বুমেরাং এর মত কুসংস্কারটাই প্রেরনা হয়ে দাড়ায়। ফেব্রুয়ারী- ৪১ বছরের এক অবহেলিত বৃক্ষের বীজবপনের মাস।
কেপে উঠল টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া। অদৃশ্য এক তুষারের মতো ধবধবে সাদা ঘোড়ায় চেপে ফিরে এসেছে বাংলাদেশ। চারিদিকে তুমুল করতালির বৃষ্টি, গগন বিদারি চিৎকার-“পদ্মা মেঘনা যমুনা- তোমার আমার ঠিকানা।“ । এক একটি চিৎকারে শত সহস্ত্রাব্দির স্নায়ুক্ষয়। ঘামে ভিজে নতুন প্রজন্মের প্রক্ষালন। এ যেনো ৪১ বছরের পাপ মোচনের জন্য গঙ্গা স্নান। “জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার- তবু মাথা নোয়াবার নয়” বাংলাদেশ- এ যেন এক আবেগময় প্রত্যাবর্তনের রূপকথা।
বাংলাদেশ জেগেছে। রাজনীতিবিদদের অপকর্মের দায়ভার এ প্রজন্ম কাধে তুলে নিয়েছে। এই প্রজন্মের সামনে বিকল্প কোন পথ ছিল না যখন মুমূর্ষু রাজনীতি, বিচার ব্যাবস্থা ভয় আর দুর্নীতির নিগড়ে বন্দি। মশাল-মোমবাতি দিয়ে সুশৃঙ্খল প্রতিবাদের সংস্কৃতি সারা পৃথিবীর তরুণদের জন্য এক অনুকরনীয় অনুসরণীয় মডেল।
রাজনীতিবিদ দের বলি- আসুন প্রজন্ম চত্বরে। ঘামে ভিজে গঙ্গা স্নান করুন। ১০ টাকার ফ্রেশ পানির বোতল কিনে ফ্রেশ হোন। ।জামায়াত-শিবিরকে বলি- এই প্রজন্ম আপনাদের প্রত্যাখ্যান করেছে, এ আপনাদের নৈতিক পরাজয়।
আমি নিজে ইব্রাহিম মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শ’খানেক ছাত্র-ছাত্রি পিচ ঢালা পথে- কাঠ ফাটা রোদে গলা ফাটিয়েছে- চিৎকার করে বলেছে- “ফাঁসী চাই ফাঁসী চাই, কাদের মোল্লার ফাঁসী চাই।“ “পদ্মা মেঘনা যমুনা- তোমার আমার ঠিকানা।“ “লাখ শহীদের বাংলায়- রাজাকারের ঠাই নাই।“ তাদের এই সংগ্রামী সংস্কৃতিকে সকল ব্লগার সাধুবাদ জানাবেন- আশা করি
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩০