বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে ভয়াবহ শারীরিক নির্যাতন করা হচ্ছে। তাঁকে যখন গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেই সময় তাঁর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং তাঁর জামা-কাপড় ভিজে যায় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে বলে জানান দলীয় মহাসচিব।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর গ্রেপ্তারের বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে খোন্দকার দেলোয়ার এসব অভিযোগ করেন।
সম্মেলনে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে মেরে ফেলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। তাঁর শরীরে ব্লেডের আঁচড় ও পায়ের আঙুল ভেঙে ফেলা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
দলের মহাসচিব বলেন, এ সরকারের নিষ্ঠুরতা কারবালার নিষ্ঠুরতাকে হার মানায়। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী হলেন বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। এগুলো বন্ধ করার জন্যই তাঁকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে মানবতাবিরোধী অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। বর্তমান সরকার গত দুই বছরে যেসব কর্মকাণ্ড করেছে, তার সবই মানবতাবিরোধী। তাদের একদিন কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
এদিকে সালাউদ্দিনের মেয়ে ফারজিত চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরাও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। কিন্তু আমার বাবাকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা কোনো সভ্য দেশের কাজ হতে পারে না। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই।’ একই সঙ্গে তিনি সরকারের প্রতি নির্যাতন বন্ধের আহ্বান জানান।ফারজিত চৌধুরী আরও বলেন, প্রত্যেক মানুষের বিপক্ষেই অভিযোগ থাকে। কিন্তু কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়া কাউকে কীভাবে গ্রেপ্তার করা যায়; এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ১৯ ডিসেম্বর একটি আদালতে শুনানি ছিল। কিন্তু ওই তারিখের আগেই তাঁকে গ্রেপ্তার করার অর্থ কী? তার মানে—তাঁর বিপক্ষে যথার্থ তথ্যপ্রমাণ নেই।