এখন সকল প্রকার জাতীয় পরিচয় পত্রের সংশোধন অনলাইনে করা হয়। আজকে একজন পরিচিত জনের জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার এপ্লাই করে দিলাম।
সমস্যা ছিলো “মা” এর নামে ভুল। কি রকম ভুল? তাহার সাথে এমন কনভারসেশন হয়।
লোক: ভাই আমার NID সংশোধন করা লাগতো।
আমি: কেমন সংশোধন?
লোক: আমার আম্মুর জাতীয় পরিচয় পত্রে “হালীমা আক্তার” দেয়া। আমার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং এসএসসি সার্টিফিকেটে “হালিমা বেগম” দেয়া। আমি আমার আম্মুর জাতীয় পরিচয় এর মত “হালীমা বেগম” কেটে “হালিমা আক্তার” দিতে চাই।
আমি: তাহলে তুমার সার্টিফিকেটও সংশোধন করিতে হবে।
লোক: সার্টিফিকেট ঠিক করমু না। এই ভুলের জন্য পাসপোর্ট করতে পারছি না। বিদেশ চলে যামু।
আমি আর আমার এক বন্ধবীর সাথে চ্যাটিং হচ্ছিলো। তারও একই ভুল। বান্ধবীর জাতীয় পরিচয় পত্র এবং এসএসসি সার্টিফিকেটে “মো: লাল মিয়া। অতথ লাল মিয়ার জাতীয় পরিচয় পত্রে লেখা আছে “হাজী লাল মিয়া সরকার।”
ভবিষৎ তে এমনও হতে পারে।
একজনের সরকারি চাকরি তে ভাইবা পযর্ন্ত টিকেছে। পুলিশ ভেরিফিকেশন হচ্ছে।
পুলিশ: আপনার আর আপনার আব্বুর জাতীয় পরিচয় পত্র দেখি।
প্রর্থী: এই যে।
পুলিশ: আপনার পিতার নাম জাতীয় পরিচয় পত্রে “হাসান সিকদার” লিখা আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রে “মোঃ হাসান।” লিখা কেন? আপনার ভেরিফিকেশন সন্তুষজনোক না।
আবার ভূমি অফিসেও এমন অসুবিধা হতে পারে। আপনি ভূমির নাম খারিজ করতে গেলেন। মনে করেন, আপনার পিতার নাম “মালেক ঢালী” আর আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রে “আব্দুল মালেক ঢালী”। খেয়াল করে দেখুন দুই স্থানে দুই নাম।
তাহলে আজ কি বুঝলাম। বাংলাদেশে ৮০% লোকের পিতা মাতার নাম ভুল লিখেছে। মানে বাপ মা NID কার্ডে যেভাবে লিখেছে নিজে নিজের বাপ মা এর নাম ঐ ভাবে লিখে না।
এমন নাম এর ব্যাতিক্রম হলে পুলিশ ভেরিফিকেশন আর ভূমি অফিস এ সমস্যা হতে পারে।