গত ৩রা নভেম্বর বিশ্ব শিশু দিবস বা Universal Children's Day উপলক্ষে জাগো ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে একটি ইভেন্টের আয়োজন করা হয়। শুধু এবারই নয়, গত তিন বছর ধরেই এটা তারা এটা আয়োজন করে আসছে। সামনে কিছু বলার আগে জাগো সম্পর্কে একটু ধারনা দিয়ে দেই। সংক্ষেপে বলা যায় জাগো হচ্ছে পথশিশু/সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য একটা ফ্রী স্কুল যেখানে শুধু ফ্রী শিক্ষা দানই করা হয়না, তাদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ ছাড়াও ফ্রি চিকিৎসা, নিয়মিত খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার ব্যবস্থা, ইউনিফর্ম, ইউনিফর্ম পরিস্কার রাখার জন্য সাবান, সুস্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর খাবার, পেস্ট, ব্রাশ ইত্যাদির ব্যবস্থাও করা হয়। এমনকি জাগোর শিক্ষার্থীদের মা-বাবাদের জন্য কাজের সুযোগও তৈরি করে দেয়া হয়। সে ব্যাপারে বিস্তারিত একটু পরে জানাচ্ছি। তবে তার আগে আবার সেই ইভেন্টের কথায় আসা যাক, এদিন তিন হাজারেরও বেশি সুবিধাবঞ্চিত শিশু যারা পথে পত্রিকা, ফুল ইত্যাদি বিক্রি করে তাদের ওয়ান্ডারল্যান্ড নিয়ে যাওয়া হয়। ফ্রী রাইডসহ তাদের টি শার্ট, সুস্বাদু খাবারের ব্যবস্থা তো করা হয়ই সাথে তাদের আনন্দের জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। নিঃসন্দেহে পুরো দিনটিই তাদের আনন্দে কাটে। আর তাদের জায়গায় দশটি জেলায় পথে নামে সাত হাজার জাগোর ভলান্টিয়ার। তারা সেই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মতই পথে পথে ফুল ও পেপার বিক্রি করে ফান্ড কালেক্ট করে যেই ফান্ড সেই সুবিধাবঞ্চিত শিশু, তাদের পরিবার এবং জাগো স্কুলের কাজেই ব্যবহার করা হবে । সারাবছরই জাগো এমন ইনোভেটিভ কিছু ইভেন্টের মাধ্যমে ফাণ্ড কালেক্ট করে থাকে।
কিন্তু ইভেন্টটা শেষ হতে না হতেই কিছু ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে কিছু মানুষ এমন মহৎ একটা উদ্যোগের বিরুদ্ধেও কথা বলতে শুরু করে। আর হুজুগে বাঙালির মত সঠিক তথ্য না জেনে আমাদর মতই অনেকে এসব পোস্ট শেয়ার করছে। সাধারনত সমালোচনা করা ছাড়া এসব মানুষের কোন কাজ থাকেনা। সঠিক তথ্য জানার কোন ইচ্ছাই তাদের নাই, সমালোচনা করতে পারলেই যেন তারা পরম আনন্দ পান। আর সঠিক তথ্য জানবেনই বা কী করে, ঘরে পিসিতে বসে নেট থেকেই কিছু ছবি কালেক্ট করে এসব ফাকা বুলি উড়ানোর মাঝেই তাদের সীমাবদ্ধতা। যে বা যারা এসব লিখছে তাদের সবাই বাইরে নেমে প্রতক্ষ্যভাবে ভলান্টিয়ারদের কাজ করতে দেখেছে কিনা সেটা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। যাই হোক, এই ব্লগ পোস্টটার জবাব দেয়ার জন্যই আমার এই নোটটা লেখা।
এজন্য প্রথমেই জাগোর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস দিয়ে শুরু করি, আশা করি পুরো ইতিহাস জানার পর একটু হলেও আপনাদের বোধদয় হবে। আমাদের মতই একজন তরুণের ব্যক্তিগত ইচ্ছা থেকেই জাগো ফাউন্ডেশন এর শুরু, সেই তরুণের নাম Korvi Rakshand। একজনের ব্যক্তিগত ইচ্ছা থেকে যে কত বড় কিছু হতে পারে তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ এই জাগোই। মাত্র সাতজন ভলান্টিয়ার ও সতের জন সুবিধাবঞ্চিত শিশু নিয়ে জাগোর পথচলা শুরু। বিভিন্ন দেশী ও বিদেশী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির সহায়তায় রায়েরবাজারে জাগো স্কুলের প্রথম ভবনটা গড়ে তোলা হয়, সেটা রং ও করা হয় এবং একটা পূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হয়। এভাবে সবার সহায়তায় শিক্ষার্থীদের ফ্রী শিক্ষা উপকরণও দেয়া হয়। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে, অনেকেই সহয়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। এমনি করে একজন ব্যক্তি একদিন বেশ ভালো এ্যামাউন্টের টাকা ডোনেট করে। যেহেতু স্কুল ভবনও হয়ে গেছে এবং সব শিক্ষা উপকরণেরও ব্যবস্থাও করা হয়ে গেছে তাই সেই টাকা দিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য ইউনিফর্মের ব্যবস্থা করা হলো। নতুন ইউনিফর্ম পেয়ে সব বাচ্চাসহ জাগো টিমের সবার মুখে হাসি ফুটে ওঠে। কিন্তু সপ্তাহখানেক পড়ই তা অনেকটাই মলিন হয়ে যায় কারন বেশিরভাগ শিক্ষার্থী নোংরা ইউনিফর্ম পরে আসতে শুরু করে। বাচ্চাদের সাথে কথা বলে জানা যায় ওরা দু বেলা ঠিকমত ভাতই খেতে পারেনা, ইউনিফর্ম পরিস্কার রাখার সাবান কোথায় পাবে? এই সমস্যার সমাধানে ভলান্টিয়ারদের সহযোগিতায়ই বাচ্চাদের ইউনিফর্ম পরিস্কার রাখার জন্য সাবানের ব্যবস্থা করা হয়। এরপর থেকে ওদের নিয়মিত সাবান দেয়া হয়।
জাগোর কার্যক্রম ভালোই চলতে থাকে, এভাবে একটা বছর কেটে যায়। কিন্তু নতুন বছর শুরুর পর নতুন সমস্যার সৃষ্টি হয়। গত বছরের চল্লিশ জন শিক্ষার্থী থেকে কমে প্রায় বিশ জনে নেমে আসে অর্থাৎ প্রায় ৫০% শিক্ষার্থী হারিয়ে যায়। ওদের জন্য এতকিছু করার পরও এত কম বাচ্চাদের দেখে স্বাভাবিকভাবেই জাগো টিমের মন খারাপ হয়ে যায়। হারিয়ে যাওয়া বাচ্চাদের অনেককেই আর খুজে পাওয়া যায়নি। জাগো টিম অনুসন্ধান করে জানতে পারে এসব বাচ্চাদের বেশিরভাগ অভিভাবকই বাসায় কাজ করে কিংবা রিক্সা চালায়। কাজ হারালে কাজের সন্ধানে এরা শহরের এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। তখন প্রতিটা এলাকায় জাগোর স্কুল খোলা সম্ভব ছিলনা তাই বাচ্চাদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদের নিয়েও জাগো টিমকে ভাবতে হলো। ভলান্টিয়ার ও ডোনেটরদের সাহায্যেই সেলাই মেশিন কিনে একটা ট্রেনিং সেন্টার চালু করা হয়, সেখানে বাচ্চাদের মায়েদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। শুরু হলো জাগোর আরেকটা নতুন প্রোজেক্ট। সেই ট্রেনিং সেন্টারটাই এখন একটা বড় ফ্যাশন হাউজে পরিণত হয়েছে যার নাম হলো "বাচ্চারা" । যেহেতু বাচ্চাদের জন্য বাচ্চাদের অভিভাবকরাই এখানে কাজ করছে তাই এর নামও দেয়া হয়েছে বাচ্চারা। এখানে তৈরি পোষাক এখন বিদেশেও রপ্তানি করা হয় ! এরপর থেকে বাচ্চারা আরো স্থায়ী হতে থাকলো।
তবুও ছোটখাটো সমস্যা দেখা দেয়। অনেকের অভিভাবক চোখে ভালো দেখতে পারেনা, এজন্য সুই সুতার কাজ করতে তাদের সমস্যা হয়। এবার জাগো টিমকে আবারো ভাবতে হলো। সেই ভাবনা থেকেই জাগো হাতে নিল আরেকটা প্রোজেক্ট। এমনই সব অভিভাবকদের নিয়ে চালু করা হলো একটি মোমবাতির কারখানা। জাগো স্কুলের বাচ্চাদের মা-বাবারাই এখানে কাজ করে। এর ফলে মোটামুটি অনেক বাচ্চাই স্কুলে স্থায়ী হতে শুরু করে, এভাবেই দিন কাটতে থাকে।
কিন্তু তারপরও অনেকে অনিয়মিত হতে থাকে। বাচ্চাদের অনেকেই প্রায়ই অসুস্থ্য হয়ে পড়তো এজন্য স্কুলে আসতে পারতোনা। ওষুধ কেনা তো দূরের কথা ওদের ডাক্তার দেখানোরও সামর্থ্য নেই। এবার এই সমস্যার সমাধানে শুরু হয় "জাগো ফার্স্ট এইড সেন্টার" । এখানে নিয়মিত একজন ডাক্তার বসেন যিনি জাগোর সকল শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। তাছাড়া গরিবদের জন্য এখানে সকল প্রকার ওষুধ এখানে ৭% ডিসকাউন্টে বিক্রি করা হয়। পরবর্তিতে এলাকাবাসীর অনুরোধে জাগো ফার্স্ট এইড সেন্টার সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এখন শুধু জাগোর শিক্ষার্থীই নয়, এলাকার যেকোন গরিব/নিম্নবিত্ত পরিবার রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে জাগো ফার্স্ট এইড এর সব ধরনের সুবিধা ভোগ করতে পারে। তাছাড়া বাচ্চাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করত এখন সপ্তাহে একদিন ওদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হয় এবং পেস্ট ও ব্রাশও বিতরণ করা হয়।
এরপর শুরু হয় জাগোর ইনোভেটিভ কার্যক্রম শুরু হয়। শুধু জাগো স্কুলের বাচ্চাদের কেন, সব পথশিশুদের জন্য একদিনের জন্য হলেও যদি কিছু করা যেত তাহলে কেমন হয় ? সেই ভাবনা থেকেই শুরু হয় জাগোর বিশ্ব শিশু দিবসের কার্যক্রম। UN সমর্থিত Universal Children's Day বা বিশ্ব শিশু দিবসের দিনটিতে রাস্তায় কাজ করে খেটে খাওয়া সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের ছুটি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জাগো। বিভিন্ন এলাকায় পথশিশুদের এই ব্যাপারে জানানোর পরই ওদের মুখে হাসি ফুটে ওঠে কিন্তু একটু পরেই আবার ওদের মন খারাপ হয়ে যায়। কারন ওরা ছুটিতে গেলে ওদের কাজ কারা করবে কারা এবং পরবর্তি দিন ওরা কী দিয়ে খাবে সেই চিন্তা ওদের পেয়ে বসে। খোজ নিয়ে জানা যায় প্রতিটা এলাকাতেই একজন মহাজন বা Godfather থাকে, তার Under এই এসব পথশিশু কাজ করে ঠিক Slumdog Millionaire এর মত। এখন ওদের নেয়ার জন্য সেইসব মহাজনদের ম্যানেজ করতে হলো, তাদের সাথে আলোচনায় বসতে হলো, আলোচনার পর এসব মহাজনদের টাকাও দেয়া হলো এবং সেসব পথশিশুদের দুশ্চিন্তামুক্ত করতে সিদ্ধান্ত নেয়া হলো ওদের বদলে জাগোর ভলান্টিয়াররা সেই দিনটা রাস্তায় নামবে। ওদের মতই রাস্তায় ফুল বিক্রি করবে। যে টাকা আসবে সেই টাকা এসব সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্যই ব্যবহার করা হবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঠিকঠিকই পথশিশুদের একটা দিন ছুটি দেয়া হয়, ওদের ফ্যান্টাসি কিংডমে নিয়ে যাওয়া হয়, আর তাদের পরিবর্তে জাগোর ভলান্টিয়াররা পথে নামে। প্রথমবার ১০০০ জন পথশিশুর বদলে ১০০০ জন ভলান্টিয়ার পথে নামে। দুই বছর সফলভাবে আয়োজন করার পর এবছর ১০ টি জেলার ৩০০০ পথশিশুকে ওয়ান্ডারল্যান্ড নিয়ে যাওয়া হয় আর এই ৩০০০ জন পথশিশুর পরিবর্তে আমরা মাঠে নেমেছি ৭০০০ ভলান্টিয়ার ! ৭ জন ভলান্টিয়ার দিয়ে শুরু হবার পর সেটা এখন ৭০০০ এ গিয়ে দাড়িয়েছে, জাগো কতটা সফল সেটা বোঝানোর জন্য এতটুকুই যথেস্ট। আর এসব ভলান্টিয়ার স্বেচ্ছায়ই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, কেউ আমাদের জোর করেনি। আর শেষবারের মত আবারো বলছি আমরা ভলান্টিয়াররা যে টাকা কালেক্ট করি সেটা এই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্যই ব্যবহার করা হয়।
আর জাগোর আরেকটা প্রজেক্ট আছে। যে কেউ চাইলে জাগোর একজন শিক্ষার্থীকে Sponsor করতে পারে। মাসে মাত্র ১০০০ টাকা দিতে হবে। সেই টাকা দিয়ে ওই বাচ্চাটার এক মাসে যা কিছু লাগে, শিক্ষা উপকরণ, চাল, বই, খাতা, কলম সবকিছু দেয়া হয়। বাচ্চাটি যতটা ক্লাসে উপস্থিত থাকবে প্রতিটা ক্লাসেই জন্যই তাকে আধা কেজি করে চাল দেয়া হয়।তাছাড়া শীতকালে সব বাচ্চাদেরই সোয়েটার ও কম্বল দেয়া হয়।
পথশিশুদের জন্য যারা এত কাজ করছে, এত সব অভিনব আইডিয়া বের করছে, এত কষ্ট করছে, তাদের নিয়ে এখনো কী আপনাদের সন্দেহ হচ্ছে ? এখনো কী আপনাদের মনে হয় জাগো ফাউন্ডেশন শুধু "শো-অফ" করা ছাড়া কিছুইনা ? আপনাদের জেনে রাখা ভাল জাগো ও জাগোর ভলান্টিয়াররা শুধু একটা দিনের জন্যই কাজ করেনা, সারা বছরই করে। আর আরেকটা কথা পরিস্কারভাবে বলে রাখা ভাল পুরো জাগো ও জাগো স্কুলের কার্যক্রমই চলছে আমাদের মত ভলান্টিয়ার এবং ডোনেটরদে সহায়তার মাধ্যমেই। সবার সহযোগিতায় এখন জাগোর তিনটি স্কুল গড়ে তোলা হয়েছে, এমনকি বাচ্চাদের জন্য কম্পিউটার ল্যাবেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতি শনিবার বাচ্চাদের জন্য খেলাধুলারও ব্যবস্থা করা হয়, এজন্য স্কুলে Sports Teacher ও রয়েছে। হয়তো এসব সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝ থেকেই বেরিয়ে আসবে ভবিষ্যতের বিজ্ঞানী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ক্রিকেটার কিংবা ফুটবলার !
এভাবেই চলছে জাগোর পথচলা। তবে সবকিছুরই ভাল খারাপ দুই দিকই আছে কিন্তু সেটা কোন ব্যাপার না। আসল ব্যাপার হলো লোক দেখানোর পরিবর্তে যদি মন থেকে পথ শিশুদের সাহায্যার্থে কেউ পাচটা মিনিটও কাজ করে তাহলেই সেটা ভাল। আর সেখানে তো জাগো সারাবছরই ওদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে ! আর পুরো ইতিহাস জানানোর পরও কী আপনাদের মনে হয় আমরা মন থেকে কাজ করছিনা ? যদি কারো মনে হয় তাহলে আপনি আমাদের এসে শিখিয়ে দিন কীভাবে মন থেকে কাজ করতে হয়। জাগোর ইতিহাস তো জানানো হলো এবার সেই ব্লগ পোস্টের প্রতিটা পয়েন্টের জবাব দিচ্ছি। পোস্টটার লেখক যেভাবে পয়েন্ট করে দিয়েছেন আমিও সেভাবেই দিচ্ছি:
পয়েন্টগুলোর উত্তর দেয়ার আগে জানিয়ে দেই আপনার শিরোনামেই ভুল ! আপনি লিখেছেন "ইংলিশ মিডিয়াম ছেলেমেয়েদের অ্যাডভেনচার", একটু ভালোমত খোজ নিয়ে দেখেন, বাংলা মিডিয়ামে পরা ছেলেমেয়েদের সংখ্যা কোন অংশে কম ছিলনা ! যাই হোক এবার শুরু করা যাক।
১) সেই ব্লগপোস্টের লেখক বলেছেন. "আপনি এদের কখনও যাত্রাবাড়ী, মৌচাক, বাড্ডা, সায়দাবাদের মত খারাপ এরিয়াতে দেখবেন না। এদের সবসময় গুলশান-উত্তরা-বনানী-ধানমন্ডির সিগানালে দেখা যায়।"
জবাব: এই পয়েন্টের জবাব হৃদয় ভাইয়াই দিয়ে দিয়েছে: ফুল বিক্রি অনেকটাই সিম্বলিক অর্থে এটা কেন চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে হবে কে জানে! কেউ কেউ হয়তো ১টা ফুল ৫ টাকায় না কিনে ৫০০ টাকায় কিনবে এর উদ্দেশ্য জেনে। আর এজন্যেই ভলান্টিয়ারদের সংখ্যা গুলশান বনানীতে বেশি। এখন মৌচাকের সামনে দাঁড়ায় থাকলে কে দিবে একটা ফুলের জন্যে ৫০০ টাকা?
আর আপনাদের জানিয়ে রাখা ভাল গতবার একটা ফুল ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল এবং গাড়িতে থাকা একজন মুক্তিযোদ্ধা আমাদের নতুন জেনারেশনের মুক্তিযোদ্ধা বলে তার কাছে যত টাকা ছিল সব দিয়ে দিয়েছিল। আর এবার তো ভলান্টিয়াররা মিরপুরের মত মধ্য ও নিম্নবিত্তদের এলাকাতেও কাজ করলাম, এখন কী বলবেন আপনি ?
২) তিনি বলেছেস, "এরা সিগনালের পিচ্চিদের পার্কে ঘুরাতে নিয়ে যায় বিনিময়ে ওদের ফুল/পপকর্নগুলা নিজেরা বিক্রি করে। ওদের দাবী এভাবে নাকি সমাজকে "জাগানো" যায় এসব শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে। আমার মনে হয় না রাস্তায় এভাবে হলুদ গেন্জি পড়ে ফুল বেচলে আসলেই এই শিশুগুলার কষ্ট বুঝা যাবে!"
জবাব: আপনার এই পয়েন্টের উত্তর উপরে জাগোর ইতিহাসের মধ্যেই দেয়া হয়ে গেছে। তবুও আবারো দিচ্ছি। ফুল বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া যায় সেটা সেসব পথশিশুদের জন্যই ব্যয় করা হয়, আমরা শুধু শুধু ফুল বেচতে পথে নামিনা, ওদের জন্যই নামি। আর এভাবে একটা দিন ওদের মত পথে নেমে সকাল থেকে সন্ধ্যা কাজ করলে যে আসলেই ওদের কষ্টটা বোঝা যায় সেটা শুধু যারা করেছে তারাই বলতে পারবে। মনে তো হয়না আপনি করেছেন, আপনাদের মত মানুষের করার কথাও না। আপনাদের কাজই তো হলো শুধু বাসায় বসে ল্যাপটপ সামনে নিয়ে বড় বড় কথার বুলি আওড়ানো। পথে নেমে রোদে পুরে সারাদিন কাজ করার সামর্থ্যও আছে কিনা সন্দেহ। আর ফুল বিক্রি করে ফান্ড কালেক্ট করাটাকে যে তাচ্ছিল্য করলেন তাহলে বলুন তো আপনি ব্লগ লিখে "অমুক" কে বাঁচানোর জন্যে ফান্ড কালেক্ট করতে পারলে পথশিশুদের জন্য ফুল বিক্রি করে কেন করা যাবে না?
৩) তিনি বলেছেন, "ফেসবুকে একজনের কমেন্ট: এক ভলেনটিয়ার আইসা বলে, ভাইয়া ডোনেট করছেন? পোলা কয়, এই ডোনেশনের টাকা কই যায়? ভলেন্টিয়ার কয়: তাতো জানি না!"
জবাব: আমার সন্দেহ হচ্ছে এই পয়েন্টটা লেখার সময় লেখক সৎ ছিল কিনা ! হয় উনি এটা বানিয়ে লিখেছেন নাহয় যে ভলান্টিয়ারের কথা বলা হয়েছে সে জাগোর ওয়ার্কশপে আসেনি। কারন আমাদের কাজ করার আগে একটা ওয়ার্কশপে পুরো জাগো সম্পর্কে ধারনা দিয়ে দেয়া হয়েছে, ওদের কার্যক্রম সম্পর্কে সবকিছু বলা হয়েছে। এই টাকা কই যায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। উন্মুক্ত প্রশ্নের-উত্তর পর্বও হয়েছে। এগুলো আমাদের আগেই জানানো হয়েছে যাতে পথে পথে ডোনেশন কালেক্ট করার সময় কেউ প্রশ্ন করলে আমরা সেগুলোর উত্তর দিতে পারি। তবুও সেই ভলান্টিয়ার যদি এমন বলে থাকে তাহলে সত্যিই দুঃখজনক। আর এই টাকা কই যায় সেই সম্পর্কে পুরো বিস্তারিত তো জাগোর ইতিহাসের মাঝেই লিখে দিয়েছি। তবুও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে সরসরি জাগোর ওয়েবসাইটের এই লিংক এ যেয়ে করতে পারেন: Click This Link
এরপরও আপনার কিছু বলার আছে ?
৪) তিনি বলেছেন, "আমি ধানমন্ডির মেট্রো প্লাজার সামনে একটা মিনি ট্রাক দেখলাম। ট্রাকের অর্ধেক প্যাকেট করা খাবার আর বাকি অর্ধেকের মত কোল্ড ড্রিংকস দিয়া ভর্তি। ট্রাকে ২ জন হলুদ গেন্জি দাড়ায় আছে। মনে হয় এগুলা ওদের দুপুরের লান্চ। এরকম লান্চ গাড়ি ঢাকায় আরো কয়েকটা থাকার কথা! আমি ভাবতেছিলাম, এত গুলা টাকায় হয়তো আরো ৫০ জন বাচ্চার একমাস চলে যেতো!!"
জবাব: আপনার এই পয়েন্টটা ছিল সবচেয়ে বেশি হাস্যকর আর অযৌক্তিক পয়েন্ট বাড়ানোর জন্য আর কিছু পাইলেন না মিয়া ! এটার জবাবও হৃদয় ভাইয়া খুব সুন্দরমত দিয়ে দিয়েছেন: আপনারা কি জানেন প্রতিটা ভলান্টিয়ারকে একটা ফি দিয়ে রেজিস্ট্রেশান করতে হয় তাদের এই খাবার আর টি-শার্ট ও আনুসাঙ্গিক খরচের জন্যেন? অর্থাৎ তারা নিজের পয়সাতেই খাচ্ছে এবং রাস্তায় ঘুরে ফুল না বেচলেও তারা না খেয়ে থাকতো না, এবং এই টাকাটাও সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুরা পেত না। সঠিক তথ্য না জেনে এত কথা বলেন কেন ভাই ? নিজেকে বোকা প্রমাণ করার চেয়ে চুপ থাকাই কী ভালো না ? আর আমরা যতটুকু খাবার পেয়েছি তার থেকে অনেক গুণ বেশি খাবার এবং সুস্বাদু খাবার ওইদিন ওয়ান্ডারল্যান্ডে যাওয়া ৩০০০ সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের দেয়া হয়। তারপরও কী আপনি এই ব্যাপারে কিছু বলবেন ?
৫) তিনি বলেছেন, "প্রতি ৭/৮ জন গ্রুপের সাথে একটা ডিএসএলআর ক্যামেরা ম্যান থাকে। যেই এক মেয়ে/ছেলে ফুল বেচতে যায় সেটা ক্যামেরা বন্দী করে রাখা হয়!!"
জবাব: আজব ব্যাপার তো ! আমরা যা করি তাতেই কী আপনাদের সমস্যা? ছবি তুললেও আপনাদের সমস্যা ?? এদিন বিভিন্ন সাংবাদিকরা এসে ছবি তুলেছে। আমরা ভলান্টিয়াররা নিজেরাও ছবি তুলেছি স্মৃতি রেখে দেয়ার জন্য। তাই বলে প্রতিটা গাড়ি কিংবা মানুষের কাছে যাওয়া মাত্রই ছবি তোলা হয়নি। আপনি এমনভাবে বললেন যেন প্রতিটা মূহুর্তের ছবি তোলা হয়েছে ! কমন সেন্স এর অধিকারী যে কেউ বুঝতে পারবে যে এই লাইনটা বানিয়ে লেখা। আমরা সেখানে কাজ করতে গিয়েছি, ছবি তুলতে না। শুধু মাত্র কিছু মূহুর্তেরই ছবি তোলা হয়েছে আর আমরা ভলান্টিয়াররা নিজেরাই তুলেছি দিনটা স্মরণীয় করে রাখতে। আরো প্রশ্ন আছে আপনার ?
৬) তিনি বলেছেন, "আরেকজনের ফেসবুক স্ট্যাটাস: Some girls in yellow came up to me and said they were selling flowers "for poverty" (in shaky Banglish). I told them that I don't support poverty! Learn Bangla, you English medium douche bags!"
জবাব: আবারো বাংলা মিডিয়াম ও ইংলিশ মিডিয়াম নিয়ে বৈষশ্য সৃষ্টি করার একটা চেষ্টা। এই পয়েন্টে যে ঘটনাটা বলা হয়েছে সেটা আসলেই ঘটেছে কিনা জানিনা তবুও ধরে নিলাম মেয়েগুলো বাংলা ঠিকমত জানতোনা। তাই বলে কী আপনারা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য নেয়া এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে কথা বলবেন ? আর ওরা বাংলা ঠিকমত জানেনা মানলাম, কিন্তু ওরা তো পথশিশুদের ভালোর জন্যই মাঠে নেমেছিল। একটু ভাল ব্যবহার কী করা যেত না এজন্য ? ভলান্টিয়ার বাংলা জানেনা দেখে সুবিধাবঞ্চিতদের সাহায্য করবোনা ! কী সুন্দর লজিক ! হাসি পাইলো ! আগে নিজেদের স্বভাব বদলান, ভালো ব্যবহার করতে শিখেন, আর ইংলিশ মিডিয়াম পোলাপানদের যদি আপনার অতি উচু মাত্রার আধুনিক বলে মনে হয় তাইলে আপনার নিজের স্ট্যান্ডার্ডেই প্রব্লেম আছে। আগে নিজের স্ট্যান্ডার্ড ঠিক করেন। হৃদয় ভাইয়ার আরেকটা কথাও এখানে তুলে ধরলাম: ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া বা "পাঙ্কু" হলে ভলান্টিয়ারী করা যেন পাপ হয়ে যায় ! আনন্দ খুঁজে নিয়ে একটা কাজ করাটাও দোষের?!
(উল্লেখ্য আমি নিজেও ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্র না, আমি বাংলা মিডিয়ামেই পড়ি।)
৭) তিনি বলেছেন, "ওদের নেক্সট প্ল্যান নাকি শহরগুলাকে হলুদ রং করা। হয়তো এভাবে পোভার্টী ড়িমুভ ক্ষরা যায়। কে জানে?!! আমি ভাই বাংলা মিডিয়ামের মূর্খ! এতকিছু বুঝি না!"
জবাব: পুরাই লুল ! আপনার লেখা কথাবার্তা দেখে তো মনে হইতেসে নিজের সম্পর্কে খুব ভালই ধারনা আছে (বাংলা মিডিয়ামের. . . . .) আপনার। যাই হোক, যেহেতু আপনি কিছুই বুঝেন না সেহেতু আপনাকে বাচ্চাদের মত সবই বুঝায়ে দেয়া লাগবে। এইটা কোন নেক্সট প্ল্যান না, এইটা একটা প্রতিকী বাক্য। হলুদ রং করা বলতে এখানে জাগো কে পুরো দেশে ছড়িয়ে দেয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করা হয়েছে। ভলান্টিয়াররা দেশের সবগুলো জেলায় ছড়িয়ে যাবে, একদিন সবগুলো জেলায় জাগোর স্কুল গড়ে তোলা হবে, সেখানে সব সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা বিনামূল্যে শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সবধরনের সেবা পাবে, সেই কথা দিয়ে এমন স্বপ্নের কথাই বুঝানো হয়েছে।
৮) তিনি বলেছেন, "বেশিরভাগ মানুষ বলে এরা নাকি টাকা মারে। আমার এক ফ্রেন্ড এদের সাথে কাজ করছে কয়েক মাস। সে আইসা বলে, তোরা যেই টাকা দেস, সেটার একটা বিরাট অংশ আমাগো বোতলের পিছে যায়গা! আর বাকি কিছু অংশ (এটার পরিমানও কম না!!) দিয়া একটা ধুমধাম করে অনুষ্ঠান করি বাচ্চাদের নিয়া।"
জবাব: হাহাহাহাহা! হাসি পাইলো ! ভাই আপনার ভাষাতেই তো ভলান্টিয়াররা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া বড়লোকদের পোলাপান। যদি এমনি হয়ে থাকে তাইলে তারা কোন দুঃখে সেই টাকা মারতে যাবে ?? তাদের তো টাকার অভাব নাই, কেন এই সুবিধাবঞ্চিতদের টাকা মারতে যাবে ? কেনই বা টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে কষ্ট করে মাঠে নামবে ? সারাদিন কাজ করলাম কিন্তু একটা ভলান্টিয়ারকেও দেখলামনা টাকা মারতে। উল্টো অনেক ভলান্টিয়ার নিজের মানিব্যাগের টাকাটাও ফুল দিয়ে পাওয়া টাকার সাথে দিয়েছে। ৩ নম্বর পয়েন্টে বলেছিলাম আপনি লেখার সময় সৎ ছিলেন কিনা আমার সন্দেহ আছে। এবার পুরো নিশ্চিৎ হলাম।
৯) আর সবশেষে তিনি লিখেছেন, "তবে ছেলেবুড়ো সবাই একমতে স্বীকার করবে জাগোর মেয়ে ভলেন্টিয়ার গুলা কিরকম জোস!! টিশার্ট আর টাইট জিন্স পড়া এসব ফর্সা চামড়ার মেয়াগুলা দেখলে মাথা নষ্ট হতে বাধ্য! কে জানে, হয়তো ফর্সা রং বেশি করে চান্দা তুলতে সহায়ক "
জবাব: এই পয়েন্টটা পড়লেই বুঝা যায় ওই পোস্টের লেখক কী পরিমাণ নিচু মানসিকতার মানুষ, অর্থাৎ "থার্ড ক্লাস" বলতে যা বুঝায় আর কী ! যাই হোক, তার চরিত্রের দিকে আর না যাই। এর জবাব দিতে Pavel Mohitul Alam ভাইয়ার স্ট্যাটাসটা দিয়েই আমি আমার নোটটা শেষ করছি:
JAAGO'র আজকের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ব্লগ-ফেসবুকে যারা লেখালেখি করেতেসে, স্পষ্টতই তাদের গা জ্বলার মূল কারণ হইলো টি-শার্ট-জিন্স পরা মেয়েগুলো। আজকের কার্যক্রমে যদি মেয়েরা অংশ না নিত, শুধু ছেলেরা ফুল বিক্রি করতো, তাহলে অনেকেই এত কথা বলতো না। যেকোন ইস্যুতেই মেয়েদের 'আক্রমণ' করে পৈশাচিক আনন্দ পাওয়ার মানসিকতা তো আমাদের বহুদিনের।
ভালো কাজ, সেটা ইংলিশ বা বাংলা, যে মিডিয়ামের ছেলে-মেয়েরাই করুক না কেন, সবার উচিৎ সহযোগিতা করা। না পারলে অন্তত প্রশংসা করা। তা-ও না করতে পারলে চুপ থাকা।
হ্যা, আমি আবারো বলছি, ভালো কাজ, সেটা ইংলিশ বা বাংলা, যে মিডিয়ামের ছেলে-মেয়েরাই করুক না কেন, সবার উচিৎ সহযোগিতা করা। না পারলে অন্তত প্রশংসা করুন। তা-ও যদি না পারেন তাহলে চুপ থাকুন।
আর জাগো আসলেই সুবিধাবঞ্চিতদের কাজে আসছে কি আসছেনা সেটা জাগোর পুরো ইতিহাসেই উল্লেখ করে দিয়েছি। আশা করি আর কিছু বলতে হবেনা। আর প্রশ্ন থাকলে জাগোর ওয়েবসাইট তো আছেই ! আমরা সবাই স্কুল-কলেজ-ভার্সিটির শিক্ষার্থী, আপনাদের আজাইরা প্যাচাল আর সমালোচনার জবাব দেয়ার মত অঢেল সময় আমাদের নাই। শুধুমাত্র একবার দিলাম কারন বিষয়টা লিমিট ক্রস করতেসিলো আর এটা থামানো জাগোর সকল ভলান্টিয়ারের দায়িত্ব। এই নোটে কিংবা আবার অন্য কোন পোস্টের রিপ্লাই দেয়া আর আমার পক্ষে আর সম্ভব না কারন সামনেই এক্সাম। এরপর কোন প্রশ্ন থাকলে সরাসরি ওয়েবসাইটে যেয়ে প্রশ্ন করে উত্তর নিয়ে সঠিক তথ্য জেনে তারপর ব্লগ লিখবেন, তর্ক করার ইচ্ছা থাকলেও সেখানেই করবেন।। আর আরেকটা কথা, হয়তো এমন কিছু ভলান্টিয়ারও ছিল যারা অন্য উদ্দেশ্যে এসেছিল, জাগোর টি শার্ট গায়ে স্মোকিং করেছে কিংবা অন্য খারাপ কাজ করেছে বা কারো ড্রেস আপ দৃষ্টিকটু ছিল কিন্তু তাদের সংখ্যা খুবই কম। হাতে গোনা কয়েকজনের জন্য তো পুরো জাগো টিমকে আপনারা দোষ দিতে পারেননা, আর এজন্য সব ভলান্টিয়ারও খারাপ হয়ে যায়না। মডারেটররাও এ ব্যাপারে আমাদের বারবার সতর্ক করে দিয়েছিল যাতে কেউ স্মোক না করে বা খারাপ কাজ না করে, আর জাগোর টি শার্ট গায়ে তো কখনোই না ! তবুও কিছু ভলান্টিয়ার সেটা শোনেনি। তাদের সম্পর্কে আর কিছু বলার নেই। আবারো বলছি, কয়েকজনের জন্য সবাই খারাপ হয়ে যায় না।
Collected from
- Saidur Rahman Rahat (Rahat Rahman)
Volunteer,
JAAGO & Volunteer For Bangladesh.