকলে এই কাজটি ভুলেও করা যাবে না। হ্যামারটি যদি সিলিন্ডার এর কাছে উপর দিকে থাকে তাহলে বুঝতে হবে এটি কক করা হয়নি।
* আপনি যদি বুঝতে পারেন আপনার শত্রুটি শুটিং এ প্রোফেশনাল নয় এবং তার হাতে একটি হ্যান্ডগান রয়েছে, তাহলে আপনি মোটামুটি নিশ্চিন্তে দৌড় দিতে পারেন। কারন মোটামুটি অভিজ্ঞতা না থাকলে হ্যান্ডগান দিয়ে টার্গেটে গুলি করা একটি কঠিন কাজ। তবে এক্ষেত্রে নিশ্চিত হতে হবে সে আপনার থেকে অন্তত কিছুটা দূরে রয়েছে। দৌড়ানোর ক্ষেত্রে সোজা না গিয়ে আকাবাকা পথ অনুসরন করুন।
* পরিস্থিতি যদি এমন হয় যে, আপনি নিশ্চিত সে আপনাকে গুলি করতে যাচ্ছে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই এবং আপনি পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জেও নেই আবার খুব বেশি দূরেও নেই তখন যে কোন এক দিকে ঝাঁপ দিয়ে পড়ুন। এতে করে দেহের প্রধান অংগগুলোতে গুলি খাওয়ার আশংকা কম হবে। আর যদি কোনভাবে গুলি খেয়েই যান, তাহলে মড়ার মত পড়ে থাকুন যাতে সে কাছে এসে আপনার মাথায় না গুলি করে।
উপরের কাজগুলো করতে গিয়ে আবার সাধারন বুদ্ধি হারিয়ে ফেলবেন না। কারন ওই পরিস্থিতিতে এমন কোন সুযোগ আসতে পারে যেটি হয়তো এখানে লেখা হয়নি। তবে যাই হোক না কেন, উপরের কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে বাঁচতে গিয়ে উলটো গুলি খেলে কিন্তু আমার দোষ নেই
পূর্ব প্রকাশিতঃ বিজ্ঞান প্রযুক্তি ডট কম
আগ্নেয়াস্ত্রের মুখোমুখি হলে যেভাবে গুলি খাওয়া থেকে বাঁচতে পারেন!
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
২২টি মন্তব্য ৯টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।
এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?
সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী
বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন
=বেলা যে যায় চলে=
রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।
সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন