জন্ম দিয়ে শুরু- স্বাভাবিক প্রসবই হওয়ার কথা ছিলো, তারপরও সিজার হইলো। ক্লিনিক ব্যাবসায়ীর ওতো খেয়ে বাচতে হবে ভাই!
লালন পালন চলছে নকল মায়ের (বুয়ার) কোলে। মায়েরতো অনেক ধকল গেছে। এবার শরীরটা ফিট করা চাই। একবারে সিরিয়ালের নায়িকাদের মত।
স্কুলে স্যারদের পড়ানোয় মনযোগ কম। প্রাইভেট ব্যাচ পড়াইতে পড়াইতে ক্লান্ত স্যারেরা। তাছাড়া, স্কুলের এই স্বল্প বেতনে কি আর সংসার ছলে?
স্বাস্থের বিষয়টা ভালোই চলছে। খাদ্য- দ্রব্যে এত বেশি পরিমানে মেডিসিন প্রয়োগ চলছে যাতে করে প্রাপ্তবয়স্ব হওয়ার আগেই শরীর স্বাস্থ ম্যাসাকার হয়ে গেছে!
গ্রেজুয়েট হয়ে সারা গ্রাম মিষ্টি বিতরন করে শেষে পরিবারের ঊষ্ঠা খাওয়া লাগতেসে দহরম। কি করা যাবে ভাই, ইন্টারভিউতো ভালোই হয়। কিন্তু কোটার লোকজনদের প্রায়োরিটিতো দিতে হবেই। তারা বাইচা থাকলে পরেতো বাকিসব। দেশটাতো তাদের বাপদাদারই সম্পত্তি।
ভোট দিতে যাইয়া- তোর ভোট হয়ে গেছে যা- ভাগ!!
এবার মামলা- বড় কাকা রাজনীতি করে, সম্পত্তির ভাগ উনি পচন্দ করে যা দিবে তাই। একটু সাহস করে জ্বোরে কথা বইলা বেয়াদবি হয়েছে, তাই দিয়া দিসে মার্ডার মামলা। জন্মের আগেরও এক খুনের মামলায় এবার খুনের আসামী।
বিয়া করার পর- এটা বৌয়ের তৃতীয় বিয়ে/ তৃতীয় পুরুষের সঙ্গ। বউয়ের অবশ্য দোষ নাই, জামাইরা তার লগে প্রতারনা কইরা ভাগছে।
জীবন সায়াহ্নে এসে সবচেয়ে বড় হোচট খাইতে হবে কে যানতো! যাদের জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করলাম তারাই নাকি থুয়ে গেলো বৃদ্ধাশ্রমে। ছেলে মেয়েদেরইবা কি করার আছে! তাদেরতো সময়ের অনেক মুল্য। আমাদের পিছে সময় নষ্ট করার কোন মানে হয়।।।
হটাৎ একদিন শরীরটা কেমন জানি গরম গরম লাগছিলো। খুব তৃষ্না পেয়েছিলো, একটু পানি চেয়েছিলাম। একজন আইসা পানি খাওয়াইলো, আর পিশপিশ করে কানের কাছে কি যানি বলল। কিছু বুঝা গেলোনা। তার পরে আর কিছুই মনে নাই। সম্ভবত সেদিনই মারা গিয়েছিলাম। আমার সন্দেহ, লোকটার দেয়া পানিটাতে নিশ্চয়ই ভেজাল ছিলো।।।