আমি ২০০১ সালে ক্লাশ ওয়ানে ভর্তি হই। আর ক্লাস টেইনে ছিলাম ২০১০। তাহালে বুঝেন আমরা সাল ও ক্লাশ সামন্তরিক ভাবে এগুইছে। আমার এসএসসি বেইস ২০১১। যাই হউক, এগুলো কথা বাস। আসল কথা হচ্ছে ২০০১ সালে যখন আমি ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হই তখন বিএনপি সরকার ছিলো। সেই সরকার আমলে (২০০১-২০০৬) ক্লাশ ওয়ান থেকে ক্লাশ ফাইভ পযর্ন্ত বিনামূল্যে বই দিতো। তাও আবার নতুন ও পুরাতন বই মিলাইয়া। আমার যতটুকু মনে পড়ে ক্লাশ থ্রি (২০০৩) তখন আমাকে বিজ্ঞান ও সমাজ বই পুরাতন দিয়েছিলো। বাংলা, ইংরেজি, গনিত বই নতুন দিয়েছিলো। যথারীতি সিক্স থেকে নাইন পযর্ন্ত বোর্ডের বই ক্রয় করে পড়েছিলাম।
২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার আসে। ২০১০ সালে সম্ভবত ক্লাশ ওয়ান থেকে নাইন পযর্ন্ত বিনামূল্যে বই বিরতন করে। তাও আবার সবাই নতুন বই। তখন আমি খুব আফসোস করেছিলাম। আর বলেছিলাম “যদি আরো পাঁচ বছর পর জন্মগ্রহন করতাম, তাহলে নতুন ও বিনামূল্যে বই পেতাম। আওয়ামীলীগের ওয়ান থেকে নাইন পযর্ন্ত সকলের হাতে বিনামূল্যে বই বিতরনের সিস্টেমটি বন্ধ করিয়েন না।
আওয়ামীলীগ সরকার দেশকে ডিজিটাল করেছেন। অনেক কিছু কম্পিউটার বেইস করেছে। আগে ট্রেনের টিকেট কাটতে হলে রেল স্টেশনে যাওয়া লাগতো। এখন ঘরে বসেই অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটা যায়। আপনারা আবার ঘরে বসে অনলাইনে টিকেট কাটার সিস্টেম বন্ধ করিয়েন না। আপনারা যা করতে পারেন সেটা হচ্ছে অবকাঠামো সংস্কার। যেমন ট্রেনের সিট বাড়ানো, টাকার অপচয় কমানো। মনে করেন গাইবান্ধা থেকে ঢাকা রুটে ১০০০ টি আসন লাগবে। সে স্থানে ২৫০ টি ট্রেনের আসন লাগবে। বাকি ৭৫০ সিটের চাহিদা মেটানোর সিস্টেম চালু করেন। আবার মনে করেন গাইবান্ধ থেকে ঢাকা একটি ট্রেন সার্ভিস করা যেতে পারে। একজন লোকের গাইবান্ধা থেকে টাঙ্গাইল ট্রেনে করে যাবে। অনলাইন গাইবান্ধা থেকে টাঙ্গাইল সিট দেয় না। কাউন্টারও দেয় না। এখন এই সমস্যা কিভাবে সমাধান করা যায় সেই ব্যাবস্থা করেন।
যখন ট্রেনে যাত্রা করি তখন ট্রেনের কোন সিট খালি দেখি না। ১০০% সিটের টিকেট কাটা থাকে। এবং অনেকে আসন বিহীন টিকেট কাটে। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পযর্ন্ত কয়েক দফা ট্রেনের টিকেটের দাম বাড়ানো হয়। তারপরেও দেখি ট্রেন লোকসানে চলে। এদ টাকা কই যায়? দুর্নীতি হয় বা টাকার অপচয় হয়। দুর্নীতি ও টাকার অপচয় রোধে অডিট করা যেতে পারে।
আওয়ামীলীগ সরকার জন্মনিবন্ধন এর সকল তথ্য অনলাইনে করেছেন। এবং মৃত্যু নিবন্ধন, ওয়ারিশ সার্টিফিকেট, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, অবিবাহিত সনদ সহ যাবতীয় তথ্য অনলাইনে করেছে। ট্রেড লাইসেন্সও অনলাইনে করা যায়। এগুলো করা হয় ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন এ। এসব সার্ভিস বন্ধ করিয়েন না। আমার মতে জাতীয় পরিচয় পত্রের মত গুরুত্বপূর্ন নাগরিক ডকুমেন্ট নির্বাচন কমিশনারের কাছে না দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আধীনে আনা দরকার। জাতীয় পরিচয় পত্র অনুবিভাগ কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে আনতে হবে। প্রত্যেক উপজেলায় জাতীয় পরিচয় পত্র অনুবিভাগ এর অফিস আনতে হবে।
অনেক নাগরিক আছে যারা স্মার্ট কার্ড পায় নি। তাদের সবাই কে স্মার্ট কার্ড দিতে হবে।
নির্ভুল জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন করার লক্ষ্যে যার যার ফরম সে সে পূরন করেবে। নাগরিক শুধু উপজেলা বা নিদিষ্ট স্থানে গিয়ে আঙ্গুলের ছাপ, ছবি তুলা ও চোখের রেটিনা দিয়ে আসবে। আর জন্ম নিবন্ধন নির্ভুল করার লক্ষ্যে বর্তমান সিস্টেমটি সুন্দর।
পাসপোর্ট অফিস, ভূমি অফিসের যাবতীয় কাজ অনলাইনে করা যায়, যা শেখ হাসিনার অবদান। এসব অফিসের অনলাইনের আবেদন সিস্টেম বন্ধ না করে, এসব অফিসের দালাল বন্ধ করুন। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এসব অফিসে বেশী। যার কারনে দালালও বেশী। আবার বেকার যুবক বেশী। তাই দালাল ও বেশী। আমি কি বলেছি তা নিশ্চই বুঝেছেন। এখন কি করনে, কিভাবে করবেন সেটা আপনারা মাথা খাটান।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:২৮