সিনেমার গল্পতো অনেক হলো আজ একটু ভিন্ন গল্প বলি যে গল্পের পাশে লেখা থাকবে না "based on a true story" যার শিরোনাম হবে "it's a true story" । যিনি এই গল্পের কেন্দ্রবিন্দু তিনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি সিনেমা জগতের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো ভাবে-ই জড়িত ছিলেন না । সিনেমার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন একথা সত্য কিন্তু তাকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে অনেক বই, নির্মিত হয়ে অনেক সিনেমা , ডকুমেন্টারি সহ বেশ কয়েকটি টিভি শো ।
দায়িত্ব নেয়া অনেকে অনেক ভাবে শুরু করে যদিও শুরুটা হয় বিছানার চাদর ভাজ করার মাধ্যমে ঠিক তেমনি তিনিও ১৫/১৬ বছর বয়সে স্থির করেন প্রেসিডেন্ট হবেন কিন্তু শুরুটা ছিলো ঐ চাদর ভাজ করার মতন ছোট দায়িত্বের মতন । এক-ই সাথে নায়ক এবং খলনায়ক দুটি রোল-ই প্লে করতেন তিনি, সরকার পক্ষের লোকের কাছে তিনি ছিলেন ত্রাসের চেয়েও বেশি কিছু আর জনগণের কাছে ছিলেন "রবিনহুড"
বাবা করতেন কৃষি কাজ আর মা ছিলেন স্কুল টিচার, বাবার অযত্নে পড়াশোনা থেকে ছিটকে গেলেও যেতে পারতেন যদি না মা কড়া শাসনের মাধ্যমে আগলে রাখতেন । স্কুল থেকে প্রায়-ই পালিয়ে যেতেন আবার কোনোদিন টিচারদের সাথে তর্কে জড়িয়ে স্কুল থেকে বিতাড়িতও হতেন । মা'র মারের ভয়-ই কোনোরূপ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যেতে পেরেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়া পর্যন্ত-ই শেষ, তার গন্ডি পার করা হয়নি ,এর আগে-ই সম্পূর্ণরূপে জড়িয়ে যান অপরাধ জগতের সাথে যদিও এই দুনিয়ায় প্রবেশ করেছেন অনেক আগে-ই কিন্তু এবার শুরুটা শুরুর মতন করেছেন ।
তখন তার বয়স সাত বছর, বাসা থেকে স্কুলের দুরুত্ব ছিলো প্রায় এক ঘন্টার রাস্তা, একদিন ঘটনাক্রমে স্কুলে পৌছানোর পূর্বে অর্ধ্মৃত জুতোটিও শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলো । ছেড়া জুতো দেখে দাড়োয়ান তাকে আর স্কুল ঢুকতে দেয়নি, সন্ধ্যায় তার মা যখন বাসায় আসলেন মাকে বললেন স্কুলে তাকে ঢুকতে না দেওয়ার কারণ । ছেলের কথা শুনে তার মা চিন্তিত হয়ে পড়লেন কিভাবে ছেলের জুতো কিনে দিবেন এই ভেবে । অনেক কষ্টে কিছু টাকা ব্যবস্থা করে ছেলের জন্য একজোড়া জুতো কিনলেন , জুতো কিনে বাসায় এসে দেখেন তিনি ভিন্ন সাইজের দুটি জুতো নিয়ে এসেছেন, ছেলেকে সাথে নিয়ে চলে গেলেন দোকানে, দোকানদারকে জুতো ফেরতের কথা বললে দোকানদার না করে দেয়, এই দেখে তার মা কেদে ফেলেন,মায়ের চোখে পানি দেখে ছেলে বলে উঠে "মা তুমি কান্না থামিয়ে দাও, আমি বড় হয়ে এই দোকান কিনে দেবো, তুমি যা চাও তাই দিবো" । সেই ছোট্টবেলায় মায়ের কাছে করা ওয়াদা তিনি পূরণ করেছেন । বড় হয়ে যখন উপার্জন শুরু করলেন তখন বছরে তার উপার্জনের ১০% অর্থ (প্রায় এক বিলিয়ন ডলার) শুধু ইদুর নষ্ট করে দিতো যা দিয়ে ঐ রকম কয়েক হাজার দোকান কিনতে পারতেন।
পুরো নাম পাবলো এমিলিও এসকোবার গাভিরিয়া । ১৯৪৯ সালের ডিসেম্বরের ১ তারিখে কলম্বিয়ার এন্টিওকিয়া প্রদেশে রিওনিগ্র শহরে জন্মগ্রহণ করেন পাবলো এস্কোবার , আইন ভঙ্গের হাতে খড়ি হয় বয়স যখন দশ বারো ছুই ছুই তখন-ই , গভীর রাতে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়তেন, চলে যেতেন কবরস্থানে, চুরি করতেন সমাধি-ফলক, এই সমাধিশিলা আবার বিক্রি করে দিতেন কোনো চোরাকারবারির হাতে অথবা কোনো দোকানে । এভাবে শুরু ছিলো কলম্বিয়ার সব'চে ডেডলিয়েস্ট ব্যক্তির । পাবলো এসকোবার অনেকের কাছে অনেক নামে পরিচিত ছিলেন , কারো কাছে গডফাদার তো কেউ আবার চিনতো "দ্য লর্ড" অথবা "দ্য বস" নামে । উনার আরো একটি পরিচয় ছিলো "দ্য ম্যাজিশিয়ান" । এই নাম শুনতে যতোটুকু ভালো শোনাচ্ছে নামের পেছনের কারণ ততটুকু ভয়ংকর । পাবলো এত-ই বদ্ধবৈরী ছিলেন যে তিনি "যেকোনো ব্যক্তিকে যে কোনো সময় যেখানে ইচ্ছা শেষ করার ক্ষমতা রাখেন" , এইজন্য তাকে "দ্য ম্যাজিশিয়ান" বলা হয় । সতেরো বছর বয়সে চুরি ছেড়ে দেন, সেই সময়ের মেডিলিনের(কলম্বিয়ার একটি শহর) বিভিন্ন প্রতাপশালী ব্যক্তিবর্গের দেহরক্ষী হিসেবে কাজ শুরু করেন । এই ছিলো তার অপরাধ জগতের দ্বিতীয় স্তরে পদার্পণের সোপান । কিডন্যাপিং, র্যানসমের পর্ব এখানে-ই শুরু হয় । প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি স্বপ্ন ছিলো অঢেল সম্পদের মালিক হবেন একদিন ।
ছোটবেলায় বন্ধুদের বলে বেড়াতেন ২২বছর বয়সে লাখপতি হবেন । এ পি জে আবুল কালাম আজাদের বিখ্যাত একটি উক্তি আছে 'স্বপ্ন সেটা নয় যেটা তুমি ঘুমিয়ে. দেখো। স্বপ্ন সেটা যেটা তোমায়. ঘুমোতে দেয় না।' মিলিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন পাবলোকে সত্যি-ই নির্ঘুম করে রাখতো । পাখা মেলার সুযোগ পাচ্ছেন না , কিন্তু কথায় আছে স্রষ্টা সবাইকে-ই সুযোগ দেন, কেউ সুযোগ কাজে লাগায় কেউবা সারাজীবন সুযোগের অপেক্ষাতে-ই থাকে ।
সুযোগের দেখা পেলেন ১৯৭৫ সালে মেডিলিনের অন্যতম ডিলার ফ্যাবিও রেস্ট্রেপোর মৃত্যুর মাধ্যমে পাবলো জোরপূর্বক তার স্থলাভিসিক্ত হন(যদিও ফ্যাবিওর মৃত্যুর কারণ হিসেবে পাবলোকে-ই দায়ী করা হয়) । ১৯৭৫ সাল থেকে পাবলোর এক প্রকারের স্বর্ণযুগের শুরু হয় , কোকেন ছিলো পাবলোর প্রধান হাতিয়ার, এই কোকেন দিয়ে পুরো কলম্বিয়া কাপিয়ে দিয়েছিলেন , তার এই কোকেনের প্রভাব এতো-ই প্রকট ছিলো যে, গোটা কলম্বিয়া আর আমেরিকার প্রতি পাচ জনের চারজন পাবলোর কোকেন নিতো । এক সময় কোকেন আর পাবলো এসকোবার সমার্থক শব্দ হয়ে উঠে গোটা বিশ্বে ।
পাবলো যতোটা ভয়ংকর ছিলেন ততটা মাস্টারমাইন্ডেডও ছিলেন, কিভাবে শেখর থেকে শিকড়ে উঠতে হয় তা জানা ছিলো । কোকেনের শিপমেন্টের নিত্য-নতুন তরিকা উদ্ভাবন করতেন । প্লেনের চাকা ভেতরে কোকেন ভরে তা পাঠিয়ে দিতেন দেশের বাহিরে, এরজন্য বেশ মোটা অংকের টাকাও দিতে হতো বিমানের ক্রুদের, এরপর যখন ব্যবসা আকাশচুম্বি হয়ে উঠলো নিজে-ই কিনে নিলেন পনেরোটি বিমান । পাবলো এসকোবারের শ'খানেক ডিলার ছিলো যারা শুধুমাত্র কলম্বিয়া আর আমেরিকায় কোকেন সাপ্লাই করতো । এরা প্রত্যেকে-ই নিজ নিজ অবস্থায় বেশ প্রভাবশালী ছিলেন কিন্তু পাবলোকে ‘এল প্যাট্রন’ অর্থাৎ অভিভাবক বলে ।
প্রত্যেকের-ই একজন করে নায়ক থাকে যার আদর্শ দ্বারা আমরা উজ্জীবিত হই, তেমনি পাবলো এস্কোবারের আর্দশ ছিলেন Al Capone । যদিও একদিক থেকে Al Capone থেকে তিনি ব্যতিক্রম ছিলেন , Al Capone মার্ডার ব্যতীত প্রায় সব ধরনের ক্রাইমের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন কিন্তু এস্কোবার ছিলেন চারহাজারের অধিক মার্ডারের প্রত্যক্ষভাবে আসামী । এর মধ্যে ছিলো দুশ'এর অধিক বিচারক আর একহাজার পুলিশ-সাংবাদিক-সরকারী কর্মচারি । পাবলো সেসব পুলিশকে খুন করতেন যে পুলিশ তার নামে ওয়ারেন্ট লিখেছে, তিনি সেসব পুলিশকে খুন করতেন যে তাকে গ্রেফতার করতে চেয়েছে, পাবলো সেসব পুলিশকে খুন করতো যে পাবলোর "প্লাতা অর প্লোমো" নীতিকে ভঙ্গ করতো । "প্লাতা অর প্লোমো" ছিলো এসকোবারের বিজনেস স্ট্রাটেজী । প্লাতার আভিধানিক অর্থ সিলভার হলেও এখানে পাবলো প্লাতা বলতে টাকাকে বোঝাতেন আর প্লোমো অর্থ লেড(লোহা) যা ইন্ডিকেট করতো বুলেটকে , "accept money or face bullets" ।
প্রতি মাসে $২৫০০'এর শুধু রাবারের ব্যান্ড কেনা লাগতো শুধু টাকা বাধাইয়ের জন্য ,এতো পরিমাণে টাকা ছিলো পাবলো এস্কোবারের । প্রতিদিন পনেরো টন কোকেন পুরো বিশ্বে সরবরাহ করতেন । আমেরিকার মোট কোকেনের ৮০% কোকেন পাবলো এসকোবার ছিলো । সরকারী হিসেবে তার মোট অর্থের পরিমাণ ৩০বিলিয়নের উপরে ছিলো । পরপর সাতবার শীর্য ধনীদের তালিকায় এসেছেন একে তো কনকনে শীত তার উপর পেছনে পুলিশ, গোটা পরিবার নিয়ে আশ্রয় নেন পাহাড়ের চূড়ায় । এক সময় শৈত্য প্রবাহ বাড়তে থাকে, হঠাৎ বুঝতে পারলেন কোলে বসা মেয়ে শীতে কাপছে হাতের কাছে থাকা দুই ব্যাগে প্রায় দুই মিলিয়ন ডলার সাথে সাথে পুড়িয়ে দেন মেয়েকে শীতের হাত থেকে বাচাতে । এক্সাট্রাডিশন(বিদেশে পলাতক আসামীকে সেই রাস্ট্রে অর্পন করা যে রাস্ট্রে সে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে) আইনকে সংবিধান থেকে মুছে ফেলার জন্য সরকারকে দশ বিলিয়ন ডলার অফার করে,যদিও সরকার তা রিফিউজ করে দেয় । এই প্রসংগে পাবলো বলেন, "এই আইনের পরিবর্তন শুধুমাত্র চেয়েছি কারণ আমেরিকার জেল থেকে কলম্বিয়ার কবর বেশি সুন্দর" । কতোটুকু সাহস আর অদম্য হলে একজন মানুষ সরকারকে আইন পরিবর্তেন জন্য ঘুষ দিতে পারে ? এই রকম দুঃসাহস শুধু পাবলো এস্কোবারদের-ই থাকে ।
প্লেনে থাকা ১১০জন যাত্রী সহ গোটা প্লেন উড়িয়ে দেন, উদ্দেশ্য ছিলো কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টকে মারার ভাগ্যের জোরে প্রেসিডেন্ট বেচে যান(প্রেসিডেন্টের ঐ প্লেনে যাওয়ার কথা ছিলো) , প্রেসিডেন্টের জায়গায় মারা পড়েন তার সেক্রেটেরি । এরপর যখন কলম্বিয়া সরকার আচ করতে পারলো পাবলোকে তারা একা রুখতে পারবে না তখন সহ তারা সহায়তা নিলো আমেরিকার । তাদের সহায়তায় পাবলোকে তারা ধীরে ধীরে কোনঠাসা করা শুরু করলো । এখানে পাবলোর কিছু ভুল সিদ্ধান্ত ছিলো, পাবলো সরকারের সাথে চুক্তি করে সে আত্মসমর্পণ করবে কিন্তু আত্মসমর্পনের পর থাকবে নিজের তৈরী জেলে । বিশাল এরিয়া জুড়ে পাবলো এসকোবার তৈরী করলেন জেলখানা, যা শুধু ছিলো নামমাত্র জেলখানা, "সবকিছু" ছিলো এই নামমাত্র জেলখানায় । পাবলো বুঝতে পারেননি তার এই একটি মাত্র ভুল সিদ্ধান্তের মাশুল জীবনের বিনিময়ে শোধ করতে হবে ।
পাবলোর মৃত্যু নিয়ে অনেকের মনে অনেক সংশয় রয়েছে, কারোর মতে তিনি পুলিশের হাতে মারা গেছেন আবার কেউবা বলছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন । পাবলোর লাশ যখন পাওয়ায় তখন তার বুকে পায়ে আর কানের একটু নিচে গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়, কোনো এক সময় পারিবারিক বৈঠকে পাবলো বলেছিলেন পুলিশের হাতে তিনি কখনো মরবেন না, যদি দেখেন মৃত্যু সুনিশ্চিত তখন তিনি কানের নিচে গুলি করে আত্মহত্যা করবেন । এইদিক বিবেচনা করলে বোঝা যায় সুইসাইড করেছিলেন পাবলো এসকোবার ।
বাবা হিসেবে কেমন ছিলেন এই প্রসঙ্গে যখন পাবলো এসকোবারের ছেলের কাছে জানতেও চাওয়া হয় তখন তিনি বলে, "বাবা হিসেবে তিনি ছিলেন সেরাদের দলে, তিনি হয়তো জঘন্য অপরাধে হাতকে কলুষিত করেছেন কিন্তু আমার সামনে কাউকে সিগা্রেটের ধোয়া পর্যন্ত
ছাড়তে নিষেধ করেছেন" । কোকেন সম্রাট পাবলো নিজেও কখনো কোকেন নেননি শুধুমাত্র ফ্যামিলীর কথা ভেবে ।
প্রায় পচিশের হাজার মানুষ হয়ে ছিলো তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময়, এতো মানুষ মনে হয় না আর কোনো অপরাধীর সৎক্রিয়ার সময় হয়েছিলো । এতো লোক হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না, কারণ আগে-ই বলেছি তিনি ছিলেন "রবিনহুড" । কলম্বিয়ার খুব কম সাধারণ স্তরের মানুষ ছিলো যে পাবলো এসকোবারের সাহায্য পায়নি । পাবলোকে যতো মানুষ ঘৃণা করতো তার দ্বিগুণ পাবলোকে সম্মান করতো । পাবলো যখন সরকারের সাথে চুক্তি করে নিজের তৈরী জেলখানা "লা ক্যাথেড্রাল"-এ অবস্থান করছিলেন সেই সময় অর্থাৎ নব্বই দশকের দিকে কলম্বিয়া ফুটবল বিশ্বকাপে হট ফেভারিটদের কাতারে ছিলো । কোকেনের পরে ফুটবলের পেছনে পাবলো বেশির ভাগ সময় ব্যয় করতেন । সেই সময়ের মাঠ কাপানো ফুটবল তারকা ফ্রেডি রিঙ্কন, অ্যাসপ্রিয়া, কার্লোস ভালদেরামাদের সাথে জেলখানায় ফুটবল খেলেছেন এই ড্রাগ লর্ড ।
পাবলো এসকোবার নিয়ে নির্মিত হয়েছে অনেক ডকুমেন্টারি-টিভি শো-সিনেমা । এরমধ্যে যদিও সবগুলোতে পাবলো কে ছিলেন ? কি ছিলেন পুরোপুরি ফুটে উঠনি । কিন্তু দেখার মতন বেশ কিছু কাজ আছে যেমন Sins of My Father (2009), The Two Escobars (2010) , বেনিচিও দেল তোরো অভিনিত একটি সিনেমাও আছে Escobar: Paradise Lost (2014) যা মোটামুটি ভালো হয়েছে । পাবলোকে নিয়ে বেস্ট ক্রিয়েশন হচ্ছে নেটফ্লিক্সের নারকোস । মেকিং এর বিচারে পূর্ন নম্বর পাবে , আর পাবলো এসকবার চরিত্রে অভিনয় করছেন ওয়েগনার মঔরা । এখন পাবলো এসকোবার বললে শুধু বুঝি ওয়েগনার মঔরাকে । নারকোসের প্রথম সিজনের প্রায় সব এপিসোডে ছিলো অরিজিনাল অনেক ফুটেজ যা নারকোসকে আরো বেশি জীবন্ত করেছে । নারকোসের আবহসঙ্গীত আরো বেশি প্রাণসঞ্চার করেছে । tuyo মিউজিকটি নারকোসের থিম কভার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, যা বেশি ভালো ছিলো , একাধিকবার শ্রবণ যোগ্যতা অর্জন করেছে ।
আরো অনেক কিছু বলার ইচ্ছা ছিলো এই কলম্বিয়ার এই ম্যাজিশিয়ানকে নিয়ে, লিখে নারকোসের স্বাদ নষ্ট করতে চাইছি না, যারা নারকোস দেখেনি তারা অবশ্য-ই দেখবেন, অনেক অজানা গল্প তুলে ধরা হয়ে তাতে । সাথে উপরোক্ত ডকুমেন্টারিগুলোও দেখবেন ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫