জনগণের জন্য জনগণের দ্বারা পরিচালিত সরকার কে গণতন্ত্র বলে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগন তার পছন্দের প্রার্থী কে ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান বানায়, আইন সভার সদস্য বানায়, কাউন্সির ও মেয়র বানায়।
নির্বাচন পদ্ধতি সাধারণত ২ প্রকার।
০১। প্রত্যক্ষ নির্বাচন
০২। পরোক্ষ নির্বাচন
আমাদের দেশে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইনসভার সমস্য, চেয়ারম্যান, মেম্বার, কাউন্সিলর, মেয়র, উপজেলার চেয়ারম্যান বানাই। রাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র, একদলীয় শাসন, ম্যালিটারি শাসন থেকে গনতন্ত্র ভালো। কারন এখনে জনগণের ইচ্ছা ও অনিচ্ছা গুরুত্ব দেয়া হয়। গণতন্ত্রের একটি জিনিস আমার কাছে ভালো লাগে না। সেটা হচ্ছে মেধার মূল্যায়ন করা হয় না। মনে করেন একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও আরেকজন মেধাবী লোক ভোটে দাড়িয়েছেন। ৫১% ভোটও যদি বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর কাছে যায় তাহলে এখানে মেধাবী লোকের মেধারি মূল্যায়ন করা হয় নি।
আবার মনে করেন বাংলাদেশে ৬০% ব্যাবসায়ী অসৎ।তারা পণ্যে বেজাল করবে। ওজনে কম দিবে। পণ্যের মিথ্যা গুণগান গাইবে। কাওয়ান বাজারে দুইজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচনে দাড়ারো। একজন সৎ ব্যাবসায়ী আরেকজন অসৎ ব্যাবসায়ী। সেখানে ৯০% ভোটার ব্যাবসায়ী। তারা তো চাইবে তাদের প্রতিনিধি এমন হউক যে তাদের আকাম-কুকাম করতে সাহায্য করবে।
তারপর মনে করুন এমন একজন লোক এমটি হয়েছে যে যুবক বয়সে মেয়েদের ইভটিজিং করতো। বউ পিটাতো। তার বিরুদ্ধে ৫টা ধর্ষন মামলা আছে। ছেলে সন্তান কে বেশী আদর করে, নারী সন্তান কে অবজ্ঞা করে। এই এমপি কিভাবে “নারী অধিকার আইন বানাবে?” সে তো নারাীর অধিকার সম্পর্কে কিছুই জানে না। সমাজে কোথায় কোথায় নারী অনিরাপদ এটাও সে জানে না।
মনে করুন। বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধীর একটা রাজনৈতিক দল ফ্রন্ট করলো। তারা জনগণকে নির্বাচনী ইস্তেহার দিলো যে সবাই কে ২টাকা কেজি চাউল, ২ টাকা কেজি ডাউল, ৫ টাকা লিটার সোয়াবিন তেল, খাওয়াবে। ডিজেল এর দাম ১০ টাকা করবে। বিদুৎ এর দাম কমাবে। এই কথা শুনে ৩০০ আসনে তারাই পবে ২০০ আসন। এখন গণতন্ত্র কে আপডেট করার জন্য শাসক কে কিছু গুন থাকতে হবে।
এটা আমার ব্যাক্তিগত মত। আপনারাও শাসকের কি কি গুন চান কমেন্ট এ লিখতে পারেন।
০১। জনপ্রতিনিধিদের অবশ্যই ভালো মানুৃষ হতে হবে। তাকে নিরেপেক্ষ হতে হবে। ধর্ম, বর্ণ, ধনী গরিব সবাই তার কাছে সমান।
০২। রাষ্ট্রীয় দায়িত্বগুলো উত্তমরূপে পালনের যোগ্যতা থাকতে হবে।
০৩। রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় দূরদৃষ্টি থাকতে হবে।
০৪। জনপ্রতিনিধিদের উচ্চ বংশের হতে হবে।
০৫। শিক্ষিত হতে হবে।
০৬। জনপ্রতিনিধি কে ন্যায়বিচার, নিরপেক্ষতা ও সুবিচারের মূর্ত প্রতিক হতে হবে।
০৭। আইন-জ্ঞানে দক্ষতা ও পারদর্শিতা থাকতে হবে
০৮। তাকে সুস্থ থাকতে হবে।
০৯। জনগণের চাহিদা বুঝার ক্ষমতা থাকতে হবে।
১০। কোনো কৃপণ, মূর্খ, নির্দয়, অন্য রাষ্ট্রের ভিন্নতর আদর্শের প্রতি আকৃষ্ট, ঘুষখোর, এগুলা বাদ।
১১। এলাকার সমস্যা নিয়ে চিন্তা করা ও সমাধানের পথ খুজতে হবে।
১২। ন্যায় বিচার করতে হবে। ন্যায় বিচার করতে গিয়ে যদি নিজের সন্তানকে শাস্তি দিতে হয়, তাহেলে সেটাই করতে হবে।
আমি এই ১২ টা বাহির করলাম। আপনারা গনতান্ত্রিক নেতার কাছ থেকে আর কি কি চান?
ডিসক্রেইমার: আমি কিন্তু গনতন্ত্রের পক্ষে। আমাকে আবার গণতন্ত্রের বিরোধী মনে করবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫