somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শেখ হাসিনার কিছু কাজ।

২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমি ২০০১ সালে ক্লাশ ওয়ানে ভর্তি হই। আর ক্লাস টেইনে ছিলাম ২০১০। তাহালে বুঝেন আমরা সাল ও ক্লাশ সামন্তরিক ভাবে এগুইছে। আমার এসএসসি বেইস ২০১১। যাই হউক, এগুলো কথা বাস। আসল কথা হচ্ছে ২০০১ সালে যখন আমি ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হই তখন বিএনপি সরকার ছিলো। সেই সরকার আমলে (২০০১-২০০৬) ক্লাশ ওয়ান থেকে ক্লাশ ফাইভ পযর্ন্ত বিনামূল্যে বই দিতো। তাও আবার নতুন ও পুরাতন বই মিলাইয়া। আমার যতটুকু মনে পড়ে ক্লাশ থ্রি (২০০৩) তখন আমাকে বিজ্ঞান ও সমাজ বই পুরাতন দিয়েছিলো। বাংলা, ইংরেজি, গনিত বই নতুন দিয়েছিলো। যথারীতি সিক্স থেকে নাইন পযর্ন্ত বোর্ডের বই ক্রয় করে পড়েছিলাম।



২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার আসে। ২০১০ সালে সম্ভবত ক্লাশ ওয়ান থেকে নাইন পযর্ন্ত বিনামূল্যে বই বিরতন করে। তাও আবার সবাই নতুন বই। তখন আমি খুব আফসোস করেছিলাম। আর বলেছিলাম “যদি আরো পাঁচ বছর পর জন্মগ্রহন করতাম, তাহলে নতুন ও বিনামূল্যে বই পেতাম। আওয়ামীলীগের ওয়ান থেকে নাইন পযর্ন্ত সকলের হাতে বিনামূল্যে বই বিতরনের সিস্টেমটি বন্ধ করিয়েন না।

আওয়ামীলীগ সরকার দেশকে ডিজিটাল করেছেন। অনেক কিছু কম্পিউটার বেইস করেছে। আগে ট্রেনের টিকেট কাটতে হলে রেল স্টেশনে যাওয়া লাগতো। এখন ঘরে বসেই অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটা যায়। আপনারা আবার ঘরে বসে অনলাইনে টিকেট কাটার সিস্টেম বন্ধ করিয়েন না। আপনারা যা করতে পারেন সেটা হচ্ছে অবকাঠামো সংস্কার। যেমন ট্রেনের সিট বাড়ানো, টাকার অপচয় কমানো। মনে করেন গাইবান্ধা থেকে ঢাকা রুটে ১০০০ টি আসন লাগবে। সে স্থানে ২৫০ টি ট্রেনের আসন লাগবে। বাকি ৭৫০ সিটের চাহিদা মেটানোর সিস্টেম চালু করেন। আবার মনে করেন গাইবান্ধ থেকে ঢাকা একটি ট্রেন সার্ভিস করা যেতে পারে। একজন লোকের গাইবান্ধা থেকে টাঙ্গাইল ট্রেনে করে যাবে। অনলাইন গাইবান্ধা থেকে টাঙ্গাইল সিট দেয় না। কাউন্টারও দেয় না। এখন এই সমস্যা কিভাবে সমাধান করা যায় সেই ব্যাবস্থা করেন।

যখন ট্রেনে যাত্রা করি তখন ট্রেনের কোন সিট খালি দেখি না। ১০০% সিটের টিকেট কাটা থাকে। এবং অনেকে আসন বিহীন টিকেট কাটে। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পযর্ন্ত কয়েক দফা ট্রেনের টিকেটের দাম বাড়ানো হয়। তারপরেও দেখি ট্রেন লোকসানে চলে। এদ টাকা কই যায়? দুর্নীতি হয় বা টাকার অপচয় হয়। দুর্নীতি ও টাকার অপচয় রোধে অডিট করা যেতে পারে।



আওয়ামীলীগ সরকার জন্মনিবন্ধন এর সকল তথ্য অনলাইনে করেছেন। এবং মৃত্যু নিবন্ধন, ওয়ারিশ সার্টিফিকেট, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, অবিবাহিত সনদ সহ যাবতীয় তথ্য অনলাইনে করেছে। ট্রেড লাইসেন্সও অনলাইনে করা যায়। এগুলো করা হয় ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন এ। এসব সার্ভিস বন্ধ করিয়েন না। আমার মতে জাতীয় পরিচয় পত্রের মত গুরুত্বপূর্ন নাগরিক ডকুমেন্ট নির্বাচন কমিশনারের কাছে না দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আধীনে আনা দরকার। জাতীয় পরিচয় পত্র অনুবিভাগ কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে আনতে হবে। প্রত্যেক উপজেলায় জাতীয় পরিচয় পত্র অনুবিভাগ এর অফিস আনতে হবে।

অনেক নাগরিক আছে যারা স্মার্ট কার্ড পায় নি। তাদের সবাই কে স্মার্ট কার্ড দিতে হবে।

নির্ভুল জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন করার লক্ষ্যে যার যার ফরম সে সে পূরন করেবে। নাগরিক শুধু উপজেলা বা নিদিষ্ট স্থানে গিয়ে আঙ্গুলের ছাপ, ছবি তুলা ও চোখের রেটিনা দিয়ে আসবে। আর জন্ম নিবন্ধন নির্ভুল করার লক্ষ্যে বর্তমান সিস্টেমটি সুন্দর।

পাসপোর্ট অফিস, ভূমি অফিসের যাবতীয় কাজ অনলাইনে করা যায়, যা শেখ হাসিনার অবদান। এসব অফিসের অনলাইনের আবেদন সিস্টেম বন্ধ না করে, এসব অফিসের দালাল বন্ধ করুন। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এসব অফিসে বেশী। যার কারনে দালালও বেশী। আবার বেকার যুবক বেশী। তাই দালাল ও বেশী। আমি কি বলেছি তা নিশ্চই বুঝেছেন। এখন কি করনে, কিভাবে করবেন সেটা আপনারা মাথা খাটান।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:২৮
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দীপনের দীপ নেভে না

লিখেছেন ডার্ক ম্যান, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯


ছবিঃ সংগৃহীত
আজকে সামুর অন্ধকার ব্লগার নামে খ্যাত ফয়সাল আরেফিন দীপনের মৃত্যু দিবস। ২০১৫ সালে আজকের এই দিনে জঙ্গি হামলায় দীপন মারা যান নিজ প্রকাশনীর কার্যালয়ে । যে ছেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বজলুল হুদাকে জবাই করে হাসিনা : কর্নেল (অব.) এম এ হক

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৯

মেজর বজলুল হুদাকে শেখ হাসিনা জবাই করেছিলেন।

(ছবি ডিলিট করা হলো)

শেখ মুজিবকে হত্যার অপরাধে ২৮শে জানুয়ারী ২০১০ এ মেজর (অব.) বজলুল হুদা সহ মোট ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। রাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মি. চুপ্পুর পক্ষ নিয়েছে বিএনপি-জামাত; কারণ কী?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৬


বিএনপি গত ১৬ বছর আম্লিগের এগুচ্ছ কেশও ছিড়তে পারেনি অথচ যখন ছাত্ররা গণহত্যাকারীদের হটিয়েছে তখন কেন বিএনপি চু্প্পুর পক্ষ নিচ্ছে? অনেকেই বলছে সাংবিধানিক শুন্যতা সৃষ্টি হবে তার সংগে বিএনপিও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগারেরা প্রেসিডেন্ট চুপ্পুমিয়াকে চান না, কিন্তু বিএনপি কেন চায়?

লিখেছেন সোনাগাজী, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৪



**** এখন থেকে ১৯ মিনিট পরে (বৃহ: রাত ১২'টায় ) আমার সেমিব্যান তুলে নেয়া হবে; সামুটিককে ধন্যবাদ। ****

***** আমাকে সেমিব্যান থেকে "জেনারেল" করা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিকাহের পরিবর্তে আল্লাহর হাদিসও মানা যায় না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪




সূরা: ৪ নিসা, ৮৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৮৭। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। তিনি তোমাদেরকে কেয়ামতের দিন একত্র করবেন, তাতে কোন সন্দেহ নাই। হাদিসে কে আল্লাহ থেকে বেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×